ইরাবতী সাহিত্য: একগুচ্ছ কবিতা । সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল
সত্তর দশক থেকে কবিতার সাথে জড়িত সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। পাশাপাশি সাহিত্যের সব শাখায় বিরাজ করছেন। কিন্তু তিনি কবি হিসেবেই অধিক সমাদৃত। তাঁর ‘তৃষ্ণার্ত জলপরী’ থেকে ‘সাতে নেই পাঁচে নেই’ কাব্যগ্রন্থগুলো এবং অগ্রন্থিত কবিতা পাঠ করলে বোঝা যায় সৌন্দর্য ভাবনা কবি মননের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সৌন্দর্য মানুষের আয়ত্ত হওয়ার বিষয় নয়। কোথায় নেই সৌন্দর্য! প্রকৃতিতে সৌন্দর্য, নারীর শরীর সৌধে সৌন্দর্য। বিরহ প্রেমের উৎস। কবিতা সৌন্দর্য বর্ণনার অন্যতম মাধ্যম। তাই কবির নিবিড় স্পর্শ পেয়ে কলমের ছোয়ায় উঠে আসতে পারে ১০১ নীলপদ্ম। দুলালের কবিতায় স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা উত্তর সময় থেকে চার দশকের সার্বিক ছবি। কারণ, দুলাল ব্যক্তিগত বিষয়গুলো সার্বজনীন করে তুলেছেন একজন সমাজ সচেতন কবি হিসেবে।
বিষয়ের দিক থেকে এ কবিকে সর্বভুখ বলতে হয়। সমাজ সংস্কৃতি রাজনীতি, সাম্যবাদী দর্শন, বাংলার কৃষকের জীবনচেতনা, প্রেম-দ্রোহ, প্রতিবাদ, কষ্ট, স্মৃতি, স্বপ্ন-আশা, অভিমান, নাগরিক একাকীত্ব, বিরহ বেদনা, যৌনতা, ধর্মান্ধতা, নষ্ট ইতর আমলাতন্ত্র, স্বৈরাচারী দুঃশাসন, সংগ্রাম মিছিল, নদী-নারী, পাখি-হরিণ, জোৎস্না আঁধার,সাপ বেজি, ঋণগ্রস্থ মানুষ,প্রকৃতি,পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য, পুরাণ, ধর্ম,অংক ও বিজ্ঞান সবই তাঁর কবিতার অনিবার্য অনুষঙ্গ হয়ে ধরা দেয়।
কবিচিন্তনে রোম্যান্টিক আমেজ ভিন্ন ধ্বনি সৃষ্টি করে, এ-কালস্রোতে অবক্ষয় ও অবসাদই মুখ্য হয়ে ওঠে। ক্ষয়িষ্ণু ব্যক্তির জীর্ণ স্বপ্ন, আত্মহত্যার প্ররোচনা, দুঃসহ প্রবঞ্চনা, হতাশার দুর্বিষহ বিক্ষেপ ইত্যাদি কবির আধুনিক সময়াঙ্গিক নির্মাণ করেছে। শরীরের প্রত্যঙ্গ সহায়হীন দুঃসহতার প্রতীক হয়ে আসে। রোম্যান্টিকতায় আবিষ্ট যৌবন প্রবহমান সময় বিন্যাসে অবসাদে বিচ্ছিন্ন হয়। কবিতায় গল্পের আবহে সৃষ্ট নাটকীয়তায় তৈরি হয় দুর্বহ সময়। কুকুরের যৌন নির্যাতনের হাহাকার, ঋণগ্রস্থ মানুষটির মৃত্যুভাবনা, নানা মননে যৌনতা,উত্তরবঙ্গের কবির সাথে সাইকেল ভ্রমণ,বিদেশিনী মেয়েটির শ্লোগান,সিঙ্গেল মাদার মুখরিত করে তোলে কাব্যাঙ্গন।
ইরাবতীর পাঠকদের জন্য আজ থাকছে কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের একগুচ্ছ কবিতা। প্রকাশিত কবিতাগুলো গত বছর মার্চ মাসে লেখা।
বি.স.
বাতাস
আপনি শর্ত মোতাবেক আমাকে ভুলে যাবেন!
অথবা আমিই ছিড়ে যাবো,
ছেড়ে যাবো
আপনাদের মধ্যে মিলিয়ে যাবো কর্পূর।
*
এতোদিন আপনাদের সদস্য
এবং স্বেচ্ছাসেবক ছিলাম।
আপনাকে নিয়ে পড়াশোনা করেছি, কবিতা লিখেছি।
আপনি খাদ্য এবং চিকিৎসার চেয়ে
অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ !
*
বঞ্চিত করবেন আপনার অক্সিজেন থেকে।
নাইট্রোজেন, আর্গন, কার্বন ডাইঅক্সাইড,
সামান্য জলীয় বাস্প
এবং বায়ূ মণ্ডলের
এক্সোমণ্ডল, তাপমণ্ডল, মেসোমণ্ড, স্ট্রাটোমণ্ডল, ট্রপোমণ্ডল
মধ্যাকর্ষণ ছিঁড়ে ছেড়ে যাবো
বায়ূ বেরিয়ে যাবে পায়ুপথে।
*
রামায়ণে আপনার সংসারে একদিন ঢু মেরেছি
জেনেছি- আপনি পবন নামেও পরিচিত
আপনার সহধর্মিণী অঞ্জনা
ভারতে, মহাভারতে আপনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি কুন্তিকে পুত্র সন্তান দিয়েছে
তার নাম ভীমসেন।
*
আপনার অস্তিত্ব টের পাই পাল তোলা নৌকায়
ঝড়ের তাণ্ডবে, সিলিং-ফ্যানে
আপনি নিরাকার, অদৃশ্য কিন্তু বহুরূপী!
আপনার রূপ
আপনার রূপকথা অদ্ভুত!
আপনি ধর্মেও আছেন, জিরাফেও আছেন!
যাই হোক,
আমার মৃত্যু জন্য মূলত আপনিই দ্বায়ী!

ধন্যবাদ
পিতৃহত্যা, ভাতৃহত্যা, বোনের আত্মহত্যার প্রতিশোধে
কিযে আনন্দ, আত্মতৃপ্তি। প্রতিবাদে
মনে হচ্ছিলো- ‘গুলি করা কবুতরের রক্তে
রুটি ভিজিয়ে খাচ্ছি’!
নিজেকে পূর্ণ এবং পূণ্যবান মনে হচ্ছিলো
দায়িত্বে কর্তব্যে ভিন্নরূপে মৃত্যুকে মৃত্যুদন্ড দিচ্ছি।
*
কবুতরের রক্তে রুটি ভিজিয়ে খেতে খেতে
মনে পড়ছে- দখিন আফ্রিকায়
আমার বাবার অপমাণিত রক্তাক্ত মুখ,
জলন্ত জেরুজালেমে
রত রুটি ভিজিয়ে খেতে খতে
মনে পড়ছে-
ইথোপিয়ায় শুটকি মাছের মতো জীর্ণ
ক্ষুধার্ত ছোট ভাইটির এক টুকরো রুটির প্রার্থণাচিত্র।
ওরা কিভাবে মরুভূমিতে
আমাকে উটের পায়ে বেঁধে জকি খেলতো
আজ মনে পড়ছে সেই আত্মমৃত্যুর দৃশ্য।
*
কবুতরের রক্তে রুটি ভিজিয়ে খেতে খতে
নিজেকে বার বার ধন্যবাদ দিচ্ছি।

চাহিদা
মৌলিক চাহিদার পরও
যৌন চাহিদার প্রয়োজন এবং গুরুত্ব অপরিসীম।
*
যৌগিক চাহিদা কিংবা যৌগিক সংখ্যা নিয়ে
মাথা ব্যাথা, ঘাড় ব্যথা, বাতের ব্যাথা নেই।
খাদ্য, সেক্সের পর
আরো দরকার; আমরা আরো কিছু কিছু চাই।
*
মূল চাহিদার পরও তৃষ্ণা থাকে।
ভিটামিন, ভ্যাকসিন
এন্টি বাইটিক, আমাদের দরকার-
আলোচনা, আত্মীয়তা, নদীর পাড়ে বসে থাকা।

আগ্রাসন নয়, বাহু বন্ধন
পাশেই আছি, প্রায় চারিপাশেই-
চারিদিকে কাটাতারে ঘিরে আছি।
নিন্মাঞ্চলে সামান্য ব্রহ্মদেশ, বাকীটা ভারতীয় বৃত্তের মতো;
ভারতবিরোধীর অভাব নেই।
ভারতের আগ্রাসন নয়; বাহু বন্ধন।
বাহুডোরে তুমি কতটা নিরাপদবোধ করো!

এইম ইন লাইফ
আমার ভালো লাগাগুলো একদম ভিন্নধর্মী
যদিও দম আটকে আসে ধর্মচিন্তায়।
*
হিন্দুদের বাড়ি পুড়াতে আমার দারুণ লাগে
শেখ মুজিবকে গালি দিতে কি যে আনন্দ,
নামের শেষে ডক্টর,
বেশ ব্যতিক্রম মনে হয় নেতিবাচক ভূমিকায়।
*
ভালো লাগে জেনা করতে
গালি বিষয়ক বাংলা অভিধান আমার প্রিয় গ্রন্থ।
ভারতীয় জিটিভির সিরিয়ালগুলো
কি দারুণ জটিল এবং কলহপূর্ণ!
*
খুনির সাথে গল্প করে অনেক কিছু শিখতে পারি
ক্ষমতাবান সচিবদের দুলাভাই ডাকতে ইচ্ছে করে!
অথচ আমি একটা নষ্ট চুদির ভাই!
গলাকাটা পাসপোর্টে বিদেশে যেতে ইচ্ছে করে।
*
মাছ নয়; নদী এবং নদীর জল বিক্রি করতে
ভীষণ ভালো লাগে,
সুচিত্রা সেনসহ নতুন নায়িকাদের এন্টিক ব্রা
সংগ্রহ আমার অদ্ভূত শখ।
*
এসব ভাবতে ভাবতে ভোর হয়।
ভোর আমার কাছে বিরক্তকর; ভীষণ অসহ্য।

এক টাকা এবং একটি আধুলি
চারিদিকে চককচ করছে-
১০০ পয়সার একটি চমৎকার পরিপূর্ণ টাকা;
এ টাকা টাকশালে উৎপাদিত নয়; টঙ্গীপাড়ায়।
যে নাড়ী প্রোথিত মাটির অন্তরে।
*
এক সাথে একটি চকচকে আধুলি জ্বলছে
আধুলি আমাকে আলোকিত করছে;
পাখির মতো আকাশে ছড়াচ্ছে
জননী এবং জয়ন্তীর রৌদ্রোজ্জ্বল সুবর্ণ রেখা!

বিড়ালজীবন
বাংলা সাহিত্যে বিড়ালের কী ভূমিকা,
আমি জানিনা।
*
তবে তাচ্ছিল্যে তাড়িয়ে দিলে
বিড়ালের মতোই চুপচাপ এবং অপমানহীন
ফিরে আসি।
আর ভালোবাসলে, ডাকলে-
স্তনদুধের দিকে তাকিয়ে থাকি।
তখন রিটনের ছড়ার বিড়ালগুলো
আমাকে ভীষণ ঈর্ষা করে!
তখন নিজেকে তুচ্ছ ভেবে
নীরবে, মিউমিউ পায়ে পালিয়ে চলে যাই
গ্রিকপাড়ায়!

নারী পুলিশ এবং প্রতিবাদ
ডাউন টাউনে মেয়েটি ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার করছে,
গালি দিচ্ছি মাতৃভাষায়
এবং প্লাস্টিকের পানির বোতল
দলাদলা ক্ষোভ নিক্ষেপ করছে পুলিশের গাড়িতে
রড দিয়ে ভাঙছে সাইন বোর্ড,
চুরমার করে ভেঙে পড়ছে কাঁচের দেয়াল।
*
পাগলি তুমুল তীব্র প্রতিবাদ করে বলছে:
I Dn’T NeEd SeX
BuT GoVeRmEnTs FuCk Me EvErY DaY.
সে পেন্ট এবং পায়ের জুতো খুলে ছুঁড়ে মারছে
আমেরিকার দিকে।
*
মেয়েটি অগ্নিকন্যা
কোনদিন তাসলিমা নাসরিনের নামও শুনেনি
তবু নারীনীতিতে খুলে ফেলে
টি শার্ট, জিন্সের প্যান্ট দেশলাইয়ের কাঠিতে
জ্বালিয়ে দিচ্ছে দাউ দাউ!
*
একাত্মতায় দ্রুত দৌড়ে এলো নারী পুলিশ
সে-ও সমস্ত ড্রেস খুলে আগুনে
পতাকার মতো ছিঁড়ে ছুঁড়ে দিলে ব্রা!

উপ-বর্ণমালা
ক]
প্রিমা নাজিয়া আন্দালিব রঙের মতো বহুমাত্রিক
কিছুটা ক্লান্ত, আংশিক পদ্য
বিসর্গঃ‘র মতো বিষন্ন যুগল চোখ
খন্ডৎ’র মতো বাঁকা হয়ে কাব্যিক বসে আছে চেয়ারে!
পাগলির মতো মাথায় ছিলো গাঁদাফুলের চন্দ্রবিন্দু ঁ
টেবিলে হুইস্কির গ্লাস,
অনু:স্বরং‘এর মতো নারী-পুরুষের যৌথভাব।
খ]
স্বরবর্ণের সবারই
হ্রস্ব-ই-কার (ি), দীর্ঘ-ঈ-কার(ী),
উ-কার (ু), ঊ-কার (ূ), ঋ-কার (ৃ),
এ-কার (ে), ঐ-কার (ৈ),
ও-কার (ো), ঔ-কার (ৌ) কার আছে।
শুধু ‘অ’ নিরাকার, তার কোন কার নেই।
স্বর-অ অক্ষরটা আমার মতোই একা
এবং নিস:ঙ্গ।
নিসঃঙ্গতা ছিলো বিলুপ্ত ৯(লি) বর্ণেও।
গ]
বর্ণমালার বদলে চারিদিকে
যফল, সফলা, বফলা, মফলা, নফলা, রফলা।
রেফ() কি পুরুষ; উর্ধে আকাশে বসবাস
রিকার(ৃ)কি নারী; নিচে আসন!
ঘ)
দু’টি সন্তানই যথেষ্ট।
*
এতো ছ, ষ, শ, স সমস্যা; সমস্যায় থাকি
ঋ ৃ র রহস্য; রহস্যে ডুবে রই
য, ঝ, জ জটিল; জটিলতার যন্ত্রণায় আটকে থাকি।
*
ছেলে হোক, মেয়ে হোক
দ কিংবা ধ, ব বা ভ;
মূর্ধন্য-ণ অথবা দন্ত্য-ন; হ্রস্ব-উ অথবা দীর্ঘ-ঊ
একটিই এনাফ!.

মৃত্যুর চেয়ে চা গুরুত্ব
মৃত্যুর চেয়ে এক কাপ চায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি,
আসুন, মিলেমিশে চা খাই-
মৃত্যুচিন্তা ইগনোর করাও গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
*
ছিটকে পড়া চায়ের চিহ্ন নিয়ে
কেনো চিন্তিত!
গিরিগুহায় পাথরে এখনো পায়ের ছাপ,
চাঁদের কলঙ্ক বলে কথিত কালচে ঘোলাটে দাগ,
শার্টের পকেটে স্খলিত কালি
ইতিহাসের পাতায় লেপ্টে থাকে খুনরঙ
যুদ্ধের নিচে কত খুলি কঙ্কাল
জন্মদাগ মিশে থাকে বগলের ঘাসে
ডাক টিকিটেও লেগে থাকে ব্যবহৃত সীলগালা।
*
মৃত্যুর চেয়ে ঋতুস্রাব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ
পাজামায় একটু রক্তের দাগ নিয়ে
কেনো এতো চিন্তিত?
কেনো মন খারাপ!
*
আসুন, আমরা আনন্দে মিলেমিশে চা খাই।

নারী দিবসের কবিতা
জেনা না করে বিবাহ করেন!
ধর্ম না করেও পবিত্র পুরুষ হওয়া যায়,
যেমন পাখিরা ধর্ম নিরপেক্ষ,
নাস্তিক নয়।
*
‘কথা বলার সময়
আমার বুকের দিকে না তাকিয়ে চোখের দিকে তাকান,
আর হ্যান্ডসেক করার সময়
বাড়তি কয়েক সেকেন্ড হাত ধরে রাখা
এবং আলতো চাপ দেয়া থেকে বিরত থাকুন’!
এবং জেনার বদলে বিবাহ করুন।
*
নারী দিবস আর নারীনীতি অভিন্ন,
ধর্ম নিরেপেক্ষতা আর নাস্তিকতা সহোদর নয়।

ব্রহ্মপুত্রের পুত্র
আমাদের পিতার নাম ব্রহ্মপুত্র,
মায়ের নাম- নান্দিনা।
তারা কোনদিনই বিবাহিত ছিলেন না
তবু আমরা তাদের অকৃতিম সন্তান
ওরফে তারা আমাদের পবিত্র পিতামাতা।
*
নাড়ির টান টের পাই মাতাপিতার মমতা
তাদের পরানের টান-
গুন টানার মতো, দাঁড় টানার মতো
লগ্গি ঠেলার মতো
বৈঠার মতো পালতোলা নৌকার মতো।
*
আমাদের ছোটফুফুর নাম পান্তাভাত
ছোটবোনের নাম- সবুজ ধানক্ষেত
বড় ভাইয়ের নাম- চৈত্র সংক্রান্তি,
ছোট ভাইয়ের নাম- চর্যাপদ।
এক সৎ ভাই জন্মের পরই বসন্তে মারা যায়-
তার নাম ছিলো- গারো পাহাড়।
আমারও দুটো নাম ছিলো,
একটি বিক্রি করে অভাবে ভাত খেয়েছি
আরেকটি বিক্রি করে চলে এসেছি বিদেশে।

গান
বৃক্ষে, বাতাসে পাখিদের স্বরচিত গান
তোমার গানও এতো এতো সুন্দর, বিমুগ্ধতায়
মাত্রাতিরিক্ত ভালোলাগে।
মনে হয় তোমার গানের গহীনে
কিছু দিন ঘুমিয়ে থাকি,
গানকে বিবাহ করি; করে আপন করে নিই!
*
বিবাহ কি কখনো কাউকে আপন করে?
হা হা হা….
কানাডা স্ট্যাটিস্টিকসের জরিপ কি বলে!
শতকরা কতো ভাগ পুরুষ সঙ্গীত প্রিয়?

মূলত কবি। তবে কবিতা ছাড়াও তিনি সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করছেন। তাঁর কবিতায় গ্রামবাংলা থেকে শুরু করে নগরায়ন, নাগরিক জীবন, জীবনের জটিলতা, প্রেম, পরবাস, পরাবাস্তব প্রভৃতি প্রতিফলিত হয়। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ ৫০টি। সাহিত্য, সাংবাদিকতা ও গবেষোণায় অবদানের জন্য তিনি দেশ-বিদেশে পুরস্কৃত হয়েছেন। তাঁর লেখা বেশকিছু গান ও নাটক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিটিভি-র ‘দৃষ্টি ও সৃষ্টি’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক দুলাল বর্তমানে কানাডায়। তিনি ইত্তেফাকের সাথেও যুক্ত।
মাহমুদ হাফিজ says:
মিথ, সমকাল, দু:খ-ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও প্রেম-প্রকৃতি বাঙ্ময়। ধ্যানী যেমন মগ্ন থাকতে থাকতে উঁচুস্তরে পৌঁছে যান, তেমন পরিচিত শব্দচয়নে সহজ করে বলতে পারা উঁচুস্তর চর্চার পরিচয় বহন করছে।