ফণীর পর আসবে বায়ু, তার পর হিক্কা, কায়ার, তার পর…

Reading Time: < 1 minute

তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের (এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) আকার নিয়েছে ফণী। ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে আছড়ে পড়ার কথা এই ঘূর্ণিঝড়ের। কিন্তু এই নাম কী ভাবে এল? বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের দূরত্ব প্রায় ৪০০&nbsp;কিলোমিটার। শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার করে এগিয়ে আসছে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।  ‘ফণী’ নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লুএমও) আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে।  

ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত আটটি দেশ। দেশগুলি হল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান। এই প্যানেলকে বলা হয় ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দা প্যাসিফিক (এএসসিএপি)।  ঝড়ের নামকরণের এই রীতি কিন্তু খুব একটা পুরনো নয়। মাত্র ২০০০ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগে ঝড়গুলোকে নানা নম্বর বা বর্ণ দিয়ে শনাক্ত করা হত। কিন্তু সে সব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য ছিল। ফলে সেগুলোর পূর্বাভাস দেওয়া, মানুষ বা জাহাজ বা জলযানগুলিকে সতর্ক করাও কঠিন ছিল।  ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলিতে ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। আটটি দেশ মিলে মোট ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। সে সব ঝড়ের নামের মধ্যে এখন ‘ফণী’কে বাদ দিলে আর সাতটি নাম বাকি রয়েছে।

ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী পরের ঝড়টির নাম হবে বায়ু। আরও ছয়টি ঝড় এখনও নামের তালিকায় রয়েছে। সেগুলো হল হিক্কা, কায়ার, মাহা, বুলবুল, পবন  এবং আম্ফান। এই নাম ফুরিয়ে গেলে আবার বৈঠকে বসে নতুন নামকরণ শুরু হবে।  আরও সাতটি ঝড়ের পর বাংলাদেশ ফের চারটি ঝড়ের নাম দেবে। ভারতের তরফে ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তাবিত নাম হল অগ্নি, আকাশ, বিজলি, জল, লহর, মেঘ, সাগর।

এর আগে থেকেই ব্রিটেন বা অস্ট্রেলিয়া এলাকায় ঝড়ের নামকরণ করা হত। ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়কে সাইক্লোন বলা হলেও অতলান্তিক মহাসাগরীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় হারিকেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বলা হয় টাইফুন।

সূত্রঃ এবিপি

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>