| 24 এপ্রিল 2024
Categories
গীতরঙ্গ

গুপ্তচর সংখ্যা গোয়েন্দা গল্প: বহুরূপী । শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

গোয়েন্দা বরদাচরণ যদিও খুবই বুদ্ধিমান লোক, তবু তার আচার-আচরণ কিছুটা অস্বাভাবিক। সাধারণ মানুষ যা করে তিনি-তা কখনো করেন না। কারো বাড়িতে ঢুকবার সময় তিনি সদর দরজা দিয়ে ঢোকেন খুবই কম। তিনি ঢোকেন পিছনের পাঁচিল ডিঙিয়ে, পাইপ বেয়ে ছাদে উঠে বা ওই রকম বিচিত্র পদ্ধতিতে তিনি হয়তো মগরা যাবেন, কিন্তু উঠবেন মেইল ট্রেনে। মেইল ট্রেন মগরায় থামে না এটা তিনি ভালই জানেন তবু ওঠেন এবং চলন্ত মেল ট্রেন থেকে লাফিয়ে মগরায় নেমে পড়েন। চড়চড়ে রোদের মধ্যেও তাঁকে গায়ে রেন কোট এবং পায়ে গামবুট পরে থাকতে দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে কেন যে তিনি মাঝে মাঝে ওভারকোট পরেন তা বুঝে ওঠা দায়! ছদ্মবেশ ধারণে তিনি খুবই পটু সন্দেহ নেই। কিন্তু সবসময়ই ছন্মবেশ ধারণ করে থাকেন বলে তার আসল চেহারাটা কিরকম তা লোকে ভুলেই গেছে। কখনো তাঁর পাকানো গোফ, কখনো ঝোলা গোঁফ, কখনো ফ্রেনচ কাট দাড়ি, কখনো ঝুলদাড়ী, কখনো কবি নজরুলের মত বাবরি চুল, কখনো বা ঝাকড়া চুল, চোখে কখনো লাল চশমা, কখনো নীল চশমা, কখনো কাল চশমা, কখনো কখনো পাগড়ি বেঁধে আবির্ভূত হন। তার এই বহুরূপের জন্য তার বাড়ির লোকও ভুলতে বসেছে বরদাচরণের প্রকৃত চেহারাটা কিরকম। সেদিন একজন ঘুঁটেউলিকে ডেকে বরদাচরণের মা ঘুঁটে রাখলেন, সেই সময় ঘুটেউলির নাকের বাঁ পাশে আঁচিলটা দেখে তার সন্দেহ হল, এ হয়তো বরদা। কারণ, বরদাচরণ ক’দিন হল একটা তদন্তের কাজে বাইরে গেছেন, তার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই চেঁচিয়ে উঠলেন, আঃ, বরদা নাকি? কিন্তু বাস্তবিক ঘুটেউলি কিন্তু বরদা ছিলেন না। তবে এ নিয়ে ঘুটেউলিকে বিস্তর ঝামেলা পোয়াতে হয়েছিল। আবার একদিন রাতে বরদাচরণের বাবা কালিঝুলি মাখা একজন লোককে বরদাচরণের ঘর থেকে চুপি চুপি বেরোতে দেখে জাপটে ধরে চোর চোর বলে চেঁচাতে লাগলেন। পাড়ার লোকজন এল, চোর পাকড়াও হল, কিন্তু চোর কেবলই বলে, আমি বরদা। নকল চুলদাড়ি খসিয়ে কালিঝুলি ধুয়ে যখন আসল চেহারাটা দেখা গেল তখনও বরদাচরণের বাবা বলতে লাগলেন, এ কখনোই বরদা নয়। বরদার মোটেই এরকম চেহারা নয়। কিন্তু বরদার মা কেবলই বলেন, ওগো, এই তো আমার বরদা, কিন্তু তার কথা কে বিশ্বাস করবে। কদিন আগেই তিনি খুঁটেউলিকে অবধি বরদা ভেবেছিলেন। যাই হোক এ নিয়ে অনেক ঝামেলা হয় মাঝে মাঝে।

সালাম সাহবের মেয়ের বিয়ে। তিনি বড়লোক মানুষ। প্রায় দু লাখ টাকার সোনার গয়না কিনেছেন। বাড়িতে গয়না রেখে ভরসা পাচ্ছেন না। তাই গিয়ে বরদাচরণকে ধরলেন। বরদাচরণ তখন এক জটজুটধারী সন্যাসীর ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজের ঘরে বসে একটা আতশকাঁচ দিয়ে একটা কাঠি জাতীয় জিনিস গভীর মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন।

সালাম সাহব বললেন, ভাই বরদা, আমার মেয়ের গয়নাগুলো যে একটু পাহারা দিতে হবে ভাই। দু’দিন বাদে বিয়ে, বড় দুশ্চিন্তায় আছি।

বরদাচরণ স্মিত হাসি হেসে বললেন, ঠিক আছে, যাচ্ছি।

সালাম সাহেব বাড়ি ফিরে আসার ঘন্টাখানেক বাদেই সন্ন্যাসীর বেশে বরদাচরন গিয়ে হাজির চাপা কথায় জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় সোনা রেখেছেন?

কোণের ঘরের সিন্দুকে, চলো দেখিয়ে দিচ্ছি। কোণের ঘরে গিয়ে বরদাচরণ চারদিক ঘুরে টুরে দেখলেন, তারপর সিন্দুকের চাবিটা চেয়ে নিয়ে সেটাও পর্যবেক্ষণ করলেন। সিন্দুক খুলে গয়নাগুলো ভাল করে দেখলেন। তারপর বললেন, কোনো চিন্তা নেই, আপনি নিশ্চিন্ত মনে কাজে যান।

বরদার কথায় নিশ্চিন্ত হয়ে সালাম সাহব কাজে গেলেন। এরও ঘন্টাখানেক বাদে এক কাবুলিওয়ালা এসে হাজির।

সালাম সাহবে অবাক হয়ে বললেন, কী চাই?

কাবুলিওয়ালা চাপা গলায় বলল, আমি বরদা, গয়না পাহারা দিতে এসেছি।

বলে কি? সালাম সাহবে তো হা। আমতা আমতা করে বললেন, বরদা তো এসে গেছে সাধুর ছদ্মবেশে গয়না পাহারা দিচ্ছে।

কাবুলিওয়ালা চোখ বড় বড় করে বলল, সর্বনাশ! শীগগীর চলুন তো, দেখা যাক ঘটনাটা কি।

গিয়ে দেখা গেল, সিন্দুকের ডালা খোলা, গয়নার কোনো চিহ্নও নেই। আর সেই সাধু একদম হাওয়া হয়ে গেছে।

সালাম সাহব মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। কাবুলিওয়ালা রাগে দাঁতে দাঁত ঘষতে লাগল।

এর পরের ঘটনাটা ঘটল গদাধরবাবুর বাড়িতে। গদাধরবাবুও বিশাল বড়লোক। তার একটা শখ আছে। পৃথিবীর যত দামী ও দুর্মূল্য মণিমুক্তো তিনি সংগ্রহ করেন। নিজের বাড়িতেই একটা স্ট্রং রুম বানিয়েছে আর তাতেই সব দামি পাথর রাখা হয়। তিন চারজন বিশ্বাসী দারোয়ান আছে তার। একদিন তিনি একটা উড়ো চিঠি পেলেন, তাতে লেখা- “আপনার কাছে মুরগীর ডিমের সাইজের যে বার্মীজ মুক্তোটা আছে ওটা আগামী বুধবার রাত এগারোটায় কবরস্থানের দক্ষিণে বটগাছের তলায় বাধাঁনো রেখে আসবেন, নইলে সাতদিনের মধ্যে আপনাকে খুন করা হবে।”

চিঠিটা পেয়েই গদাধরবাবু বরদাচরণকে ডেকে পাঠালেন। বরদাচরণ এলেন, ফকিরের ছদ্মবেশে গন্তীর মুখে সব শুনলেন, তারপর বললেন, ঠিক আছে, নির্দিষ্ট দিনে মুক্তোটা নিয়ে আপনি সেখানে যাবেন, সঙ্গে আমি থাকব।

বুধবার সন্ধে সাতটার মধ্যেই বরদাচরণ চলে এলেন গদাধরের বাড়িতে। বললেন, চলুন, একটু আগে থাকতেই বেরিয়ে পড়া যাক। আকাশটা মেঘলা, ঝড়বৃষ্টি আসতে পারে। মুক্তোটা রেখে আপনি চলে আসবেন, তারপর আমি যা করার করব।

তো তাই হল। ফকিরবেশী বরদাচরণকে সঙ্গে নিয়ে গদাধরবাবু নির্দিষ্ট জায়গায় মুক্তো রেখে ফিরে এলেন। রাত নটা নাগাদ ফকির আবার এসে হাজির।

গদাধরবাবু বললেন, কি হল হে বরদা, চলে এলে যে বড়?

চলে এলাম মানে! চলুন, কবরস্থানে চলুন।

এই যে একটু আগে গিয়ে ঘুরে এলাম তোমার সঙ্গে!

ফকির চোখ কপালে তুলে বলে উঠল, সর্বনাশ! করেছেন কি! মুক্তোটা কি রেখে এসেছেন।

তুমি তো তাই বললে।

ফকির সবেগে মাথা নেড়ে বলে, আমি নই গদাধরবাবু, সত্যি বলছি।

কিন্তু গদাধরবাবু সে কথায় কান দিলন না। তিনি বরদাচরণের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ডায়েরি করলেন যে, তাকে বোকা বানিয়ে মুক্তোটা বরদাই হাতিয়েছেন।

পুলিশ বরদাচরণকে গ্রেফতার করতে গিয়ে দেখে ঘরে একজন রং-এর মিস্ত্রি দেয়ালে চুনকাম করছে। দারোগাবাবু বরদাচরণের ছদ্মবেশের কথা জানেন। তাই তিনি বিনা দ্বিধায় মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে বললেন, আপনার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আছে বরদাবাবু। মিস্ত্রি কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল, আরে আমি তো বরদাবাবু নই।

কেন ছলনা করছেন বরদাবাবুঃ আমি আপনাকে চিনি।

মিস্ত্রি অনেক কান্নাকাটি কাকুতি-মিনতি করল। কিন্তু তাতে ভোলবার লোক নন। লোকটাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হল। শেষে লোকটার বউ বাচ্চা আর পাড়া প্রতিবেশী এসে যখন হলফ করে বলল যে, এ বরদা নয় তখন তাকে দারোগাবাবু ছেড়ে দিলেন।

কিন্তু বরদাকে গ্রেফতার করতেই হবে। তাই দারোগাবাবু গিয়ে বরদার ঘরে দুজন সেপাইকে নিয়ে ঘাপটি মেরে রইলেন। বরদাচরণের বুড়ি পিসি সন্ধেবেলা বরদার ঘরে ধুপবাতি দিতে ঢুকতেই তাকে ক্যাক করে ধরে ফেললেন দারোগাবাবু, হে হে বরদাবাবু, এবার আর ফাকি দিতে পারবেন না। ধরে ফেলেছি। পিসি তো আতকে উঠে চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় করলেন। লোকজন দৌড়ে এল। কেলেঙ্কারির একশেষ। দারোগাবাবু লজ্জ্বিত হয়ে থানায় ফিরলেন। তবে বিভিন্ন লোক খবর দিয়ে যেতে লাগল যে বরদাচরণকে অমুক বা তমুক জায়গায় দেখা গেছে। কেউ বলল, বরদাচরণ একটা তালগাছ হয়ে পশ্চিমের মাঠে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ বলল, বরদাচরণ গরু হয়ে সামন্তদের গোয়ালে ঢুকে লুকিয়ে রয়েছেন। এর উপর বরদারচণ বলে সন্দেহ করে সাত আটজন ভিখিরি, দুজন কাবুলিওয়ালা, তিনজন শিখ, তিনজন সাধু, দুজন ফকির, পাঁচজন বুড়ি এবং ছয়জন বুড়োকে থানায় ধরে এনে ঘন্টার পর ঘন্টা জেরা করা হতে লাগল। কিন্তু বলাই বাহুল্য আসল বরদাচরণকে কোথাও পাওয়া গেল না। পাচ্ছি না। বরদাচরণকে ধরতে না পারা অবধি আমার ভাল ঘুম হবে না, পেট ভরে খাওয়া হবে না। তা মুক্তোটা আপনার ইনসিওর করা ছিল তোঃ

গদাধরবাবু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, তা ছিল। কিন্তু টাকাটাই তো বড় কথা নয়। অমন রেয়ার জিনিস কি আর যোগাড় করা যাবে?

দারোগাবাবু নিজের অক্ষমতায় কেবল দাঁত কিড়মিড় করতে লাগলেন।

সালাম সাহবও পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেন যে, তার মেয়ের গয়নাও বরদাচরনই চুরি করেছে বলে তাঁর সন্দেহ হচ্ছে। কিন্তু বরদাচরণের কোনো হদিশ পাওয়া গেল না। গয়না বা মুক্তো চুরির কোনো কেসের ব্যবস্থা হল না।

একদিন নিশুত রাত্রি। গদাধরবাবু তার দোতলার ঘরে শুয়ে ঘুমোচ্ছেন। হঠাৎ একটা খুটখাট শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেল। প্রথমে ভাবলেন, ইদুর, তারপর মনে হল, শব্দটা আসছে জানালা থেকে।

টর্চটা নিয়ে গদাধরবাবু উঠলেন, জানালায় কাউকে দেখা গেল না। তবে ঘরের মেঝেয় একটা চিঠি পড়ে ছিল। গদাধরবাবু চিঠি খুলে পড়লেন। তাতে লেখা, আপনার মুক্তোটা আমরা ফেরত দিতে চাই। তার জন্য মাত্র পাচ লাখ টাকা দক্ষিণা লাগবে। মুক্তোটা আমাদের কাছেই আছে, নিশ্চিন্ত থাকবেন।

চিঠিটা পড়ে গদাধরবাবুর কপালে একটু দুশ্চিন্তার রেখা পড়ল। তিনি চটপট জামাকাপড় পরে চাকরদের ডাকলেন, ড্রাইভারকে ঘুম থেকে তুলে গাড়ি বার করা হল, নিশুত রাত্রেই গদাধরবাবু রওয়ানা হলেন। মাইল দশেক দূরে একটা গঞ্জে এক বাড়ির সামনে তার গাড়ি থামল। বাড়িটা গদাধরবাবুর এক বিধবা দিদির।

ডাকাডাকি করতে একজন যুবক ছেলে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে বলল, একি, মামা যে এত রাত্রে? কী হয়েছে?

গদাধরবাবু চিঠিখানা বের করে ভাগ্নের হাতে দিয়ে বললেন, এর মানে কী? ছেলেটা চিঠিটা পড়ে অবাক হয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল, মুক্তোটা তো..।

গদাধরবাবু চাপা গলায় খেকিয়ে উঠে বললেন, হ্যা মুক্তো তোমার কাছে, তবে এই চিঠি দিল কে? বোধ হয় কেউ চালাকী করার চেষ্টা করছে।

গদাধরবাবু মাথা নেড়ে বললেন, তবু মুক্তোটা আমি নিজের চোখে দেখে যেতে চাই।

তাহলে আসেন। দেখাচ্ছি।

ভাগ্নের সঙ্গে গদাধরবাবু বাড়ির মধ্যে ঢুকলেন, সিঁড়ি বেয়ে চিলেকোঠায় উঠলেন। চিলেকোঠায় রেনপাইপের মধ্যে ঝোলানো একটা সুতো টেনে তুলল তার ভাগ্নে, সুতোর মাথায় একটা কাগজের মোড়ক বাঁধা, মোড়ক খুলে দেখা গেল, মুক্তোটা যথাস্থানেই আছে।

গদাধরবাবু নিশ্চিন্তে শ্বাস ছেড়ে বললেন, যাক বাবা, যা ভয় হয়েছিল, ইনসিওরেনসের টাকাটা পেলেই ঠাকরলালকে মুক্তোটা বেচে দেব। কথা হয়ে আছে।

মুক্তোটি যথাস্থানে বেধে রেখে দেখে দরজায় ড্রাইভারটি দাড়িয়ে আছে। গদাধরবাবু ভারী অসস্তষ্ট হয়ে বলে উঠলেন, এ কি? তুমি এখানে কেন? কে তোমাকে ডেকেছে?

কেউ ডাকেনি। নিজের গরজেই আসতে হল গদাধরবাবু। থাক থাক পিস্তল বের করতে হবে না। আমার হাতেও পিস্তল আছে।

গদাধরবাবুর হাত অবশ হয়ে গেল। বললেন, তুই কে? কে বলে আপনার মনে হয়।

আরে আপনার সেবায় আমি বরদাচরণই হাজির বটে। চালাকিটা খুবই ভাল হল আপনার। সালাম সাহবের মেয়ের গয়নার মধ্যে একটা মস্ত হীরে ছিল। সেটা হাতানোর জন্য নিজের ভাগ্নেকে সাধু সাজিয়ে কাজে লাগিয়েছিলেন। তারপর নিজের মুক্তোটা নিজেই সরালেন চমৎকার প্ল্যান করে। ফকির সেজে আপনার ভাগ্নে আমার দু’ঘন্টা আগে গিয়ে হাজির হয়েছিল। বাড়ির লোক, চাকর, দারোয়ান সবাই সাক্ষী থাকল যে ফকিরবেশী সেই লোকটা আমিই, আপনারও কাজ হাসিল হয়ে গেল। তবে শেষ রক্ষাটা হল না এই যা।

উহু উহু ভাগ্নেবাবাজী, মাথার খুলি উড়িয়ে দেবো। সিঁড়িতে বুটের শব্দ পাচ্ছো না? পুলিশ।

বাস্তবিকই পুলিশ। সামনে স্বয়ং দারোগাবাবু।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত