রাখাল বালিকা
অতঃপর অপ্রতিরোধ্য দুর্বিসহ কিছু মেঘ
শরীরের অলিগলি খুঁজে
সেঁধিয়ে যায় বরফকণার মতো।
দামাল বরষার মন্দ্রিত তানে,
আমি রাখাল বালিকা সাজি।
ভিতর ঘরের আনাচে কানাচে যে ছাট জমা হয়,
সেসবই তো ভুলে যাওয়া গান আদতে।
আহির ভৈরব বা বিপন্ন আকাশ
ধুলোঝড় পথে খুঁজতে বেরিয়েছে তোমাকে আমাকে।
অথচ আমরা দুজন মনে মনে দ্বিধা আর ইমন আখর….
এক পশলা উষ্ণতা বাঁধতে পারেনি যুগল ছোঁয়া কে
শরীরে শরীরে শুধু নিরুদ্দেশ ভ্রূনেদের ঘর….।।
বহুদিন তোকে বলবো ভেবেও
বহুদিন তোকে বলবো ভেবেও বলা হয়নি,
আমার ইউক্যালিপ্টাসে
তোর শরীরের নরম সোঁদা গন্ধ আছে।
সেখান থেকে এক পশলা গন্ধ কাল গায়ে মেখেছি।
আমার নিশ্চুপ বারান্দার দুপুর আলোয়, তোর আগুনরঙা চাউনি ঝলক।
আমি তোর আলোয় ভিজে চৌচির
আমার পাঁজরবন্দী জোনাকবাক্সে,
তোর জন্য রেখেছি,
যাবজ্জীবন অশান্তি অঙ্গীকার
তোর অভিসারে সাজিয়েছে
এক ব্যাবিলন দুঃসাহস,
বহুদিন তোকে বলবো ভেবেও বলা হয়নি,
চল একসঙ্গে আজ বৃষ্টি ভিজি…..।।
প্রসঙ্গ প্রেম
তুমি আজ এসেছিলে
তোমার সমস্ত সত্তা নিয়ে এসেছিলে
তোমার যতিদের নিয়ে আজ,
আমার অবয়বে দৃশ্যমান হলে প্রথম।
আমার ঠোঁট জুড়ে দামাল হলো তোমার বৃষ্টিরা,
তোমার ছোঁয়ার শব্দ আর শব্দের রসায়ন আমায় ভিজিয়ে দিয়ে গেল।
আমার নাভিমূলের আদিম পথে
শিঞ্জনের যে ঝড় তুমি তুলেছ,
তার বাগেশ্রীতে এখনও তোমার কণ্ঠ বলছে, “তোমার অন্তরে চারা দিলাম
যত্ন করে রেখো”…….।।
প্রচ্ছদ: সঞ্চয় সুমন
কবি, নৃত্যশিল্পী ও পর্যটক