ভারতীয় সেনার দাবী পাহাড়চূড়ায় ইয়েতি

Reading Time: 2 minutes
আমাদের কাকাবাবুর কথাই ধরো না কেন, সেখানে তো ইয়েতিকে খুঁজতেই এভারেস্টের দিকে পাড়ি দিয়েছিল সন্তু-কাকাবাবু। ইয়েতি সত্যি না মিথ্যে, মিথ না অন্য কিছু, তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে জল্পনার শেষ নেই। তবে এবার সেই জল্পনাকেই আরও এক ধাপ উসকে দিল ভারতীয় সেনার দাবি।

‘তিব্বতে টিনটিন’-এর কথা মনে আছে? প্রিয় বন্ধু চ্যাংকে খুঁজতে গিয়ে সেবারই বরফের রাজ্যে ইয়েতির মুখোমুখি হয়েছিল টিনটিনরা। কিংবা আমাদের কাকাবাবুর কথাই ধরো না কেন, সেখানে তো ইয়েতিকে খুঁজতেই এভারেস্টের দিকে পাড়ি দিয়েছিল সন্তু-কাকাবাবু। ইয়েতি সত্যি না মিথ্যে, মিথ না অন্য কিছু, তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে জল্পনার শেষ নেই। তবে এবার সেই জল্পনাকেই আরও এক ধাপ উসকে দিল ভারতীয় সেনার দাবি।

তাদের দাবি অনুযায়ী, ‘ইন্ডিয়ান আর্মি মাউন্টেনিয়ারিং এক্সপিডিশন টিম’ ৯ এপ্রিল মাকালু বেস ক্যাম্পে প্রায় ৩২×১৫ ইঞ্চি মাপের বিশালাকার এক পায়ের ছাপের দেখা পায়। তারা সেই ছবি তুলেও রাখে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ইস্তক শোরগোল পড়ে যায় নানা মহলে। ভারতীয় সেনার বক্তব্য, কেবলমাত্র মাকালু-বরুণ ন্যাশনাল পার্কেই নাকি এই প্রাণীটির দেখা মেলে। বৈজ্ঞানিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আপাতত পায়ের ছাপের ছবিটি গবেষকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিশাল আকৃতির প্রায় মানুষের মতো দেখতে লোমশ এক প্রাণী, যাকে ‘অ্যাবোমিনেবল স্নোম্যান’ বা ইয়েতি বলা হয়, তার অস্তিত্বের কথা নানা ভাবে বারেবারেই উঠে এসেছে। নেপাল, তিব্বত সহ হিমালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষই ইয়েতির জনশ্রুতিতে বিশ্বাস করেন। আর সেই কিংবদন্তিতে বিশ্বাস করেই দীর্ঘদিন ধরে মানুষ খুঁজে পেতে চেয়েছে এই বিস্ময়কে। তবে ১৯২০ সাল নাগাদ প্রথম পর্বতারোহীদের নজরে আসে সে। এরপর অনেকেই ইয়েতির জন্য অভিযান করেছেন, এমনকী স্বয়ং এডমন্ড হিলারিকেও নাকি আকর্ষণ করত এই বিশালদেহী প্রাণীটি। ১৯৫০ সাল নাগাদ নেপাল সরকার তাকে ধরার জন্য ‘হান্টিং লাইসেন্স’-ও বের করে। এর মাঝে এরিক শিপটনের কিছু ‘অস্বাভাবিক’ পায়ের ছাপের ছবি ছাড়া বাতাসেই ভেসে বেরিয়েছে ইয়েতির গুজব। ২০১৭ সালে বেশ কিছু ছবি দেখে আন্তর্জাতিক গবেষকরা ইয়েতির অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করে জানান, সেটি বড়সড় ভালুক ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এবার ভারতীয় সেনার দাবি কি ইয়েতি রহস্যের মোড় ঘুরিয়ে দিতে চলেছে? ছবিগুলি বিচার বিবেচনা করার পরই জানা যাবে সে কথা।

সূত্রঃ এবিপি

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>