সৌমনা দাশগুপ্তর কবিতা
নাভিমূল [br]
সাঁকোটিকে দোলা দেব প্রাণবায়ু ঢেলে দেব মৃতকল্প গাছের শরীরে[br]
#[br]
এ কোন উন্মাদ এসে খেপায় আমাকে[br]
চণ্ডরোষের প্রহর – প্রপঞ্চ ঈশিতার খেলা[br]
ঢেউ দাও ঢেউ দাও[br]
#[br]
ভাসাও এ নাভিমূল পুনর্নবা স্রোতজলে[br]
[br]
হত্যালীলা [br]
নিহিত ছদ্মবেশী[br]
কে গো তুমি আমাকে জাগাও[br]
#[br]
এও এক হত্যালীলা[br]
হৃৎপিণ্ডে ছ্যাঁকা[br]
#[br]
নিঙড়ে নিঙড়ে খায় রক্তের সমস্ত নির্যাস[br]
ব্যথা আর কামনার মাঝখানে[br]
#[br]
হাপরের ওঠানামা, হাঁসের সাঁতার[br]
মাছেদের শীতঘুম থেকে দূরে[br]
চাড় থেকে টোপ থেকে দূরে[br]
#[br]
আমি বসে রিফু করে চলি[br]
সে কি কল্পদ্রুমের এক সোনালি কুসুম[br]
#[br]
কথা নয় গল্প নয়[br]
শুধু শুধু স্রোত মুছে যাওয়া[br]
#[br]
ভ্রম ও সত্যের মাঝে খেলা করে কাচের পাখিটি[br]
[br]
অমেয়প্রপাত[br]
এভাবেও ফিরে আসা যায়; মধুচর্চিত এ দিবসরজনী[br]
#[br]
অমেয়প্রপাত খুলে ঘৃত ও কর্পূর[br]
আমি তবে চাঁদ হব তোমার নদীতে ইচ্ছেজল[br]
কেঁপে ওঠে এই দেহ রোমকূপে রোমকূপে[br]
সমস্ত গাছের দৃশ্য সমস্ত জলের দৃশ্য আঁকা হোক[br]
#[br]
সৃষ্টিরূপকল্পকথা গেঁথে তোলো বড়শিতে[br]
[br]
ম্যাজিক-লণ্ঠন[br]
বেশি তো চাইনি আমি, মৃত্যকূপ অগ্নিশলাকায় ঘেরা[br]
গাছের শরীর লাট খায়[br]
আঁকশি দুলিয়ে আমি শূন্য থেকে পেড়ে আনি[br]
ম্যাজিক-লন্ঠন। তাকে দিই দেহবর্ণ রং[br]
#[br]
রোদের বাসরঘরে ভিজে যায় প্লুত অবয়ব[br]
কবি ও গদ্যকার।
প্রকাশিত কবিতাবই-
১। বেদপয়স্বিনী(২০০৬), কৃত্তিবাস প্রকাশন।
২। খেলাহাট(২০০৮), সপ্তর্ষি প্রকাশন।
৩। দ্রাক্ষাফলের গান(২০০৮), যাপনচিত্র প্রকাশন।
৪। ঢেউ এবং সংকেত(২০১৮), সৃষ্টিসুখ প্রকাশন।
৫। জিপার টানা থাকবে(২০১৯), সৃষ্টিসুখ প্রকাশন।
৬। অন্ধ আমার আলোপোকা(২০১৯), ধানসিড়ি প্রকাশন।
৭। সাপ ও সিঁড়ির সংলাপ(২০২১), ক্রৌঞ্চদ্বীপ প্রকাশন।
৮। রৌদ্রগণিকার পথ(২০২২), আদম প্রকাশন।
৯। নির্বাচিত কবিতা(২০২৩), আলোপৃথিবী প্রকাশন।
প্রকাশিতব্য কবিতাবই: (বিজন গুম্ফার দিকে, সৃষ্টিসুখ প্রকাশন)
প্রকাশিত উপন্যাস: মাশান রহস্য(২০২০), সৃষ্টিসুখ প্রকাশন।
২০০৮সালে ‘কৃত্তিবাস’ পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বেদ পয়স্বিনী’-র জন্য।
অসাধারণ লেখা, সৌমনা। সুমনা সান্যাল আমাকে লেখাগুলোর কথা বলল।
অনেক ধন্যবাদ মণিশংকর। আপনি পড়ে জানালেন, খুব ভালো লাগল।