ঘুঙুর
তোমার ঘুঙুর তালে বেতালে
রাজপথ ভাঙ্গে মন রঙিয়ে
ঠোঁটের ঠোঁটেতে ভেজা স্বপ্ন
কঠিন হাসিতে নব রত্ন।
ঘুঙুর তালেতে রোদের নাচ
তোদের মিছিলে সুরের ঝাঁজ
কাষ্ঠ ভেলায় তোমার দাবি
সেলাই মেশিনে দিদির শাড়ি।
শীতল ঘামেতে, মজুরি ভরে
ঘুঙুর নাচায় মন রাঙিয়ে।
গানপাখি গায়, ঘোড়ার বুকে
ঠোঁটেরা শুয়েই রাজপথ পৌছে অরণ্য কোলে।
এই যে দেখছো ঘাসগুলোকে, তাদের শরীরে
রক্তরা বেয়ে বিবর্তনের ক্যালান্ডারে।
তোমার ঘুঙুর, শুকনো হাসি
ওদের স্বপ্ন, তোমার দাবি
এ বেলা ও বেলা সারাটা বেলা
পেরিয়ে তোমারে পাইনি খুঁজে
তবুও আমরা ছাড়িনি ভেলা
ভাসিয়ে ঘুঙুর রাধার সাজে ।
হোলি
হোলি হোলি চারপাশ,
রঙের বারুদ দিয়ে রাষ্ট্রের আনাচে-কানাচে হোলি বোম/ প্রস্তুত কইরো।
হোলির রক্তে ভিজিয়ে দাও,
রাইফেলের প্রতিটি গুলি হোলিতে ভরুক।
তোমার জন্য একটা লাল বারুদ বানালাম,
এসো, হোলি বোম দিয়া তোমারে স্নান করাই দি।
জোকার
কুয়াশা সকালে
গানের সুর খোঁজে…
কম্বলের নিচে মাটির স্পর্শে
প্রকান্তরের দুখু মারকা দুপুর
শীতের রৌদ্রে
কেউ আমাকে আঘাতপ্রাপ্ত করো
আগুন জ্বালাতে পারো
সারারাত আগুনে পোহাবে,
পিয়ানো বাজিয়ে
রবীন্দ্রসঙ্গীত গাও,
ভোররাতে ঘাসের শিশিরে
কবিতা পাঠ করতে পারো,
অথবা আমাকে জোকার বানিয়ে
মদ্য পান করে মজার আড্ডা দিতে পারো।
কুয়াশা সকালে
ঝুলন্ত তারে
সব জোকারদের পোস্টার
রাজপথ উত্তাল
আর ক্যামেরা হাতে শ্যুট
হচ্ছে বাকি সিনেমার কাহিনী।
ভেবে নাও আমিও
তাদের মধ্যে একজন
জোকার!
সুভান্ডার
ধান পুড়েছে
ক্ষুধা মরেছে
চাষার হাত ঘাম শুকিয়েছে
ভাত রেঁধেছে
ভাত খেয়েছে
চাষার হাত ঘাম জমিয়েছে,
তোদের ঘর তোদের ভাত
চাষার ধান তোদের ভাত
তোদের কর চাষার ধান
ক্ষুধার ভাত চাষার ধান।
লাঙল কাঁধে জমিতে চষে
তোদের ঘরে থালাটি ভরে।
ধান পুড়েছে
ক্ষুধা মরেছে
চাষীর হাত শূণ্য হলো
রাজকোষ ভরে পকেট ভরলো।
তোমার দাম সবার কাছে মূল্যবান,
চাষার দাম আমার কাছে রত্নবান
ক্ষুধা মরেনি মরেছো তুমি
ধান পুড়েনি পুড়েছে গদি
চাষার দেহ সোনার মাটি
আমাদেরই সুভান্ডার।