| 19 এপ্রিল 2024
Categories
ব্রহ্মপুত্র ও বরাকের গল্প

ব্রহ্মপুত্র ও বরাকের গল্প: সর্বভুক । তৃণময় সেন

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

 

আব্বা..ও আব্বা..আব্বা দো…

রুদ্ধশ্বাসে বাপকে একটানা ডেকে যাচ্ছে ঈশম। ভোরের স্নিগ্ধতা কাটিয়ে ঘড়ির কাঁটা এখন ছ’টা ছুঁইছুঁই। দু’দিন একটানা বৃষ্টির পরে আজ সূর্যের দেখা মিলেছে। আম-সুপারি-পেয়ারা গাছ সারারাত ভিজে চনমনে হয়ে উঠেছে। হালকা হাওয়ায় পাতার ডগায় জমা ফোঁটা মাঝেমাঝেই সশব্দে আছড়ে পড়ছে টিনের চালে। আসাম টাইপ একচালা ঘরের সারা গা জুড়ে ই.ইউ.এল খোদাই করা ইটগুলো যেন দাঁতের পাটি বের করে হাসছে। ঘরের ভেতরে এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে একছোপ অন্ধকার। চরম ব্যস্ততায় মশারি তোলার সুযোগ পায়নি খাদিজা। সাড়ে-পাঁচ মাসের মেয়েকে সক্কাল সক্কাল সামান্য খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে সে। শোবার ঘরের উত্তরে খড়ের ছাউনির রান্নাঘর। কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া উনুন থেকে পাকঘরের শরীর বেয়ে হারিয়ে যাচ্ছে লাগোয়া পেঁপে গাছের বিশাল পাতার আনাচে কানাচে। কাঁচা লংকা আর শুঁটকি পোড়া সহযোগে পান্তা ভাত গপগপিয়ে গিলছে ফাহিম শেখ। ছেলের ডাকে সাড়া দেওয়ার সময় নেই তার। সকাল শুরু হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে দস্যিপনা। বাপকে একটু কাছে পেলেই উন্মুক্ত হয় তার কৌতূহলের ভাণ্ডার। হাজারো প্রশ্ন আর কৈফিয়ত।   

– আইজ খালি তুমারে আথর দারো পাই লই রে ছাবাল। পিঠিত দিমু ভালা করি! বিয়ান হইতেউ শুরু অইলো ঘুর দৌঁড়!  

 ঈশমের হাতের ঢিল সোজা বাঁশের তরজায় পড়তেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে খাদিজা। খড়ের চালে কিছু একটার উপর তাক করে ঢিল ছুঁড়ছিল সে। খাওয়া শেষে ফাহিমকে বেরোতে দেখে ঢিল ফেলে দিয়ে বাপের আঙুল ধরে টানতে থাকে। অথচ ফাহিমের জায়গায় এখন খাদিজা হলে দৌড়ে তল্লাটছাড়া হতো। 

– চালর উপরে অলা বড় কাউয়া আব্বা! দেখি যাও।

ফাহিম কাজে বেরোবে। হাতে সময় নেই মোটেই, তবুও বাৎসল্যের কাছে ব্যস্ততা ক্ষণিকের জন্য হলেও হার মানে। উঠোনে নেমে ঘাড় উঁচু করলে বেশ বড়সড় আকারের দাঁড়কাকটা চোখে পড়ে। এই সাইজের দাঁড়কাক সে আগে দেখেনি তেমন নয়, তবে শহরতলীর এই এলাকাতে ধূসর গলার পাতিকাকই বেশি দেখা যায়। সেগুলো সাইজেও বেশ ছোট। নাড়িভুঁড়ি বের হওয়া একটা ইঁদুরকে নিরাপদে রেখে গদাইলস্করি চালে চারপাশ নিরীক্ষণ করে ক্যা…ক্যা করে সদর্পে নিজের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে। আর কালো কুচকুচে চোখ দুটো ড্যাবড্যাবিয়ে ফাহিম আর ঈশমকে জরিপ করছে। বড় ক্রূর সেই দৃষ্টি। হাঁ-মুখে চেয়ে আছে ঈশম। ফাহিম ঢিল ছোঁড়ার আগেই শিকারকে ঠোঁটে নিয়ে কয়েকটা সুপারি গাছকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় সে।

লকডাউনের দিনগুলোতে সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কাজ চলে। ফলে মজুরিও কমে অর্ধেক। মফঃস্বলে কড়াকড়ি এতটা ছিল না। কিন্তু গত শনিবারে মাছওয়ালা শুক্কুর আর সুপারি বিক্রেতা পরেশকে হঠাৎ করে বেলা দুটোর সময় বাজারে এসে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। ছাড়া পেতে দুজনকে প্রায় পুরো সপ্তাহের কামাই খোয়াতে হয়েছে। তারপর থেকে আজ সপ্তাহদিন হলো মানুষ আধপেটা হয়ে পড়ে থাকলেও দুপুরের পরে পথঘাট শুনশান হয়ে যায়। খাদিজার বাগানের করলা, ঢ্যাঁড়স, নালিশাক আর বরবটির সহায়তা না পেলে এই দ্বিতীয় দফার করোনা ঢেউয়ে ভেসেই যেতো ফাহিমের সংসার। ফাহিম দা-কুড়াল-শাবল নিয়ে বেরিয়ে পড়লে ঘরের যাবতীয় কাজকর্ম সেরে, মেয়েকে পাশের বাড়ির মায়াজুনের জিম্মায় রেখে ব্যাগে করে সবজি নিয়ে বেরোয় খাদিজা। হাজি সাহেব, মুজাম্মিল মাস্টার বা মিনিট পাঁচেকের পথ হেঁটে কৈলাস বা অমল পালের বাড়ি যেতে যেতে শেষ হয়ে যায় তার শাকসবজি। আছদ্দরের দোকান থেকে কখনো দু’শো গ্রাম তেল, সোয়া কিলো আলু, কুড়ি টাকার পেঁয়াজ-রসুন বা নোনতা বিস্কুট নিয়ে বাড়ির পথ ধরে।

 

-হারাদিন বাড়িত বইয়া কামর কম অউ এখান করছো তুমি। এখন ইতা মাত আমারে হুনাইয়ো না। 

মেয়ের জন্য দুধ নিয়ে আসার পর দুধের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে কথা উঠলে চাঁচাছোলা ভাষায় ফাহিমকে আক্রমণ করে খাদিজা। এই চরম দুঃসময়ে আরেকটা সন্তান চায়নি সে। ফাহিমও একমত ছিল। কিন্তু কথা আর কাজের অমিলে অভাবের সংসারে আজ আরেকটা পেটের সংযোজন হয়েছে।

বিশালাকায় ঢিবির চারপাশে ইঁট-সিমেন্টের দেওয়ালের কাজ শুরু হয়ে গেছে। হাফওয়াল হয়ে যাবার পর বাকি অর্ধেকটা ঘেরাও করে হবে কাঁটাতারে। তারপর ধীরে ধীরে উর্ধ্বপানে উঠবে অট্টালিকা। আসল মালিকের নাম নাসের মিঞা জানলেও, ফাহিম-তাজুল-মলয়রা তা জানতে চাইলে দিব্যি কথার পাশ কাটিয়ে অন্য কথায় চলে যায়। হাবভাব এমন যে কারো কথা শোনার মতো সময়ই নেই তার কাছে। অথচ নিজের পছন্দের প্রার্থী জেতানোর জন্য মাস দুয়েক আগেও সকাল-বিকাল দু’বার করে কলোনির চক্কর লাগিয়েছে। মায়ের পেটের ভাইও এতটা আপন হয় না, যতটা আপন এই নাসের দিন কতকের জন্য প্রান্তিক মানুষগুলোর সুখ দুঃখে হয়ে গিয়েছিলো। পানীয় জল থেকে শুরু করে রোজগার – সব ব্যাপারে তার মুখে ফুটেছে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। বাকপটু মানুষটার কথায় কলোনির দু-ডজন পরিবার সত্যিই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। নিজের নামে একটুকরো মাটি হবে এই স্বপ্নটা কলোনির প্রত্যেকের। সুযোগ বুঝে সেটাকেই হাতিয়ার করে প্রায় বিনা খরচে এতগুলো ভোট পছন্দের প্রার্থীর পালে তুলেছে নাসের। ভোটের পর তাজুলদের জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যাটাকে আর পাত্তাই দিচ্ছে না। ভিটেমাটিটুকু কাগজ করে দেওয়ার ওয়াদা হাওয়া হয়ে গেছে। ওসব কথা এখন একটা বারের জন্য মুখে তোলে না। ঠিকাদারির কাজ আগে থেকে বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততা যতটা না বেড়েছে, তার থেকে বেশি ব্যস্ত আজকাল সে নিজেকে দেখায়। খেটে খাওয়া মানুষগুলো কিছুদিনের মধ্যেই সব টের পেয়ে যথারীতি অদৃষ্টের দোহাই দিয়ে স্বীকার করে নিয়েছে সবকিছু। কপালকে সর্বদোষের দোষী সাব্যস্ত করে যুগ যুগ ধরে নিজেদের সান্ত্বনা দিয়ে এসেছে। নাসেরদের মতো সুযোগসন্ধানীদের সাত খুন মাফ করার ব্যাপারে এরা পাহাড়প্রমাণ হৃদয় রাখে। অবহেলা আর বঞ্চনাকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মানুষদের সহ্য ক্ষমতাটাই হয়তো সবচেয়ে বড় শত্রু। 

সপ্তাহ শেষে পেমেন্ট হয় ফাহিমদের। নির্ধারিত পরিমাণ থেকে কুড়ি থাকা বেশি পেয়ে আজকে সবার চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তাজুলের ছেলেটা গত বছরের এপ্রিল মাসে চেন্নাই থেকে এসেছিল আর যায়নি। বাপের সাথে এসব কাজে বেরোতে তার লজ্জা। ক্রমশ ধনুকের মতো বেঁকে যাওয়া শরীরটাকে নিয়ে এই বয়সেও মলয়-ফাহিমদের টক্কর দেওয়ার হিম্মত রাখে তাজুল। তবে বেলাশেষে সফেদ দাড়িতে তার শুকনো মুখখানা আমসির মতো দেখায়। বিশ টাকায় আজকালকার যুগে কিছু পাওয়া যায় না ঠিক, কিন্তু মহামারীর এই দুর্দিনে অপ্রত্যাশিত এই রোজগারে মনে মনে সবাই দোয়া করে সেই নাদেখা সাহেবকে আর তার সাথে এতো কিছুর পরেও নাসের মিঞাকে। তবে মূল শহর এখান থেকে মাইল পাঁচেকের রাস্তা তবুও এখানে কেন এতো বড় করে ডেরা পাততে যাচ্ছে অচেনা বড়লোক মানুষটা? নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে ফাহিম-মলয়রা। উত্তর না পেয়ে নিজের মধ্যেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে বিচলিত হয় তার মন। খাদিজাকে বলতে গেলে সেও গজগজ করে ওঠে। 

-অতোদিন কাম কাজ না থাকায় ঘরো বই রইলায়, এলকু কাম এখান পাইছো তে তুমার আজারি চিন্তা যতো।

ভ্যাপসা গরমে ঘুম আসছে না। চার-পাঁচদিন ধরে একটুও বৃষ্টি হয়নি। সন্ধ্যে রাত থেকেই দূরের আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। বৃষ্টি নামলে ঘুমটা ভালো আসতো। বিড়ি ফেলে ঘরে ঢুকে পড়ে ফাহিম। মেয়েকে আঁচলের তলায় রেখে চোখ বুজে পড়ে আছে খাদিজা। লণ্ঠনের আলো কোমরের উপরের আঢাকা অঞ্চলে পড়লে শরীর সাড়া দেয় ফাহিমের। মুখ ফুটে কিছু বলবার সাহস হয় না। আগামী তিনদিন কাজে যেতে হবে না। ঠিকাদার নাসের গুয়াহাটি যাচ্ছে। আসার পরে খবর দেবে। বাতি নেভানোর আগে ঈশমের মুখে চোখ আটকে গেলে মুচকি হাসে সে। সারা দিনে দৌড়ঝাঁপের ক্লান্তি শেষে কাদা হয়ে ঘুমাচ্ছে। গায়ের গেঞ্জি দিয়ে মুখের লালা মুছে দেয় ফাহিম। 

-এরে জানো নি আব্বা আইজ অউ বড় কাউয়া অগুয়ে আমার হাত থনে বন লইয়া গেছে গি। খালি এক কামড় খাইছি আর খাইতে পারছি না।    

কাজ থেকে আসার পর কাঁদোকাঁদো হয়ে বাপকে বিচার দিচ্ছিলো ঈশম। আশপাশের সমবয়সীরা তার হয়ে সাক্ষী দিচ্ছিল। ব্যাপারটা খানিকটা রাগের সাথে ভয়েরও উদ্রেক করেছিলো বটে। কচি বাচ্চাদের এভাবে আক্রমণ করলে বা ঠোকর মারলে তো মুশকিল! নয়া উপদ্রবের সুরাহা ভাবতে গিয়ে সারা ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজেও গুলতিটা পেলো না ফাহিম। আগামী ক’দিন তো আর কাজ নেই। ঘর- গেরস্তের কাজের সাথে নতুন একটা গুলতি বানাতে হবে।

শেষরাতে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলে রসুইয়ের একটা জায়গায় বালতি বসিয়ে এসেছে খাদিজা। জলের ছিটা লাকড়ি-চুলোতে পড়লে সকালে চা-বানাতে হুজ্জুতি হবে। ফাহিমের ঘুম ভাঙলো কলোনির মানুষের চিৎকার-চেঁচামেচিতে। ঘর থেকে বারান্দায় বের হতেই পায়ের নিচ হতে মাটি সরে গেলো তার। হলুদ রঙের জেসিবিটা রাক্ষুসে দাঁত বের করে আস্তে আস্তে এদিকে এগোচ্ছে। আর তিনটে ঘর পেরোলেই তার পালা। রক্ত জল করা পরিশ্রমে গড়া আশিয়ানা অবলীলায় ভেঙে চলেছে জেসিবি। ক’পা এগিয়ে জানতে পারে যে এই উচ্ছেদ অভিযানের নির্দেশ সোজা সরকার থেকে এসেছে। সরকারি জমিতে আর তাদের থাকতে দেওয়া হবে না। শুধু এখানেই নয় সারা রাজ্য জুড়ে সরকারি জমি উদ্ধারে নেমেছে বন বিভাগ। দু’চোখে অন্ধকার দেখে ফাহিম। বিষণ্ণ আকাশে এদিক ওদিক থেকে অনেক কালো মেঘ আস্তানা গেড়েছে। এক্ষুনি হয়তো জোরে বৃষ্টি নামবে। নিজের ঘরের দিকে চোখ ফেরালে আশ্চর্য হয় সে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও গামছা দিয়ে বুকের সাথে মেয়েকে বেঁধে রেখে বিছানার চাদরের বোঁচকায় প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র জড়ো করে রেখেছে খাদিজা। 

ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সংবাদ মাধ্যম, এনজিও, কিছু মানবদরদী ব্যক্তিত্বের সাথে ধ্বংসের সাক্ষী হতে তাদের মতোই কিছু সাধারণ মানুষ এসেছে। ভাবলেশহীন চোখে নিঃশব্দে দেখে যাচ্ছে তারা। নিজের ঘর ভাঙতে দেখলেও কি এভাবে তাকিয়ে থাকতো? একটু রাগ করে পরক্ষণেই আবার শান্ত হয় সে। সে নিজেও তো চুপচাপ তাকিয়ে দেখছে! আদৌ কিছু কি করার আছে! জানে না ফাহিম। একে একে সবাই চলে গেলে একা দাঁড়িয়ে থাকে সে। বাপের আঙুল ধরে অবাক ঈশমের কান্না থেমে গেছে; ঘুম থেকে উঠে বসে কাঁদছিল। খাদিজা মায়াজুনদের সাথে পা-বাড়িয়েছে। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলে বড় একটা গাছের নিচে আশ্রয় নেয় বাপ-ব্যাটা। তীব্র বর্ষণ ধরে রাখতে অক্ষম হয় গাছ-পাতারা। গাছের গা বেয়ে তরতরিয়ে নেমে আসছে বৃষ্টির জল। ধ্বংসাবশেষটুকু লহমায় ভাসিয়ে নিয়ে চোখের সামনেই ইতিহাস করে দিতে চায় ফাহিমদের যাবতীয় অস্তিত্বকে। রিমঝিম শব্দে লম্বাটে গাড়িটা কখন এতটা কাছে এসে গেছে টের পায় না ফাহিম। ঈশম আঙুল ধরে টানতে থাকলে ঘাড় ফিরিয়ে দেখে সে। পথের ধারে থামা গাড়িটার গ্লাস নামলে প্রথমেই ভেতরে বসা নাসের মিঞার ওপর চোখ যায় ফাহিমের। পুরু গোঁফওয়ালা লোকটা চশমা খুলতেই বুকের ভেতর ছ্যাঁত করে ওঠে। এই ক্রূর দৃষ্টির সাথে পরিচিত সে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পুরো এলাকাটা জরিপ করে নিচ্ছেন কোট পরা লোকটি। আধ মিনিটের মাথায় গাড়ির গ্লাস আবার উপরে ওঠার সময় সে টের পায় ঈশম ঠকঠক করে কাঁপছে। তাহলে কি ব্যাপারটা ঈশমেরও চোখ এড়ায়নি? ছেলেকে কোলে তুলে নেয় ফাহিম। গাড়ি ততক্ষণে মাঝ রাস্তায় উঠে গেছে। কিছুদূর এগিয়ে গেলে সাদা গাড়িটির উপরে শূন্যে উড়তে থাকা সর্বভুকটাকে ঠিক দেখতে পায় ফাহিম। বাপের বুকে মুখ লুকিয়ে ডুকরে ওঠে ঈশম।

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত