| 29 মার্চ 2024
Categories
গীতরঙ্গ

গীতরঙ্গ: ঢাকায় গুপ্ত গোষ্ঠীর ফ্রিম্যাসন হল । ইফতেখার শিমূল

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

স্থাপত্য ও রিকশার শহর খ্যাত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে মাত্র চারশ বছর পূর্বে। অথচ এই শহরটিই আজ পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে একটি। আর অসাম্প্রদায়িক বাংলার এ রাজধানীতে সময়ের সাথে সাথে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্থাপত্য। ধানমন্ডির জাহাজ বাড়ি, পুরান ঢাকার হোসেনী দালান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা, আহসান মঞ্জিল ও লালবাগ কেল্লার মত অনেক প্রাচীন স্থাপনাই এখনো ঠায় দাড়িয়ে আছে এই ঢাকার বুকে। তবে এই স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগই আজ অতীতের সৌন্দর্য হারিয়ে জীর্ণপ্রায়। এমনই এক হারানো স্থাপত্য হচ্ছে পুরানো পল্টনের ইহুদিক্লাব নামে পরিচিত ‘ফ্রিম্যাসন হল’।

জিরো পয়েন্টের কাছে পল্টন মোড়। সেখানে ঢাকা মাইক্রোবাস ও কার মালিক সমিতির আড়ালে মুক্তাঙ্গন। তার পাশেই রয়েছে একশ দশ বছরের পুরোনো দো’তলা এই ভবনটি। ভবনটি কারুকাজে খচিত বর্তমানের আধুনিক ভবন কিংবা বুড়িগঙ্গার তীরের আহসান মঞ্জিলের ন্যায় সৌন্দের্যের মূর্ত প্রতীক নয়। আবার লালবাগ কেল্লার মত তুমুল জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানও হয়তো নয়। তবে ঢাকা শহরের অন্যতম একটি প্রাচীন স্থাপত্য এই ফ্রিম্যাসন হল।

‘ফ্রিম্যাসন-১৯১০’ ফলকের প্লেটই বলে দেয় রজতজয়ন্তি, সুবর্নজয়ন্তি ও শতবর্ষ পেরিয়ে আজ এর বয়স প্রায় একশত দশ। তবে অত্যন্ত সাদামাটা এই ভবনের গায়ে ‘ফ্রিম্যাসন-১৯১০’লেখাটিই কৌতুহল সৃষ্টি করে। লোকসমাজে এটা ইহুদিদের ক্লাব, ইহুদিরা গোপন সভাকেন্দ্র কিংবা ইহুদিদের প্রার্থনার জায়গা হিসেবে বেশি পরিচিত ছিল। কিন্তু আশ্চার্যজনক হলেও সত্য যে, ফ্রিম্যাসন শব্দের সঙ্গে ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক অনুপস্থিত। তাহলে এবার জানা যাক ফ্রিম্যাসন সম্পর্কে।

ফ্রিম্যাসন কী?

খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের দিকে রাজা সলোমান কর্তৃক জেরুলামে ‘টেম্পল অব সলোমন’ তৈরির সময় পাথর কাটার জন্য মিস্ত্রি বা ‘মোসনিক'(Masonic) নিয়োগ দেয়া হয়। বলা হয় যে ‘টেম্পল অব সলোমন’ এর নকশা রাজা সলোমান সরাসরি ঈশ্বর থেকে পেয়েছিলেন। নির্মানাধীন ‘টেম্পল অব সলোমন’-কে ঘিরে সেই সময়েই পাথর কাটার মিস্ত্রিদের একটি সংঘ ‘মোসনিকগিল্ড’ গড়ে উঠেছিল। হাইরাম আবিফ ছিলেন সেই সংঘের ‘Master Mason’ বা বর্তমান কালের ভাষায় প্রধান স্থপতি। হাইরাম আবিফ প্রতিদিন নকশার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ তার শিষ্যদের দেখাতেন কাজ করার জন্য এবং বলতেন স্থাপত্য নির্মান শেষ হলে তাদের সবাইকে সম্পূর্ণ স্থাপত্যের নিগূঢ় জ্ঞান জানিয়ে দিবেন। কিন্তু সংঘের কতিপয় ধৈর্যহারা শিষ্য স্থাপত্যের মূল নকশার কাজ শেষ হবার পূর্বেই হাইরাম আবিফকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাকে হত্যা করার পূর্ব মুহূর্তেও বলা হয়েছিল যদি হাইরাম আবিফ তাদেরকে সম্পূর্ণ স্থাপত্য সম্পর্কে জ্ঞান দেয় তবে তারা হাইরাম আবিফকে ছেড়ে দিবে। কিন্তু আবিফ রাজার দেয়া দায়িত্ব পালনের জন্য এবং সততা রক্ষার্থে সম্পূর্ণ স্থাপত্য সম্পর্কে জ্ঞান দিতে অস্বীকার করেন এবং তার শিষ্যদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। দায়িত্ব ও মুক্ত চিন্তার রক্ষায় আবিফের এই আত্মত্যাগ থেকেই ফ্রিম্যাসনরির উদ্ভব। হাইরাম আবিফের মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তাধারা থেকে ‘ফ্রি’(মুক্ত) এবং স্থাপত্য শিল্পী হতে ‘Mason-ম্যাসন’ (কারিগর) শব্দদ্বয়ের সমন্বয়ে ‘ফ্রিম্যাসন’ শব্দের উৎপত্তি। যার শাব্দিক অর্থ ‘মুক্ত কারিগর’। ফ্রিম্যাসনরিদের চোখে মুক্ত এবং স্বাধীন চিন্তার অধিকারী হাইরাম আবিফ একজন সর্বশ্রেষ্ঠ বীর, মহৎপ্রাণ এবং আদর্শ। হাইরাম আবিফ এর সততা ফ্রিম্যাসনারি গোষ্ঠীর আত্মবিশ্বাস এবং সততার মূলভিত্তি। ফ্রিম্যাসনরা অর্থাৎ যারা মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তার অধিকারী তারা সর্বদা তিনটি শত্রুকে- অজ্ঞতা, গোঁড়ামি ও স্বৈরাচারকে ধ্বংস করতে চায়।

বর্তমানের এক শিল্পীর চোখে হাইরাম আবিফ; Image Courtesy: somewhereinblog.net

ফ্রিম্যাসনরিদের প্রাতিষ্ঠানিক উৎপত্তি

ফ্রিম্যাসনরির সদস্যদের ফ্রিম্যাসন বলা হয়। ফ্রিম্যাসনরি বিশ্বের প্রাচীনতম গুপ্ত গোষ্ঠী। আধুনিক ফ্রিম্যাসনরি গোষ্ঠীর উদ্ভব অষ্টাদশ শতকে ইউরোপে মনে করা হলেও প্রকৃতপক্ষে গোষ্ঠীটির শিকড় নিহিত সেই জেরুজালেমের টেম্পল অব সলোমন এর কারিগরদের ভিতরেই। মধ্যযুগে পাথরের কাজ করেন এমন শ্রেণির ব্যক্তিদের নিয়ে শুরু হয় সংঘটি। প্রধানত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের নিয়ে এই সংঘের সূচনা। আঠেরো শতকের দ্বিতীয় দশকে যুক্তরাজ্যে এটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে এবং একই শতকের আশির দশকে লন্ডনে এর সদর দপ্তর স্থাপিত হয়। ফ্রিম্যসনরির কার্যাবলি প্রচলিত সকল ধর্ম থেকে প্রায় ভিন্ন, অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত। মধ্যযুগের ফ্রিম্যাসনদের সমাজে গুপ্ত কৃত্য ছিল বলে তাদরে কার্যাবলি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। মূলত সংগঠনটির গতি-প্রকৃতি ও কার্যাবলি সেখানকার সদস্য ব্যতীত বাহিরের কেউই তেমন জানত না। জানা যায়, তাদের মাঝে তিনটি শ্রেণী বিদ্যমান:

(১) Entered Apprentice: দীক্ষার প্রাথমিক স্তর ছিল এটি।

(২) Fellow Craft: এটি মধ্যবর্তীকালীন ডিগ্রি, এসময় সীমিত পর্যায়ে নানা ধরনের গোপন কার্যের শিক্ষা লাভ করে থাকে।

(৩) Master Mason: এটি তাদের সর্বশেষ শ্রেণী। এই ডিগ্রি অর্জন না করলে গোষ্ঠীর গোপনকৃত্যে অংশগ্রহন করা যায় না। এই শ্রেণীর সদস্য হওয়া-ই প্রত্যেক ফ্রিম্যসনরির মূল লক্ষ্য। কেননা সকল প্রকার গোপন কার্যাবলি এই শ্রেণীর সদস্যদের সাথে আলোচনা করা হয়।

ফ্রিম্যাসনরিদের নিয়ে লেখা একটি বই; Image Courtesy: somewhereinblog.net

ফ্রিম্যাসনরিদের প্রতীক

ফ্রিম্যাসনদের অগাধ বিশ্বাস ছিল জ্যামিতির জ্ঞান ব্যতীত স্থাপত্য বিদ্যা অর্জন করা যায় না। সেজন্য ফ্রিম্যাসনদের প্রতীকে মধ্যবর্তী স্থানে ইংরেজি অক্ষরে ‘G’ সহ কম্পাস এবং স্কয়্যার। মাঝখানের ইংরেজি ‘G’ অক্ষরটি ‘God’ এবং ‘Geometry’ এ দুটি শব্দের প্রতীক। ফ্রিম্যাসনরা মনে করে, ঈশ্বর হলেন মহাবিশ্বের ‘গ্র্যান্ড আর্কিটেক্ট’।

ফ্রিম্যাসনদের প্রতীক; Image Courtesy: somewhereinblog.net

ফ্রিম্যাসনরি সংঘের সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ

ফ্রিম্যাসনরি সংঘ বিশ্বাস করে পৃথিবীর প্রাচীনতম রসহ্যময় সকল জ্ঞান অর্জিত হয়েছে তাদের মাধ্যমেই। ‘পীথাগোরাস’, ‘টলেমি’-র জ্যামিতিক চিন্তাভাবনা ও এই সংঘের এক অনন্য কীর্তি। সপ্তদশ এবং অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং সমাজবিপ্লবের পিছনে ফ্রিম্যাসনরিদের সক্রিয় ভূমিকা বিদ্যমান। প্রখ্যাত ফরাসি লেখক ভলতেয়াল, জার্মান সঙ্গীতবিদ মোজার্ট, মার্কিন বৈজ্ঞানিক বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ও বুশ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গও ছিলেন এই গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য। তাই এই গোষ্ঠীকে যুক্তরাষ্ট্রের অদৃশ্য নিয়ন্তা বলেও মনে করা হয়। এই গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত মধ্যযুগের কুখ্যাত নাইট টেম্পলারদের বিচিত্র কর্মকান্ড। তাছাড়া, ষোড়শ শতকের ইউরোপের ‘জ্ঞানদীপ্তির যুগ’ বা ‘এজ অভ এনলাইটমেন্ট’ এবং সপ্তদশ শতকের ‘ম্যাসনিক গিল্’ বা ‘রাজমিস্ত্রিদের সংঘ’ এর মত উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও বিপ্লবের সাথে এই গোষ্ঠী জড়িত বলে জানা যায়।

পুরানা পল্টনের ফ্রিম্যাসন হলের দেয়ালে লোগো; Image Courtesy: prothomalo.com

ফ্রিম্যাসনারিদের প্রাথমিক কার্যাবলি

তৎকালীন প্রচলিত সকল ধর্মের বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতি বিদ্যমান এখানে। ফ্রিম্যাসনরি নৈতিকতার শিক্ষা দেয়। দাতব্য কাজে উদ্ধুদ্ধ করে এবং রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখায়। মানবাধিকারের প্রতিও তাদের ছিল গভীর শ্রদ্ধাবোধ। সংঘের সদস্যরা ঈশ্বর বিশ্বাসী এবং তারা মনে করেন, আত্মা অমর। সংঘের সভ্যরা যেখানে মিলিত হন সেই জায়গাটিকে ‘লজ’ বলা হয়।

উপমহাদেশে ফ্রিম্যাসনরিদের বিস্তার

উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ইহুদিদের ক্লাব ফ্রিম্যাসন্স প্রতিষ্ঠিত হয় আঠেরো শতকের ত্রিশের দশকে(১৭২৯) কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে। ১৯১৭ সালে লন্ডনে ফ্রিম্যাসন্স আন্দোলন শুরু হওয়ার মাত্র দুইবছর পর ১৯১৯ সালে কলকাতায় এদের যাত্রা শুরু হয়। ১৭৫৩ সালে মাদ্রাজে এবং ১৭৫৮ সালে মুম্বাইয়ে এর প্রসার ঘটে। পাকিস্তানে এর শাখা স্থাপিত হয় ১৮৫৯ সালে লাহোর শহরের আনারকলি নামক স্থানে। ১৯০৪ সালের ৪ এপ্রিল ভূমিকম্পে ক্লাবটি ধ্বংস হলে ১৯১৬ সালে পুন:র্নির্মিত হয়। লাহোর ছাড়াও পাকিস্তানের কোয়েটা, মূলতান, শিয়ালকোট, রাওয়ালপিন্ডি ও পেশোয়ারে এর শাখা গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে ১৯১০ সালে ঢাকার পুরানা পল্টনে এর একটি শাখা স্থাপিত হয়। ‘গ্র্যান্ডলজ অব ইংল্যান্ড’ এর অধীনে এ শাখাটি পরিচালিত হত। ফ্রিম্যাসন্স নাম সত্ত্বেও একসময় পুরানা পল্টন মোড়ে দোতলা প্রাচীন ভবনটি ইহুদিক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ঢাকাবাসীর কাছে এক রহস্যময় এই ক্লাবে ইহুদি সম্প্রদায়ের লোকজন ব্যতীত জনসাধারনের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। ৫০বছর পূর্বেও এ ক্লাবে ইহুদি সম্প্রদায়ের লোকজন ভিড় জমাত। ক্লাবের ভিতর চলত তাদের আলাপ-আলোচনা, গোপন বৈঠক, খাওয়া-দাওয়া ও নাচগান। তবে সবকিছু হতো খুব সতর্কতার সাথে। বাইরে থেকে তার কোনো কিছুই জানা যেতো না। এখানে যারা আসতেন তারাও সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না। ঢাকার পর চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে গোপনীয়ভাবে এই ফ্রিম্যাসনরিদের কয়েকটি শাখা গড়ে ওঠে। সকল শাখাগুলোই তখন গ্র্যান্ডলজ অব ইংল্যান্ড এর অধীনে পরিচালিত হতো।

প্রতিষ্ঠার প্রায় একশ দশ বছর পার হয়ে যাবার পরও পুরানা পল্টনের এই ভবনটি ফ্রিম্যাসন প্রতীকের মাধ্যমে তার অস্তিত্বের জানান দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভবনটির গায়ে শ্বেতপাথরে ‘ফ্রিম্যাসন্স হল-১৯১০’ লেখাটি দেখে ক্লাবটি চলমান মনে হলেও সেখানে আজ আর অবসরে আড্ডা, খেলাধুলা, ধর্মীয় আলোচনা কিংবা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের আসর বসেনা।

১৯১০ সালের ফ্রিম্যাসন হল বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে চিফ একাউন্ট এন্ড পিন্যান্স অফিসারের কার্যালয়; Image Courtesy: prothomalo.com

স্বাধীনতার পর এই ইহুদি ক্লাবটি অনেকটা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। তাদের বেশির ভাগ জমিজামা দখলদারদের হাতে চলে যায়। তখন ঢাকায় দু-চারজন ইহুদি বাস করলেও তারা পরিচয় গোপন করে থাকতেন। ১৯৮০ সালের দিকে বেশিরভাগ ইহুদি ইসরাইল ও আমেরিকা চলে যায়। যাওয়ার সময় ক্লাব ও জমি ঢাকা ডিসি অফিসের বরাবর দলিল করে যান। সেই দলিল সূত্রে ক্লাব ও জমিজামা খাস ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ক্লাবটিতে রমনা থানার ‘তফসিল অফিসের’ কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর জায়গাটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষণ অফিসের নামে লিজ নেওয়া হয়। সাদামাটা এই দোতলা ভবনটি বহুবার সংস্কার করা হলেও শ্বেত পাথরে খোদাইকৃত ‘ফ্রিম্যাসন হল-১৯১০’ আজও তার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত