পবন পালের কবিতা
জল গড়ালো চোখের দেয়াল ঘেঁষে
যেদিন সময় থমকে যাবে কারণ মেনেই,
ফাগুন হাওয়ায় ঝরবে পাতা বারণ জেনেই,
নামগুলো সব বেনামী মেঘে ভেসে
একটু না হয় জল গড়ালোই চোখের দেয়াল ঘেঁষে।
যেদিন রোদে পুড়ে চাঁদ ভুলতে বসবে রাত,
কৃষ্ণচূড়ার অভাব পুষে রিক্ত হবে হাত,
প্রিয়তার মুখ ছবিটা দেখে একটুকরো হেসে
না হয় জল গড়ালোই চোখের দেয়াল ঘেঁষে।
ফুল
বিনিদ্র রাতের গল্প নিঙারানো ফুলটি,
ভোরের কাছেই সঁপেছিল হয়তো ভুলটি।
গন্ধ বিভ্রাট জন্মে রঙিন হয়েছিল ঠিক,
নিছক বশ্যতায় খোঁপায় গেঁথে থাকার হিড়িক।
সহজ পাঠে কেউ পড়েনি আকুতি,
ফুলের-ই দোষ খুঁজে হেসে কুটিকুটি।
পাঁপড়ি জুড়ে অগত্যা এক বিষন্ন পরিণাম,
ঠিকানাহীন চিঠি সমেত বন্দী ধূসর খাম।
নিবেদন
মেয়ে,
বৃষ্টিভেজা শহরের জানালাগুলোর প্রতিবেদনে
নির্দেশ না মানা কবিতা স্বীকারোক্তি করে দাবী,
একান্তে ঝংকৃত কিছু শব্দের বিদূষক আবরণে
হৃদয়তন্ত্রীর বিভীষিকাভরা ক্রিয়াপদের বিন্যাসে তোমাকে ভাবি।
নমনীয়তায় গুণগানের প্রচ্ছন্ন প্রতীকে ধ্বনিত করি পংক্তি
নীরবতাকে দীর্ণ করে তীক্ষ্ণ রূপকের বাণে গড়া যে কাব্য ছিল,
উদ্বায়ী মিষ্টি সুরে গাইবে বলে আকাশপ্রদীপ হয়ে জ্বলা উক্তি
তোমাকে ভালোবাসার ধূলিধূসর অঙ্গীকার আদায় করে নিল।
আমি জানি, খড়খড়ে পাতার আওয়াজ, ব্যাথাতুর তোমার স্বর
চাউনির ভেতর গুটিয়ে থাকা শান্ত মুখে স্পর্শের আবেদন,
বৃষ্টির সন্ত্রাসে নৈঃশব্দে আমার শরীর জুড়ে জ্বর
তবুও জলের কাছে শিখে তোমার জন্যে আমার কবিতা নিবেদন।
কবি
ধন্যবাদ