এবং ভাবনা

Reading Time: < 1 minute

.

হিমাংকের নীচের বিয়োগ শীতলতার পারদ জমিয়ে ফেলতে পারেনা পরাণের উষ্ণতা।
সেকেন্ড কাপে কফি
উড়ে আসে ডাক
তুষার পেরিয়ে

কথারা প্রগলভ ঝলমল
রোদ্দুর বাণ ডেকে যায়
তুমি আর আমি ডুবে যেতে থাকি অনির্দিষ্টে
ফুরিয়ে যায় এমন কোন নির্ণায়ক ক্ষণ নেই

 

২.

মীরা বাঈ রাগিণীতে হাঁটু মুড়ে থাকা বিষন্নতা
মুখ তোলে
মেঘগুলো সরে যাচ্ছে
ব্যালকনি ভেসে আলোর স্বরগ্রাম।
কমলালেবু টুকটুক ঘ্রাণ
পরাণ যেন ডেকে ওঠে
এই রাধিকা এই রৌদ্রছায়া !

হাঁটুতে শক্তি সঞ্চয় করে
বিষন্নতাকে তুড়ি মেরে
উঠে দাঁড়ায়।
স্বপন কিনতে পারা আমীরের মতো
দৃপ্ত
ছান্দসিক নূপুরে
সে হেঁটে যায় করিডোরে
কী সুন্দর!

চারিদিকের কৌতুহলী চোখ
অনাহুত রব
সরে গিয়েও পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকা
সব
সবকিছু উপেক্ষা করে

সে উড়ে উড়ে যায়
জলছবির সব কয়টা রংয়ের আবীর মেখে চোখে

যায় কী সুন্দর সন্ধ্যার সাজে
আলোর দিকে।

কিছু তৃষ্ণা চাতক
কিছু পূর্ণ
পূর্ণতায়
চুম্বক আকর্ষণ
জলদগম্ভীর মায়াকন্ঠ শব্দ

‘তোমার সংগে দেখা না হলে’….

স্বত্ব পুরোটা
ওটুকুতেই।

 

 

৩.

কাল রাতে রূপকথা ছিলো।

ছেলেমানুষি ডুবে এক দুই তিন করে, কবিতা সংগীত আর কামনার মোহর।

পায়ে ঠিক ঠাক জুতোটা মিলে গেলো। চোখে খুশির ঝিলিক! 
হাওয়া শোঁ শোঁ শব্দে টানলো মায়াঘরে…

কোথাও বাজলো সন্তুর
বৃষ্টি নূপুরে
লখিন্দর বীণ
মন বেহুলা
ফণা তুললো
উড়াণ
নিক্কনে।

আয়না বসানো দেয়াল।
যে দিকে চোখ সেদিকেই দু’জন
বিমূর্ত শিল্প যেন

আলো
প্রতিবিম্বে পূর্ণতা।

তৃষাতুর ওষ্ঠে প্রগাঢ় স্পর্শ
যুগল বন্দী হাত
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে।

১২ টার ঘন্টাধ্বনি নেই।
কাল কেউটে নেই
কোন বিরুদ্ধ বাতাসের প্রবেশাধিকার নেই।

সময় থমকে থাকে অবিচল
কবিতা সঙ্গীত আর কামনার মোহন মূর্ছনায়
মায়াঘরে…..
রূপকথা নয়!

 

 

৪.

খসড়া পান্ডুলিপি ছুঁয়ে যায়–
প্রকাশের আগেই।
কাঁটাছেঁড়া ব্যবচ্ছেদবিহীন
সব শব্দগুলো
অনুভব আর 
তুমি
আমারই থাকো।

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>