Categories
সুবীর সরকারের কবিতা
আনুমানিক পঠনকাল: 3 মিনিট
সাদা কালো ছবি
সাদা কালো ছবিগুলি ফিরে আসছে
হলুদ রঙের বাড়ি।
সিঁড়িতে জোড়া খড়মের
নষ্টালজিয়া
অপমান মনে রাখতে নেই।
তুমি হারিয়ে যাবার পর সতেরো মাস কেটে
গেল
নৌকোর মাঝিকে এখন তোমার গল্প শোনাই
তোমার বাদামী চুলে ছায়া
খুঁজেছিলাম
তোমার আঙুলের উপর পেতে রেখেছিলাম
রেললাইন
গাছের কোটরে পাখি।
এ জীবন সাজঘর।আর পুতুলের ঠোঁটে
শিস।
প্রতিবেদন
রং করা সেতুর নিচে আমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে
তুমি চলে গেলে
তারপর সন্ধ্যে হলেই সমস্ত লণ্ঠনের আলো
কমিয়ে দেওয়া হয়
হাঁপানি রুগী শুনে যেতে থাকে ব্যাঙের ডাক
জল ও জলার পাশে ঝিঁঝিরা।
আপেলকে ভালোবাসতে গিয়ে আমি কিন্তু
আঙুরকে অবহেলা করিনি।
ক্যারামের লাল গুটি পকেটে ভরে নিয়ে জুয়া
খেলতে যাই
সেদ্ধ ধানের গন্ধ
হাটে হাটে উপচে পড়া লাল টমেটো
নির্জন দুপুরে আমি দেখতে পাই
পালকি ছুটছে
আমার কোন কান্না নেই।
এই পোড়া দেশে প্রকাশ্য চুম্বন
বেআইনী
পাখিদের পালক ও ঘরসংসারের পাশে পড়ে
থাকছে
বিজ্ঞাপন।
জার্নাল
কুয়োতে বালতি নামছে।আপাতনিরীহ এই দৃশ্যের পাশে কেমন
সতর্কতা মিশে থাকে!
ভয়ের জঙ্গলে তখন পেঁচা ডাকে
খরাবন্যার দেশে উড়ে যায় পাখি
ও
জার্নাল
জন্ম ১৯৭০, ০৩ জানুয়ারি. নয়ের দশকে লিখতে আসা এ কবি উত্তরের লোকজীবনের সাথে জড়িয়ে আছেন তীব্র ভাবে. ত্রিশ বছরের বেশী সময় ধরে কবিতা, গদ্য সহ বিভিন্ন ধারায় অনায়াস যাতায়াত করেছেন. বাংলা ভাষার প্রায় সব কাগজে নিয়মিত লেখালিখি করেছেন, করছেন. ১৯৯৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতাবই প্রকাশিত হয় কবিতা পাক্ষিক থেকে. গুরুত্বপূর্ণ কবিতা ও গদ্যের বইগুলো- ধানবাড়ি গানবাড়ি, মাহুত বন্ধু রে, নির্বাচিত কবিতা, বিবাহ বাজনা, নাচঘর, উত্তরজনপদবৃত্তান্ত, মাতব্বর বৃত্তান্ত, ভাঙা সেতুর গান. পেশায় শিক্ষক এ কবি ভালোবাসেন রবিশস্যের খামার বাড়ি, সাদা ঘোড়া আর যৌথ যাপনে চাঁদের আলোয় কবিতা আড্ডা, লোকগানের আমেজ।