| 29 মার্চ 2024
Categories
ইতিহাস

হুগলীর ডাকাত কালী ও ডাকাতদের গল্প । সুচিন্ত্য মল্লিক

আনুমানিক পঠনকাল: 8 মিনিট

হুগলীর ডাকাতদের সঙ্গে কালীর নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ডাকাতরা দিনের বেলায় নিজেদের স্বাভাবিক পেশায় যুক্ত থাকত আর রাতের অন্ধকারে তারা সিদ্ধেশ্বরী কালীর কাছে কার্যসিদ্ধির আশীর্বাদ নিয়ে বেরিয়ে পড়ত ডাকাতির উদ্দেশ্যে। কখনও ধনী ব্যক্তিদের বাড়িতে বা পণ্যবাহী নৌকায়, কখনও বা নীলকুঠিতে তারা লুঠপাট চালাত। কেউ কেউ নাকি অতিরিক্ত ধন-সম্পত্তি গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিত বলেও জনশ্রুতি। বাংলার ডাকাতদের এই ‘রবিন হুড’ ইমেজের জন্যই হয়তো বা সাধারণ মানুষের মধ্যে ডাকাত ও ডাকাত কালী নিয়ে বিশেষ কৌতূহল। হুগলীর ডাকাতরা মূলত জলপথে যাতায়াত করত বলেই হয়তো হুগলী নদীর তীরবর্তী জঙ্গলাকীর্ণ জায়গাগুলোই ছিল তাদের গোপন আস্তানা, আর এই সব অঞ্চলেই তৈরি হয়েছিল ডাকাত কালীর মন্দিরগুলো।

IMG_2702

ডুমুরদহের ডাকাত কালী ও বিশে ডাকাত

এরকমই এক জঙ্গলাকীর্ণ গঙ্গা-তীরবর্তী দ্বীপ বা দহের নাম ডুমুরদহ। এখানে রয়েছে একটি অতি প্রাচীন কালী মন্দির যা বুনো কালী মন্দির নামেই পরিচিত। পিরামিড আকৃতি চারচালাযুক্ত একতলা সাদামাটা মন্দিরটির স্থাপত্যে আধুনিক কালের নির্মাণের ছাপ স্পষ্ট। সামনে রয়েছে বাঁধানো চাতাল। বাইরে তোরণ দ্বার। এককালে বলির প্রচলন ছিল, তবে বর্তমানে বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। কারোর কোনো মানত থাকলে ছাগলের কান কেটে বেলপাতায় করে অর্ঘ্য দেবার রীতি চালু আছে। নাম বুনো কালী হলেও একটু খানা-তল্লাশি করতেই বেরিয়ে পড়ল এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িত ডাকাতদের গল্প। বুনো কালী মায়ের মন্দিরের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ডুমুরদহের বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওরফে বিশে ডাকাতের নাম।

wm-edited-7005

wm-edited-6998

wm-edited-7009

প্রাচীন চণ্ডী মূর্তি, ডুমুরদহ

ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যখন বাংলার ডাকাতদের সামলাতে ব্রিটিশ সরকারের হিমশিম অবস্থা, তখন ডুমুরদহের বিশে ডাকাত ইংরেজদের কাছে ত্রাস স্বরূপ ছিলেন বলে শোনা যায়। দুর্গাচরণ রায়, ডুমুরদহ প্রসঙ্গে তাঁর ‘দেবগণের মর্ত্যে আগমন’ বইতে লিখেছেন-
প্রায় ৬০ বৎসর অতীত হইলো বিখ্যাত ডাকাত বিশ্বনাথবাবু এখানে বাস করিতেন। ইহার অধীনে ডাকাইতেরা নৌকাযোগে যশোহর পর্যন্ত্য ডাকাতি করিয়ে বেড়াইত। ডুমুরদহ অঞ্চলে গঙ্গার ধরে তার এক প্রকান্ড বাড়ি ছিল, যেখান থেকে নদীর বহুদূর অব্দি নজর রাখা সম্ভব হতো।”…
আজ সেই বাড়িও নেই, সেই ডাকাতরাও নেই। কিন্তু স্থানীয় মানুষের স্মৃতিতে আজও রয়ে গেছে সেই সব ডাকাতদের গল্প। একটু উস্কে দিলেই বিস্মৃতির অতল থেকে ভেসে আসতে থাকে সেই সব গল্পকথা। মন্দিরের বর্তমান সেবায়েত শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটু গল্প করতেই বেরিয়ে পড়ল সে গল্প…
রত্নেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন এই ডুমুরদহের জমিদারির আদি পুরুষ। বাঙলার নবাব মুর্শিদ কুলি খানের আমলে কোনো এক ষড়যন্ত্র থেকে উদ্ধার করার সুবাদে তিনি নবাবের থেকে রায় উপাধি সহ বর্ধমান, কাটোয়া সহ সাতটি অঞ্চলের অধিকার পান। পলাশীর পরে এই রায়-বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের উত্তর পুরুষরাই ডাকাতিতে লিপ্ত হন বলে শোনা যায়। আর যখন তাঁরা ডাকাতিতে যেতেন তার আগে এই মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে যেতেন।
ডুমুরদহের বুনো কালী মাতার মন্দিরের পাশে রয়েছে একটি চারচালা ভৈরব মন্দির। মন্দিরটির অবক্ষয়প্রাপ্ত টেরাকোটার কাজ লক্ষণীয়।

wm-DSC_7020-13

প্রাচীন শিব মন্দির, ডুমুরদহ

ডাকাত কালী মন্দিরে নরবলি

ডাকাত কালীর প্রসঙ্গ এলে স্বাভাবিকভাবেই নরবলির কথাও চলেই আসে। সেকালে শাক্ত উপাসনায় নরবলির প্রথা ছিল এ কথা সকলেই জানেন। ডাকাতরাও অনেকে ডাকাতি করতে বেরোনোর আগে নরবলি দিত বলে শোনা যায়। ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে বেশ কিছু সংবাদপত্রে নরবলির উল্লেখ পাওয়া যায় আছে। ১৮৩৪ থেকে ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ অবধি বিভিন্ন সময়ে হুগলী জেলায় নরবলির সংবাদ পাওয়া যেত। ১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা জুলাই তারিখের সমাচার-দর্পনে প্রকাশিত একটি সংবাদে হুগলী জেলার একটি নরবলির বর্ণনা করা হয়–
কিয়দ্দিবস হইল জেলা হুগলির অন্তর্বর্ত্তি কালীপুর গ্রামে এক সিদ্ধেশরী আছেন তাঁহাকে পূজা করিয়া একদিবস পূজারিরা দ্বারবদ্ধ করণান্তর গমন করিয়াছিল পরদিবস তথায় আসিয়া ঐ পূজারিরা দেখিলেক যে কতকগুলিন ছাগ ও এক মহিষ ও এক নর ঐ সিদ্ধেশরীর সম্মুখে ছেদিত হইয়া পড়িয়া আছে ইহাতে তাহারা অনুমান করিলেক যে পূর্ব রজনীতে কেহ পূজা দিয়া থাকিবেক, ইহাতে পূজারিরা নরবলী দেখিয়া রিপোর্ট করাতে তত্রস্থ রাজপুরুষ অস্ত্রশস্ত্রাদি সম্বলিত বহুলোক সমভিব্যহারে তথায় আসিয়া অনেক সন্ধান করিলেন কিন্তু তথায় কিছু অবধারিত হয় নাই আমরা অনুমান করি যে দস্যুরদিগের কর্ত্তৃক এরূপ কর্ম্ম হইয়া থাকিবেক।
হুগলীতে এরকম বেশ কিছু ডাকাত কালী মন্দির রয়েছে যেখানে কখনও না কখনও নরবলি হ’ত বলে শোনা যায়।

ত্রিবেণীর ডাকাত কালী ও রঘু ডাকাত

ডাকাত কালীর সন্ধানে, গঙ্গার পশ্চিম তীর বরাবর ডুমুরদহ থেকে যদি আরো কিছুটা দক্ষিণে ও ২০০ বছর পিছিয়ে যাওয়া যায়, আমরা পৌঁছে যাব রঘু ডাকাতের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিবেণীর বাসুদেবপুরের ডাকাত কালী মন্দিরে। যে সাতটি গ্রাম নিয়ে সপ্তগ্রামের সৃষ্টি তার অন্যতম বাসুদেবপুর। ত্রিবেণী ঘাটের এক কিলোমিটারের মধ্যে দুটি প্রধান রাস্তার সংযোগস্থলের পাশেই জঙ্গলাকীর্ণ স্থানে রয়েছে এই ডাকাত কালীর মন্দির। বাসুদেবপুরের দুই কুখ্যাত ডাকাত রঘু ডাকাত আর বুধো ডাকাত। এই দুই ডাকাতের আরাধ্যা দক্ষিণা কালী মন্দিরটি গম্বুজাকার, এক চূড়াবিশিষ্ট, এবং সামনে বিশাল চাতাল। মন্দিরের পিছনে রয়েছে একটি পুকুর যেখানে নাকি ডাকাতরা স্নান সেরে পুজো দিত বলে শোনা যায়।

wm-edited-6884

মন্দির চত্বর

wm-edited-6899

wm-edited-6887
ডাকাত কালী, বাসুদেবপুর, ত্রিবেণী

বর্তমানে মন্দিরটির বাইরের রূপে সংস্কারের ফলে আজবেস্টস, টাইলস ইত্যাদি আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও প্রাচীন পরম্পরাগুলি সবই আজও বজায় আছে। মন্দিরের বর্তমান সেবায়েত সুমন চক্রবর্তীর পিতা কানাইলাল চক্রবর্তীর কাছে জানা গেল সেই সব পুরনো গল্প…
আজ থেকে ৪০-৫০ বছর আগেও এই স্থান ছিল ঘন জঙ্গলে ভরা, জনবসতিহীন। দুপুর ৩টের পর এই অঞ্চলের ছায়া মাড়ানোও ছিল দুঃস্বপ্নের সামিল। এই ডাকাত কালী মন্দিরে নরবলির রীতি চালু ছিল। বর্তমানে প্রতি অমাবস্যাতে ছাগবলি দেয়ার রীতি প্রচলিত আছে। বিশেষ বিশেষ পুজোর দিনগুলোতে মা-কে ল্যাটামাছ পোড়া ভোগ দেওয়া হয়। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষে অন্নকূট এবং কার্তিক মাসের দীপাবলি এই মন্দিরের প্রধান উৎসব, এবং সেই উৎসব উপলক্ষে এই মন্দিরে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়।

সিঙ্গুরের ডাকাত কালী ও গগন ডাকাত

বাসুদেবপুরের মতই আরেকটি জঙ্গলাকীর্ণ স্থান ছিল হুগলীর সিঙ্গুর। চন্দননগরের নিকটবর্তী এই সিঙ্গুর এক কালে ডাকাতির জন্য কুখ্যাত ছিল। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর জমিদারী প্রথার বিলোপের পর বাঙলার বিভিন্ন স্থানীয় জমিদারদের লেঠেল বাহিনীর লোকেরা দলবদ্ধ হয়ে ডাকাত দল তৈরি করত আর প্রশাসনের নজর এড়ানোর জন্য জমিদারদের আশ্রয়ে আত্মগোপন করে থাকত। জমিদাররাও অনেকেই তাদের পুরনো কর্মচারীদেরকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিত। ব্যাকল্যান্ড সাহেব লিখেছেন, “Landowners who too often are more interested in sheltering the criminal than in giving him up to justice.”

এই সিঙ্গুরের পুরুষোত্তমপুরে রয়েছে একটি শতাব্দী প্রাচীন ডাকাত কালীর মন্দির। শোনা যায়, মা সারদা একবার এই পথে ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব কে দেখতে যাওয়ার সময় এই পুরুষোত্তমপুরের গগন ডাকাতের খপ্পরে পড়েন। কিন্তু এর পর একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে এবং সারদা মায়ের মধ্যে মা কালীর রূপ দর্শন করে ডাকাত দল পথ ছেড়ে দেয়। ডাকাতরা সারদা মা-কে চাল কলাই ভাজা খেতে দেন। এর পর থেকেই চাল কলাই ভাজা ও কারন মদ হয়ে ওঠে পুরুষোত্তমপুরের মা কালীর মূল প্রসাদ। মন্দিরের পুরোহিত সুদীপ্ত সিমলাই এর মুখে জানা গেল, বংশ পরম্পরায় তাঁরা সাত পুরুষ ধরে মায়ের পূজা করে আসছেন। আগে কোনও মূর্তি ছিলনা, ঘটে পুজো হত। পরবর্তীকালে নিকটবর্তী চালকেপাটি বাঁকিপুর গ্রামের মোড়লরা বর্তমানের সুদৃশ্য আটচালা মন্দিরটির নির্মাণ করে দেন।
মন্দির গাত্রে টেরাকোটার কাজ লক্ষ্যণীয়। তিন খিলান যুক্ত এই মন্দিরের একটিই প্রবেশ দ্বার। মন্দির সম্মুখে চাঁদনী স্বরুপ একটি নাটমন্দির রয়েছে। দীপাবলি কালীপুজো হয় তন্ত্রমতে। চার প্রহরে চারবার মায়ের পুজো হয়। নয় রকম বলি দেয়া হয়। এক কালে যথেচ্ছ ছাগবলি চালু থাকলেও বর্তমানে তার সংখ্যা ১০-১২ তে এসে ঠেকেছে।

wm-edited-8959

wm-edited-8948

wm-edited-6955

wm-edited-6938

ডাকাত কালী, সিঙ্গুর

wm-edited-6956

প্রাচীন টেরাকোটা প্যানেল

wm-edited-6948

জিরাটের ডাকাত কালী ও কেলে ডাকাত

হুগলীর জিরাট গ্রামের নামটি এসেছে ফারসি ‘জিরায়ৎ’ শব্দ থেকে। এই জিরাট গ্রামের প্রাচীন ইতিহাস তিনটি পরিবারকে কেন্দ্র করে, চক্রবর্তী, গোস্বামী ও মুখোপাধ্যায় পরিবার। জিরাটের ডাকাত কালী সম্পর্কে আমরা চোখ রাখব মুখোপাধ্যায় বংশের পারিবারিক ইতিহাসে। বিতর্কের অবকাশ থাকলেও, জিরাটের কালিয়াগড়ের কালী এদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন, আর তার ইতিহাসও ঘটনাবহুল। জনশ্রুতি এরকম, গঙ্গার পশ্চিম পাড় থেকে দুর্ঘটনাবশত এক ব্রাহ্মন সন্তান জিরাটে এসে পৌঁছান, এবং স্বপ্নাদেশ পেয়ে এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। বংশ পরম্পরায় তাঁরা মুখোপাধ্যায় হলেও মা কালীর পুজার অধিকারী ছিলেন বলে তাঁরা অধিকারী পদবি গ্রহণ করেন। এই বংশেরই আদি পুরুষ কাশীনাথ অধিকারী। তাঁর দুই কন্যা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন গোস্বামী ও চক্রবর্তী পরিবারের সাথে। সপ্তদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে এই পরিবারের বংশধররা হুগলীর ডাচ ও ইংরেজ বণিকদের সাথে ব্যবসায়িক সূত্রে জড়িয়ে পরেন। বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই বংশেরই বংশধর।

wm-edited-9023

সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের সংস্কার কার্য চলা কালীন ছবি, ২০১৮

ফিরে আসি কালী মন্দিরে। মন্দিরের ফলক থেকে জানা যায়, এই মন্দির সতীর বলয়োপ-পীঠ গুলোর মধ্যে একটি। পুরাণ অনুসারে, দেবী সতীর দেহাংশ যেখানে আছে, সেগুলি শক্তিপীঠ, আর হাতের বালা বা বলয় যেখানে পরেছিল, সেগুলি বলয়োপ-পীঠ। জনশ্রুতি অনুসারে, কালির গড় থেকে এই স্থানের নাম কালিয়াগড় হয়। আবার কারোর কারোর মতে যে ডাকাতের হাতে এই কালি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা তার নাম ছিল কেলে ডাকাত, এবং তার নাম থেকেই এই স্থানের নাম হয় কালিয়াগড়। তবে সে ঘটনা, এই পারিবারিক ইতিহাসের বহু আগের ঘটনা এবং কোনও প্রামান্য নেই। পরিবারের বর্তমান সদস্যরাও এই মন্দিরের সঙ্গে ডাকাতদের সম্পর্ক অস্বীকার করেন। কিন্তু লোকমুখে এই মন্দির ডাকাত কালী মন্দির হিসাবেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। জনশ্রুতির কতটা সত্য আর কতটা মানুষের মনগড়া তা বিচার করার উপায় নেই। জিরাটের আগের নাম ছিল মহম্মদপুর। সেযুগে এই অঞ্চল জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। মন্দিরের ঠিক পাশ দিয়েই বয়ে যেত গঙ্গা নদী। যদিও বর্তমানে খালি চোখে দেখে নদীর অস্তিত্ব বোঝার উপায় নেই। কালের নিয়মে গঙ্গা তার গতিপথ বদলালেও মন্দির সংলগ্ন ঘাটে নামার সিঁড়ি দেখে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। সিদ্ধেশ্বরী মাতার মন্দিরের পাশেই রয়েছে কালভৈরবের মন্দির।

wm-edited-9018

কালভৈরব মন্দির 

wm-edited-9017

wm-edited-9030

কিছু বছর অন্তর দেবীর অঙ্গরাগ করানো হয়, যদিও প্রাচীন মূল কাঠামোটি আজও অক্ষত। পঞ্চমুণ্ডির আসনের উপর দেবী অধিষ্ঠিতা। দেবীর পুজা হয় তন্ত্রমতে। বর্তমানে পারিবারিক হস্তক্ষেপে রাত্রে বলি বন্ধ হয়েছে, সীমিত বলির আয়োজন করা হয়, বিশেষ অনুষ্ঠান বা মানত উপলক্ষে। কালভৈরব মন্দিরটি আগেই সংস্কার করা হয়েছিল। কালী মন্দিরটিও সম্প্রতি পারিবারিক প্রচেষ্টায় সংস্কার করা হয়েছে।

wm-edited-9011
সিদ্ধেশ্বরী কালী, জিরাট

বিশেষ কৃতজ্ঞতা
সুদীপ্ত পিপলাই (সেবায়েত, পুরুষোত্তমপুর ডাকাত কালী মন্দির )
কানাইলাল চক্রবর্তী (সেবায়েত, বাসুদেবপুর ডাকাত কালী মন্দির )
রত্নেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (সেবায়েত, ডুমুরদহ ডাকাত কালী মন্দির )

গ্রন্থঋণ

হুগলীর ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ – সুধীর কুমার মিত্র বিদ্যাবিনোদ
পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি – বিনয় ঘোষ
Bengal District Gazetteers – Hooghly – L.S.S. O’Malley

রোহিনীকান্ত মুখোপাধ্যায় প্রণীত কুলসার সংগ্রহ

ছবি, গবেষনা ও লেখা
সুচিন্ত্য মল্লিক

ক্ষেত্র সমীক্ষা ও সম্পাদনা
শঙ্খ শুভ্র গঙ্গোপাধ্যায়

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত