Categories
গণিত সংখ্যা কবিতা: উত্তরার প্রতি । মীরা মুখোপাধ্যায়
আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
মৃত্যুর ঘ্রাণের মধ্যে ডুবে যাচ্ছি ক্রমে
অথচ বিশ্বাস করো জীবনরহস্য আমি
আজও ভালোবাসি…
উত্তরা, তুমি তো জানো মৃত্যু আমাদের ভৃত্য
পান্ডবসন্ততি, অর্জুনতনয় আমি
মাতৃগর্ভ থেকে পেয়েছি সংগ্রাম শিক্ষা,
বুঝেছি স্বজনহিংসা,রাজ্যতৃষ্ণা….
আর তখনি জেনেছিলাম চক্রব্যূহের কথা।
কি অপূর্ব জ্যামিতিক প্রকৌশলে এই
ব্যূহের নির্মাণ হয়…
তুমি নারী, কোমলা বালিকা
তোমাকে বোঝানো বৃথা
আসলে তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে খুব
দূর থেকে দেখো যদি
ব্যূহটিকে মনে হবে বিন্দুবৎ
অথচ সাতটি বৃত্ত বড়ো থেকে ক্রমাগত ছোটো
রথারূঢ়, গজারূঢ়, পদাতিক ও অশ্বারোহী সেনা
নিশ্ছিদ্র বেষ্টনী মধ্যে, লক্ষ্যস্থির।
উত্তরা,ব্যূহে প্রবেশের পথ জেনে প্রবেশ করেছিলাম কিন্তু নিষ্ক্রমণ…
বক্ষজালিকার ফাঁকে ফাঁকে তীর বিঁধে রক্ত ঝরছে
অস্ত্রাঘাতে শরীর অবশ, মৃত্যুকে দেখতে পাচ্ছি…
কিন্তু কী আশ্চর্য ! মস্তিষ্কের রসায়ন এখনো
তারিফ করছে ব্যুহ রচনার জ্যামিতিক প্রকৌশল।
খুব আস্তে বৃত্ত নড়ছে , সংযমী সঞ্চালন
আর হৃদয়…
আদরিনী, তোমাকে রেখে এসেছি দুঃখের মধ্যে
যুদ্ধশিবিরের পাশে,
দিয়ে এসেছি বৈধব্য এবং একটি অজাত সন্তান,
অক্ষৌহিণী, চতুরঙ্গ, যুদ্ধশব্দ কিছুই জানো না
ব্যূহ ক্রমে ছোটো হচ্ছে, আরও ছোটো
আরও…আরও
জ্যামিতিক প্রকৌশলে বিন্দুবৎ
মাথা ঘুরছে, আমি আর দাঁড়াতে পারছি না।
জন্ম -০৩.০২.১৯৬১। থাকেন নদীয়া জেলার শিমুরালিতে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। ডাকবিভাগে চাকরি । স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন ২০১৯-এ। কবিতা লিখতে ভালোবাসেন ছোট থেকে। কিন্তু জীবনের ওঠাপড়ার কারনে মাঝের দশ বারো বছর লেখা হয়নি। তারপর আবার পুরোদমে লেখালেখি শুরু বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ১. অরোরা বোরিয়ালিস ২.ছন্ন সেরেনাদ এবং