Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

মাঠের লড়াই শুরু আজ

Reading Time: 2 minutes

রোববার আলো ঝলমলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের। তবে বিশেষ এই টি-টোয়েন্টি আসরের আসল লড়াই শুরু আজ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডারের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে গোড়াপত্তন হবে সপ্তম আসরের। দুদলের ব্যাট-বলের ধুন্ধুমার লড়াই শুরু দুপুর দেড়টায়। একই দিন দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বর্তমান ও সাবেক চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও রংপুর রেঞ্জার্স। এই ম্যাচে প্রথম বল মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। দুটি ম্যাচই সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশন।

ময়দানি লড়াইয়ে নামার আগে অবশ্য চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স শিবিরে বেদনার সুর। কারণ, হ্যামস্ট্রিং চোটে উদ্বোধনী ম্যাচ তো বটেই, নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলা হচ্ছে না দলটির অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। কাল সতীর্থরা যখন অনুশীলন করছিলেন, মাহমুদউল্লাহ তখন বসে মাঠের পাশে। অনুশীলন সেশনের শুরুর দিকে অবশ্য দলের সঙ্গে হালকা স্ট্রেচিং করেছেন। তবে এরপর থেকে কেবলই দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে এই টাইগার তারকার।

সম্প্রতি ভারত সফরে কলকাতা টেস্টে ব্যাটিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সেই চোটই তাকে বাইরে রাখছে বিপিএলের সূচনালগ্নে। মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতিতে চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দেবেন গত বিপিএলে কুমিল্লার শিরোপাজয়ী দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ইমরুল কায়েস।

টুর্নামেন্টের বিস্ময় জাগানিয়া সূচিতে প্রথম ১১ দিনের মধ্যেই সাতটি ম্যাচ খেলতে হবে চট্টগ্রামকে। এ ছাড়াও আগামী মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ। সব মিলিয়ে তাই বেশ সতর্ক মাহমুদউল্লাহ, ‘হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরি বলেই একটু সতর্ক থাকতে হচ্ছে। তাড়াহুড়ো করে নেমে গেলে উল্টো ফল হতে পারে। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকেই আমাদের অনেক ম্যাচ। সামনেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। এই হ্যামস্ট্রিংয়ে আবার টান লাগলে লম্বা সময়ের জন্য বাইরে চলে যেতে হতে পারে। তাই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না।’

টুর্নামেন্টের শেষ ভাগের আগে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দৈত্য ক্রিস গেইলকেও পাচ্ছে না চ্যালেঞ্জার্স। শুরুর দিকে মাহমুদউল্লাহকেও না পাওয়ায় দলটি প্রতিপক্ষদের কতখানি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে, তার জন্য অপেক্ষা হচ্ছে ভরদুপুর পর্যন্ত।

চট্টগ্রামের আজকের প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডারের অবশ্য ইনজুরি ভাবনা নেই। তাদের চিন্তা কেবল ভালো শুরু আর টিম কম্বিনেশন নিয়ে। প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়ে দলের লক্ষ্যমাত্রা জানালেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সিলেট থান্ডারকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার লক্ষ্য তো আছেই, সঙ্গে ঠিক করে নিতে চান নিজের ব্যাটিং অর্ডার।

বিপিএলে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ আসরে মোসাদ্দেক খেলেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসে। তিন মৌসুমে খেলেন ৩৫ ম্যাচ, প্রায় সব ম্যাচেই ব্যাট করেছেন নিচের দিকে। গত মৌসুমে খেলেন চিটাগং ভাইকিংসে। ১২ ম্যাচে ২৫.৮৮ গড়ে করেন ২৩৩ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৩ রান করেছিলেন আটে নেমে।

বিপিএলে খেলা ৪১ ইনিংসে মোসাদ্দেকের ফিফটি কেবল একটি, অপরাজিত ৫৯। ২৩.৯০ গড়ে করেছেন ৭১৭ রান। তবে এবার বড় দায়িত্ব পেয়ে উজ্জ্বল করতে চান নিজের রেকর্ড, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি চার-পাঁচেই ব্যাটিং করার চেষ্টা করি। জাতীয় দলে এমন সুযোগ মেলে না। বিপিএলে ভালো করলে কোচ-নির্বাচকরা হয়তো জাতীয় দলে ওপরে ব্যাটিং করানোর বিষয়ে চিন্তা করবেন। বিপিএলে কোথায় ব্যাট করব, এখনো জানি না। কোচ-ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে, হয়তো চার বা পাঁচেই করব। এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। আমি মনে করি, বিপিএল নিজেকে প্রমাণের মঞ্চ’।

কাগজে-কলমে যতটা দেখাচ্ছে, সিলেট তার চেয়ে শক্তিশালী দল। দলে সামর্থ্য কিংবা অভিজ্ঞতার কোনো ঘাটতি দেখছেন না মোসাদ্দেক, ‘আমরা তিন থেকে চারজন আছি যারা জাতীয় দলে বর্তমানে খেলছি। জাতীয় দলে ঢুকবে এমন কয়েকজনও আছে। এ ছাড়াও যারা আছে তারাও একসময় খেলেছেন। বিদেশিরাও নিজ দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড়। তাই আমি মনে করি টুর্নামেন্টে লড়াই করার মতো ভারসাম্যপূর্ণ দল আমরা।’

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>