| 25 এপ্রিল 2024
Categories
শিশু-কিশোর কলধ্বনি

শিশুদের আঁকাবাঁকা দাঁত

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

                        

একটি সুস্থ সুন্দর হাসির প্রধান পূর্বশর্ত হলো সুন্দর দাঁত।দাঁতের যথাযথ যত্ন নেওয়া আমাদের উচিত।দাঁত আমাদের সুন্দর হাসির সাথে সাথে আমাদের মুখমন্ডলের আকার আকৃতি সৌন্দর্য সব কিছুর উপর প্রভাব ফেলে।

সাধারনত ছয় মাস বয়সে প্রথম দাঁত উঠা শুরু করে।কারো কারো দাঁত নির্দিষ্ট সময়ের আগে পড়ে যায়,কারো কারো দাঁত উঠলেও মাড়ি ভেদ করে বের হয়ে আসতে পারেনা,আবার কারো কারো দাঁত উচুঁ-নিচু,আবার কারো কারো আঁকাবাঁকা। যখন দুধের দাঁত পড়ে গিয়ে আবার নতুন করে দাঁত উঠে তখন নানা রকম সমস্যা হতে পারে অনেকের।এর মধ্যে একটি প্রধান সমস্যা হলো আঁকা বাঁকা দাঁত বা উচুঁনিচু দাঁত।


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com


কেন হয়?
১)জন্মগত বা বংশগত হতে পারে।
২)আঘাতজনিত কারনে
৩)নির্দিষ্ট সময়ের আগে দুধের দাঁত পড়ে গেলে।
৪)খাদ্যাভ্যাস
৫)জিহবা দিয়ে দাঁতে অনবরত ঠেলা দিলে।
৬)ঠোঁট কামড়ালে।
৭)নক কামড়ালে।
৮)দাঁতের পজিশন ঠিক না থাকলে।
৯)দাঁতে দাঁতে কামড় দেওয়া (Bruxism)
১০)মুখ দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস চালালে।
১১)কোনো দাঁত মিসিং থাকলে বা অনুপস্থিত থাকলে।
১২)অপুষ্টি জনিত কারনে।
১৩)সুপারনিউমেরিক টুথ যেটাকে অনেকে গেজ দাঁত বলে থাকেন।
১৪)মুখে টোটাল দাঁত থেকে যদি বেশি দাঁত থাকে।
১৫)ডেন্টাল ক্যারিজ থাকলে।
১৬)জিঞ্জিভাল ও পেরিওডন্টাইটিস এর সমস্যা থাকলে।
১৭)মুখের চোয়ালের আকার ছোট হলে।
১৮)মুখের আকৃতি থেকে দাঁত বেশি বা দাঁতের আকার বড় হলে।
১৯)সিফিলিটিক ইনফেকশন।

২০)মুখে কোনো গ্রোথ যেমনঃটিউমার, সিস্ট থাকলে দাঁতের পজিশন পরিবর্তন হয়ে যায়।


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com


যদি উপরোক্ত সমস্যা গুলো থাকে তাহলে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে-
১)কথা বলতে অসুবিধা হয়।
২)দাঁতে দাঁতে ঘর্ষন হয়ে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।
৩)বেখেয়ালে দাঁতের কামড় ঠোটে পড়ে আলসার বা ঘা হতে পারে।
৪)মাড়িতে প্রদাহ হতে পারে।
৫)ডেন্টাল ক্যারিজ হতে পারে।
৬)দাঁতে অতিরিক্ত প্লাক জমা হতে পারে।
৭)পর্যাপ্ত দাঁত পরিষ্কার করতে না পাড়ায় দাঁতের রঙ পরিবর্তন হতে পারে।
চিকিৎসা ঃ
৯-১৩ বছরের মধ্যে এই সমস্যার চিকিৎসা নেওয়া উচিত।সাধারনত এই সমস্যার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন অর্থোডন্টিক্স বা ডেন্টাল স্পেশালিষ্ট। সমস্যা দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন কিভাবে চিকিৎসা শুরু করবেন।তাই দেরী না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি আপনার সন্তানের দাঁতের চিকিৎসা শুরু করে দিন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত