আর্জেন্টিনার শিল্পী মার্টা মুনজিন, বয়স ৭৪ বছর, তিনি ১০০,০০০টি নিষিদ্ধ বইয়ের কপি ব্যবহার করে প্রাচীন গ্রীকের অ্যাথেনীয় মন্দিরের প্রতিরূপে একটি স্মারক নির্মাণ করেছেন। এই শিল্পীর মতে, এটি শুধুমাত্র শৈল্পিক নিদর্শন নয় বরং এটি রাজনৈতিক নিপীড়ন প্রতিরোধের একটি প্রতীক।

Roman MärzRoman März

জার্মানের ক্যাসেলে বইয়ের এই পার্থেনন ১৪তম ডকুমেন্ট উৎসবের একটি অংশ। ক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সহায়তায় শিল্পী মুনজিন ১৭০টিরও বেশি গ্রন্থাদির নাম চিহ্নিত করেছেন যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ বা নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো এবং ঐসব বই, প্লাস্টিকের শীটিং আর ইস্পাত দিয়ে আইকনিক মন্দিরের পূর্ণ আকারের পার্থেনন তৈরি করেছেন।

alexgorlinalexgorlin

voeworkvoework

কিন্তু সম্ভবত জার্মানির সবচেয়ে বিতর্কিত বই- অ্যাডলফ হিটলারের “মেইন ক্যাম্পফ” পার্থননের উপর প্রভাব বিস্তার করে না, এবং আর একটা কারণঃ নাৎসিরা বইয়ের প্রখ্যাত সমালোচক ছিলেন।

rachelmijaresfickrachelmijaresfick

প্রকৃতপক্ষে, মুনজিনের এই কাঠামোটি একটি ঐতিহাসিক স্থানে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে ১৯৩৩ সালে সেন্সরশিপের ব্যাপক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে নাৎসিরা ২,০০০টি বই পুড়িয়ে দিয়েছিলো। উনিশ শতকের দিকে হেনরিচ হাইন বলেছিলেন, ‘যেখানে তাঁরা বইগুলো পুড়িয়ে দেয়, সেখানে শেষ পর্যন্ত তাঁরা মানুষকে পুড়িয়ে দেয়’।

lctannerlctanner

নিষিদ্ধ বইগুলো প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে তা প্রতি পাঁচ বছর পর পর মানুষকে স্বরণ করিয়ে দেওয়া হয়। নাৎসি আমলের সময় নিষিদ্ধ বইগুলোর মধ্যে আছে মার্ক্সের ও ইহুদিদের লেখা বইগুলো।

thegood.thebad.thebooksthegood.thebad.thebooks

 jingyincjingyinc

বোরড পান্ডা থেকে অনুদিত।