মিসরে নীল নদের কাছে প্রাচীন একটি বন্দর আবিষ্কৃত হয়েছে। মন্দির ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে পাথর পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হতো এটি। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশটির পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মিসরের পুরাতত্ত্ব সুপ্রিম কাউন্সিলের মহাসচিব মুস্তাফা ওয়াজিরি জানান, নীল নদের পশ্চিম তীরে বন্দরটির দৈর্ঘ্য ১০০ মিটার। আর বড় খনি থেকে এর দূরত্ব ২০০ মিটার।
পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, গেবেল আল-সিলসিলার খনি থেকে পাওয়া পাথর নীল নদ দিয়ে পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত প্রধান বন্দর ছিল এটি। আসওয়ানের কাছে কোম ওম্বোর ধ্বংসাবশেষে প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানের সুবাদে ওই খনি আবিষ্কার করা হয়।
আসওয়ান ও নুবিয়া পুরাতত্ত্ব কাউন্সিলের মহাপরিচালক আব্দুল মুনায়েম সাঈদ জানিয়েছেন, মিসরে বেলেপাথরের গুরুত্বপূর্ণ উৎস গেবেল আল-সিলসিলা। দেশটির অষ্টাদশ রাজবংশ থেকে আধুনিক যুগে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আল কারনাক, হাবু, কোম ওম্বো ও দেনদেরার মতো মন্দির নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত প্রস্তরের বেশিরভাগই ওই খনি থেকে নেওয়া হয়েছিল।
মিসরে সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানের সবশেষ আবিষ্কার এই বন্দর। ২০১১ সালের বিপ্লবের কারণে সংকটে পড়া দেশটির পর্যটনের বিকাশে উদ্যোগটি নেওয়া হয়। গত বছর পিরামিড চত্বর গিজার কাছে উন্মুক্ত করা হয় চার হাজার বছরের পুরনো একটি সমাধি।
জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) ২০১৮ সালের ট্যুরিজম হাইলাইটস রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্রুত পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশ্বের এমন ১০টি দেশের তালিকার শীর্ষে আছে মিসর।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেল