কবি ও তার অনুচ্চারিত অভিমান
পদার্থবিদ্যার ছাত্রী সঞ্চিতা অঙ্কে ব্যাক পেয়ে ভেঙে চুরে শেষ হতে গিয়েও শেষ হয়না। বাড়ির লোকজন যেন মেয়েকে সুপাত্রস্থ করে বেঁচে যান। আর পাঁচটা বাঙালী মেয়ের মতোই ঘর গেরস্থালি সামলাতে সামলাতে সঞ্চিতার বুক জুড়ে থাকে তার পুত্র সমু। স্বামী অমিয় যেন বুঝেও বোঝেনা তাকে। সংসারের বিষয়ে স্বামীর নির্লিপ্তি, স্ত্রীর প্রতি উদাসীনতা সঞ্চিতাকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়। হঠাত ফেসবুকের কবিবন্ধুদের আনুকুল্যে সঞ্চিতা যেন কবিতায় ভর করে উঠে দাঁড়ায় অনেকদিন পর। নতুন নতুন পুরুষ কবিরা আসে তার জীবনে। ক্রাশ হয় মধ্যবয়সী সঞ্চিতার। তার পরেও সমুর জন্য কোচিং ক্লাসে ফিজিক্স পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে সঞ্চিতা নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে থাকে। সুনন্দার সুললিত গদ্যে টেনে রেখে যায় শেষ অবধি। অমিয় আচমকা সারপ্রাইজ দেয় সঞ্চিতাকে। সেটা ছিল মধ্যজীবনে সঞ্চিতার কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। বাকীটা জানতে গেলে পড়তে হবে সঞ্চিতা চরিত্রের অনুচ্চারিত অভিমান। সুন্দন্দার কবিতা আগে পড়িনি তবে এই বইটির বেশ কয়েকটি কবিতার লাইন মনে রাখার মত। “তপ্ত দিনে জারুল ছায়ায়, জলের মায়ায় আসবে তুমি?” অথবা “কিম্বা লজ্জাকথার আঁকন দিতে ইচ্ছে করে”
সুনন্দা চক্রবর্তী
মূল্য ১৫০ টাকা
উত্তর কলকাতায় জন্ম। রসায়নে মাস্টার্স রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে। বিবাহ সূত্রে বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। আদ্যোপান্ত হোমমেকার। এক দশকের বেশী তাঁর লেখক জীবন। বিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও সাহিত্য চর্চায় নিমগ্ন। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস সানন্দা পুজোসংখ্যায়। এছাড়াও সব নামীদামী বাণিজ্যিক পত্রিকায় লিখে চলেছেন ভ্রমণকাহিনী, রম্যরচনা, ছোটোগল্প, প্রবন্ধ এবং ফিচার। প্রিন্ট এবং ডিজিটাল উভয়েই লেখেন। এ যাবত প্রকাশিত উপন্যাস ৫ টি। প্রকাশিত গদ্যের বই ৭ টি। উল্লেখযোগ্য হল উপন্যাস কলাবতী কথা ( আনন্দ পাবলিশার্স) উপন্যাস ত্রিধারা ( ধানসিড়ি) কিশোর গল্প সংকলন চিন্তামণির থটশপ ( ধানসিড়ি) রম্যরচনা – স্বর্গীয় রমণীয় ( একুশ শতক) ভ্রমণকাহিনী – চরৈবেতি ( সৃষ্টিসুখ) ২০২০ তে প্রকাশিত দুটি নভেলা- কসমিক পুরাণ – (রবিপ্রকাশ) এবং কিংবদন্তীর হেঁশেল- (ধানসিড়ি)।অবসর যাপনের আরও একটি ঠেক হল গান এবং রান্নাবাটি ।