| 28 নভেম্বর 2024
Categories
অন্যান্য খেলা খবরিয়া খেলাধুলা

সেরেনাকে হারিয়ে প্রথম কানাডিয়ান হিসেবে গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব বিয়াঙ্কার

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

মাস খানেক আগে প্রথমবার দেখা হয়েছিল দু’জনের। টরন্টোর কানাডিয়ান ওপেনের ফাইনালে। সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে খুব সুখের অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রতিপক্ষ বিয়াঙ্কা আন্দ্রিস্কু যখন ৩-১ এগিয়ে, তখন পিঠের ব্যথার জন্য ফাইনাল ছেড়ে দেন সেরেনা। প্রথম কানাডিয়ান হিসেবে রজার্স কাপের মেয়েদের এই টুর্নামেন্ট, যা কানাডিয়ান ওপেন নামেই পরিচিত, জেতেন বিয়াঙ্কা। এক মাস পর, ভারতীয় সময় শনিবার মধ্যরাতে ইউএস ওপেনের ফাইনালে সেই বিয়াঙ্কার মুখোমুখি হয়ে হার মানলেন ২৩ গ্র্যান্ড স্লাম-জয়ী সেরেনা উইলিয়ামস। বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে ১৫ নম্বরে থাকা উনিশের বিয়াঙ্কা আন্দ্রিস্কু প্রথম কানাডিয়ান হিসেবে জিতে নিলেন গ্র্যান্ড স্লাম সিঙ্গলস খেতাব। ম্যাচের স্কোরলাইন ৬-৩, ৭-৫।

সেমিফাইনালে সুইৎজারল্যান্ডের প্রতিভাবান তারকা বেলিন্দা বেন্সিচকে ৭-৬, ৭-৫ হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন বিয়াঙ্কা। ইতিহাসের হাতছানি ছিল দু’জনের জন্যই। নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং মেডোজে সেরেনার লক্ষ্য ছিল ২৪তম গ্র্যান্ড স্লাম। আর বিয়াঙ্কা জিতে ছুঁয়ে ফেললেন ১৩ বছর আগের মারিয়া শারাপোভাকে। টিন এজার হিসেবে শেষবার গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন মাশাই। সেটাও ছিল ইউএস ওপেন। ১৯ বছরের বিয়াঙ্কা সেই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। অথচ এক বছর আগেও যখন ক্রমতালিকায় ১৫০-র কাছে ছিলেন বিয়াঙ্কা, তখন কারও পক্ষেই বিশ্বাস করা সম্ভব ছিল না কানাডিয়ান টিন এজারের এই উত্থান।

সেরেনার বিরুদ্ধে আবার একটা ফাইনাল। কেমন হবে? ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠার পর বিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘সত্যি ঘটছে তো ঘটনাগুলো?’ ফাইনালে সেরেনার সামনে পড়ে বলছেন, ‘ম্যাচটা দারুণ মজার হবে।’ আরও জুড়ে দিয়েছেন, ‘আমি সব সময়েই সেরেনার বিরুদ্ধে খেলতে চেয়েছি। আমার টিমকে সব সময় বলতাম, ও অবসর নেওয়ার আগে আমি ওর সঙ্গে খেলতে চাই। এই ম্যাচটার দিকে অনেক আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে।’

জন্ম টরন্টোয় হলেও বিয়াঙ্কার বাবা-মা রোমানিয়ান। যখন তাঁর বয়স সাত বছর, সেই সময় বাবা-মা কয়েক বছরের জন্য ফিরে যান রোমানিয়ায়। সেখানে টেনিস শিখতে শুরু করেন। আবার কানাডায় ফিরে টেনিসে মন দেন। কিম ক্লিস্টার্সের ভক্ত বিয়াঙ্কা ধীরে ধীরে উঠে আসতে শুরু করেন টেনিসের ধাপ পেরিয়ে। গত কয়েক বছর ধরে কানাডিয়ান মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন ইউজেনি বুশার্দ। কিন্তু ফর্মের বিচারে বুশার্দ পিছিয়ে পড়েছেন বেশ কিছু দিন। সেই জায়গা নিয়ে ফেলেছেন সকলের প্রিয় বিবি। বিয়াঙ্কাকে এই ডাকনামেই ডাকে টেনিস মহল।

নিজের ইউএস ওপেনের ফাইনাল খেলার ঘোর থেকে বেরোতে পারছেন না এখনও। বলেছেন, ‘এক বছর আগে কেউ আমাকে যদি বলত, এ বছর এখানে ফাইনাল খেলব, তাকে পাগল বলতাম। বিশ্বাসই করতাম না। ক্রমতালিকায় দেড়শোর মতো ছিলাম তখন। তার পর থেকে একটা বছর অবিশ্বাস্য আমার জন্য।’

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত