ফ্যাশনে বড় ডায়ালের ঘড়ি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন ‘ফ্যাশন হলো মুখোশ স্টাইল হলো মুখশ্রী’। তাই স্টাইল হচ্ছে আপনার একেবারে নিজস্ব ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। ফ্যাশন নিয়ে যাঁদের মাথাব্যথা, তাঁরা আপনার পছন্দ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলেও আপনি কিন্তু নিজের মতে স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করতেই পারেন! তবে বড় ডায়ালের ঘড়ি, বিশেষ করে ছেলেদের ঘড়ি মেয়েরা পরতে চাইলে ফ্যাশন বোদ্ধারাও দ্বিরুক্তি করেন না। আর যদি আপনি তা ঠিকমতো ক্যারি করতে পারেন, তা হলে তো কোনও সমস্যাই নেই! বরং আপনার সিম্পল পোশাকে তা যোগ করবে অন্যতর মাত্রা, ভিড়ের মধ্যেও আপনি আলাদা করে নজর কাড়বেন।
যাঁরা খুব একটা বেশি অ্যাকসেসরিজ পরতে পছন্দ করেন না এবং প্রতিদিন ক্লিন-কাট ফরমাল পোশাকে (ট্রাউজ়ার্স-শার্ট, স্কার্ট-টপ, সালোয়ার-কুর্তা বা শাড়ি) পরে অফিস যান, তাঁদের হাতে বড় ডায়ালের একটি ফ্যাশনেবল ঘড়ি থাকলে আর কিছুর প্রয়োজনই পড়ে না। সুবিধে হচ্ছে, সনাতন ভারতীয় পোশাক বা স্মার্ট পশ্চিমি ক্যাজুয়ালস, সবের সঙ্গেই দারুণ মানায় ম্যাসকুলিন রিস্টওয়াচ। সঙ্গে সামান্য কাজল, লিপস্টিকের ছোঁয়া থাকলে তো কথাই নেই!
স্টেনলেস স্টিল ডায়াল আর চামড়ার স্ট্র্যাপের ঘড়ি খুব স্মার্ট দেখায়, স্টিলের ব্যান্ডও চলবে। তবে ডায়ালে পাথর বসানো বড়ো ঘড়ি কিন্তু দেখতে খুব একটা ভালো লাগে না। রোজ পরার জন্য স্লিক ডিজাইনই ভালো। যে হাতে বড়ো ঘড়িটি পরছেন, সেই হাতে আর অন্য কিছু পরার দরকার নেই। অন্য হাতে হালকা ব্রেসলেট বা আংটি পরতে পারেন। একেবারে কিছু না পরলেও দেখতে দারুন লাগবে।
