ফিরে এসেছেন প্রিন্সেস ডায়না

Reading Time: < 1 minute

শিশুমন না জানি কখন কী বলে। বানিয়ে বানিয়ে নানা মজার কথাই শোনা যায় তাদের মুখ থেকে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার খুদে যা বলছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। কারণ আর পাঁচটা শিশুর পক্ষে সেসব বলা কখনওই সম্ভব নয়। মাত্র চার বছর বয়সে সে দাবি করেছে সে কোনও সাধারণ শিশু নয়। আসলে গতজন্মে সে-ই ছিল প্রিন্সেস ডায়না। এভাবেই ফিরে এসেছেন তিনি।

বছর চারেকের ওই শিশুর নাম বিলি। তার বাবা ডেভিড ক্যাম্পবেল অস্ট্রেলিয়ার টিভি সঞ্চালক। তিনি জানান, মাত্র দুই বছর বয়স থেকেই নিজেকে প্রয়াত ব্রিটিশ প্রিন্সেস ডায়না বলে দাবি করে আসছে বিলি। কিন্তু শুধুই মুখের কথা নয়, ডায়নার জীবনের এমন কিছু ঘটনার খুঁটিনাটি বর্ণনা দিয়েছে সে, যা ওই বয়সের শিশুর পক্ষে জানা বা বলা সম্ভব নয়। এমনটাও নয় যে তার সামনে লেডি ডায়নাকে নিয়ে বাড়ির বড়রা কোনও আলোচনা করতেন। একটি পত্রিকায় ক্যাম্পবেল লেখেন, বিলির বয়স তখন দুই। হঠাৎ একদিন ডায়নার ছবিতে আঙুল দেখিয়ে বিলি বলে, ‘এটা আমি, যখন রাজকন্যা ছিলাম।’ বিলির কথাবার্তা শুনে অনেকেই তাকে জাতিস্মর বলেই দাবি করছেন।

ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে কোনও ধারণা থাকার কথাই নেই বিলির। অথচ সে বলে, ‘জন’ নামে তার এক ভাই ছিল। অদ্ভুত ব্যাপার হল ডায়নার ভাই জন তাঁরও জন্মের আগে মারা গিয়েছিলেন। ডায়নার দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারির নামও জানে বিলি। এখানেই শেষ নয়, প্রিন্সেসের নিবাস বলমোরাল প্রাসাদের হুবহু বর্ণনাও দিতে পারে সে। এমনকী প্রাসাদের কারুকার্যে শিংওয়ালা ঘোড়া ‘ইউনিকর্ন’ রয়েছে বলেও বর্ণনা দিয়েছে বিলি। ছেলের কথা যত শুনেছেন, ততই অবাক হয়েছেন ক্যাম্পবেল।

১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ডায়না। মৃত্যুর মুহূর্তের কথাও বলেছে বিলি। “একদিন আচমকা সাইরেনরা হাজির হল। তারপর থেকেই আমি আর রাজকন্যা রইলাম না।” বলে সে। সেই দিন প্যারিসে পাপারাৎজির তাড়া খেয়ে গাড়িতে সওয়ার হয়ে যাওয়ার পথে সুড়ঙ্গের ভিতরে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন লেডি ডায়না ও তাঁর বন্ধু ডোডি আলফায়েদ। ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>