সৌমনা দাশগুপ্তর কবিতা
নাভিমূল
সাঁকোটিকে দোলা দেব প্রাণবায়ু ঢেলে দেব মৃতকল্প গাছের শরীরে
#
এ কোন উন্মাদ এসে খেপায় আমাকে
চণ্ডরোষের প্রহর – প্রপঞ্চ ঈশিতার খেলা
ঢেউ দাও ঢেউ দাও
#
ভাসাও এ নাভিমূল পুনর্নবা স্রোতজলে
হত্যালীলা
নিহিত ছদ্মবেশী
কে গো তুমি আমাকে জাগাও
#
এও এক হত্যালীলা
হৃৎপিণ্ডে ছ্যাঁকা
#
নিঙড়ে নিঙড়ে খায় রক্তের সমস্ত নির্যাস
ব্যথা আর কামনার মাঝখানে
#
হাপরের ওঠানামা, হাঁসের সাঁতার
মাছেদের শীতঘুম থেকে দূরে
চাড় থেকে টোপ থেকে দূরে
#
আমি বসে রিফু করে চলি
সে কি কল্পদ্রুমের এক সোনালি কুসুম
#
কথা নয় গল্প নয়
শুধু শুধু স্রোত মুছে যাওয়া
#
ভ্রম ও সত্যের মাঝে খেলা করে কাচের পাখিটি
অমেয়প্রপাত
এভাবেও ফিরে আসা যায়; মধুচর্চিত এ দিবসরজনী
#
অমেয়প্রপাত খুলে ঘৃত ও কর্পূর
আমি তবে চাঁদ হব তোমার নদীতে ইচ্ছেজল
কেঁপে ওঠে এই দেহ রোমকূপে রোমকূপে
সমস্ত গাছের দৃশ্য সমস্ত জলের দৃশ্য আঁকা হোক
#
সৃষ্টিরূপকল্পকথা গেঁথে তোলো বড়শিতে
ম্যাজিক-লণ্ঠন
বেশি তো চাইনি আমি, মৃত্যকূপ অগ্নিশলাকায় ঘেরা
গাছের শরীর লাট খায়
আঁকশি দুলিয়ে আমি শূন্য থেকে পেড়ে আনি
ম্যাজিক-লন্ঠন। তাকে দিই দেহবর্ণ রং
#
রোদের বাসরঘরে ভিজে যায় প্লুত অবয়ব

কবি ও গদ্যকার।
MANI SANKAR BISWAS says:
অসাধারণ লেখা, সৌমনা। সুমনা সান্যাল আমাকে লেখাগুলোর কথা বলল।
SOUMANA DASGUPTA says:
অনেক ধন্যবাদ মণিশংকর। আপনি পড়ে জানালেন, খুব ভালো লাগল।