রিকশা আপনমনেই যাচ্ছিল।
সরস্বতীদি আমার হাতটা তুলে নিয়ে চটকাতে চটকাতে বলল – কী নরম তোর হাতটা। স্কিনটাও সুন্দর। তেলতেলে। শিহরণটা কেটে গেছে আমার। এখন এক অন্য অনুভূতি। ঠিক যেন ভেসে যাওয়া। নিতাই ঠাকমার বাড়ির সামনে রিকশা থামল। ভাড়া মিটিয়ে সরস্বতীদি ডাকল। লাফিয়ে নামলাম। আমাকে কোমরের সঙ্গে প্রায় জড়িয়ে সরস্বতীদি ভেতরে ঢুকল।
কলতলায় চিৎকার চেঁচামেচি চলছিল। কাপড় কাচা, গায়ে সাবান মাখা জল ভরা সবই চলছিল। আর অদ্ভুত লাগছে এতগুলো মহিলার পুরুষোচিত কন্ঠস্বর। সব থেমে গেছে মুহূর্তে। কতগুলো সম্মিলিত শব্দ ভেসে এল–ওম্মা! দিদি যে গো!
একজন মহিলা অদ্ভুত হাতের শব্দ করে তাদের অদ্ভুত নিজস্ব কথা বলার ভঙ্গিতে ওপর দিকে তাকিয়ে বলল – অ অনিমা! দিদি এয়েছে লো! নিয়ে যা লো। চুড়িদার পরা আমার থেকে সামান্য একটু বড় মেয়েটি দোতলার রেলিঙে ঝুঁকে দেখে তরতর করে নীচে নেমে এল। এমন অস্বাভাবিক পরিবেশ কখনো দেখিনি। বাড়িটার সামনে দিয়ে বহুবার গেছি। কিন্তু কখনোই ভাবিনি। তিনতলা চার পাশ ঘেরা বাড়িটার উঠোনে রোদ্দুর নেই। শ্যাওলা ধরা উঠোনে শুধুই আলোর আভা। এত রকম অদ্ভুত জগতের মানুষকেও কখনো এক সঙ্গে দেখিনি। কারও বুকের আঁচল খসে গেছে। কারও কারও শরীরে শাড়ি নেই। শুধু ব্লাউজ আর শায়া। কর্কশ গলায় কথাবার্তা। আমার ভয় করছে। সরস্বতীদির কোমর জড়িয়ে ধরলাম দু হাতে। ও আমার কাঁধে হাত রাখল। পেঁচানো ভাঙা চোরা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে লাগলাম। মেয়েটি আগে আগে উঠছে আর পেছন ফিরে দেখছে। সমস্ত রেলিঙটায় শাড়ি শুকোচ্ছে।
তিনতলার ঘরটা খুব সুন্দর। একটা কাঠের ছোট আলমারি। মাথায় ছোট্ট টিভি। পাশে ফুলদানি। ফুলগুলো চিনি না। জানলায় দরজায় শস্তার রঙিন পরদা। একটা বড় স্টিল আলমারি। চাবিটা লকারে ঝুলছে। চার ইঞ্চি পায়া খাটে নিতাই ঠাকমা শুয়ে। আমাদের দেখে উঠে বসলেন। পা গুটিয়ে চাদরটা হাত দিয়ে সমান করে বললেন– বোস। এটা কে?
সরস্বতীদি বলল, – পিকুন। ভাইয়ের বন্ধু।
(৯)
উনি আমাকে কাছে ডাকলেন। আমায় কোলে তুলে বাঁ হাতে পিকের পিচদানি তুলে পিক তুলে পিক ফেলে বললেন, – ভারি মিষ্টি দেখতে তো? তারপরই বুকে জড়িয়ে ধরে এগালে ওগালে চুমু খেতে লাগলেন। আর আমি জর্দার মিষ্টি গন্ধে ভেসে গিয়ে ঠাকমার দু গালে চুমু খেলাম। ঠাকমা হ্যা হ্যা করে হাসছেন। তখনই দেখলাম ঠাকুমার দাঁতে লাল নীল সাদা সবুজ রঙের স্টোন বসানো। ঠাকুমার বুকের ওপর বসে অবাক চোখে দেখছিলাম। ঠাকমা দু পাটি দাঁত বার করে আমাকে দেখালেন।
-কী? কেমন লাগছে?
ঠাকমার বিকট সুরওলা কন্ঠে ভয় পেয়ে বললাম–ভাল। তাড়াতাড়ি নেমে সরস্বতীদির পাশে গিয়ে বসে পড়লাম।
ঠাকমার ডাকলেন – হিমানি! হিমানি!
গোটা ঘর কেঁপে উঠল। আমিও। ঠাকমা সরস্বতীদির সঙ্গে কথা বলছেন। আমি দেখছিলাম জানলার পাল্লায় দুটো ব্লাউজ শুকোচ্ছে। আলমারির পাশে পাঁচ-ছটা ঢোল রাখা।
হিমানি এলে ঠাকমা বললেন–টাকার ব্যাগটা দে তো! ব্যাপারটা জানি।
বাসব বলেছিল ঠাকমা তাদের অর্থ সাহায্য করে। টাকার ব্যাগ দিয়ে হিমানি আমাকে নিয়ে পড়ল। মাঝ বয়সী মহিলা। সামান্য গোঁফের রেখা। সেই অদ্ভুত কন্ঠস্বর। অদ্ভুত কথা বলার ভঙ্গি। নীচে বোধহয় ঝগড়া লেগেছে। চেঁচামেচি আর হাত তালির শব্দ। হিমানি মাসির কী লম্বা চেহারা। কত উঁচু উঁচু বুক। অবলীলায় আমার মতো এগারো-বারো বছরের ছেলেকে কোলে তুলে কত আদর করছে। আমি ছটফট করতে করতে নেমে পড়ি।
ঠাকমা বেশ কিছু টাকা সরস্বতীদিকে দিয়ে হিমানি মাসিকে বলল– ওদের দুটো মিষ্টি দে।
হিমানি টাকার ব্যাগটা আলমারিতে তুলে রাখছিল তখনই ওরা এল। পাঁচ-সাতটা বেতের ধামা নামিয়ে রাখল। ওরা গেছিল তোলা তুলতে বৌবাজার হাটে। ধামা ভর্তি সবজি-ফল-আলু-চাল। টাকটা সবজি।
ঠাকমা বলল–ব্যাগে কিছু ভরে দে।
সরস্বতীদি বলল–আমি অত নিয়ে যেতে পারব না।
(১০)
ঠাকমা ধমকে বললেন – আমার রিকশায় তুলে দিচ্ছি। পৌঁছে দেবে।
লাড্ডু খেয়ে আমরা বেরিয়ে এলাম। রিকশাওয়ালা আমাদের পায়ের সামনে ব্যাগটা কায়দা করে বসিয়ে দিল।
হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। হয়তো বাড়ি ফিরলে মা ঠাকমা খুব বকবে। বলবে – হিজরে বাড়ি যাওয়া! আর কক্ষনো যাবে না। জামা প্যান্ট ছেড়ে বাইরে কলতলায় চান করো। বড় হয়ে বুঝেছিলাম ওদের জীবন যাপন। বাচ্চা হলে হিন্দু ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী ওদের শিশু দেখতে আসা মহাপূণ্য। ওদের আশীর্বাদ দর করা চলার পথে আমাদের জীবন। কী নিষ্ঠুর এই সমাজ। জানি না এ থেকে আমরা কবে মুক্তি পাব।
বাবার মৃত্যুর ছ-মাসের মধ্যেই আমাদের জীবন অনেক স্বাভাবিক হয়ে উঠল। বাবা নেই কিংবা বাবা ছিল – এ ব্যাপারটাই আর অনুভব করতে পারি না। বারান্দার এক কোণে ছোট টেবিলে বাবার ফটো বসানো। ছোট্ট একটা ফুলদানিতে রোজ সকালে চান করে উঠে মা গন্ধরাজ বা রঙ্গন ফুল এনে তাতে দিয়ে ধূপ জ্বেলে প্রণাম করে। আমিও রোজ স্কুলে খাওয়ার সময় পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে জুতো মোজা পরে বাবাকে প্রণাম করি। সন্ধ্যায় এখন বাড়িতে টিভি চলে। মা ঠাম্মা দেখে। হাসে। ভাল মন্দ বিচার করে। আমার খুব ভাল লাগে। প্রথম প্রথম মনে হত বন্দি হয়ে আছি আকাশের নীচে। চাঁদের আলোয়। সুর্যের উত্তাপে।
ফ্যাক্টরি থেকে বাবার পাওনা টাকা সব পাওয়া গেছে। দাদুরও বেশ কিছু টাকা ছিল ফিক্সড করা। সোমনাথ কাকু, সব টাকা মাকে পোস্টাফিসে নিয়ে গিয়ে ফিক্সড করে দিয়েছে। মা কিংবা ঠাম্মা গিয়ে মাসে মাসে টাকা তুলে আনে।
আমার মাস্টারমশাই নেই। মা রোজ সন্ধ্যায় পড়ায়। এখন আর মায়ের কোলে বসে পড়ি না। সামনে বসি। মায়ের গায়ের গন্ধটা দূর থেকেও পাই।
মা বলে – অনেক লেখাপড়া শিখতে হবে। বড় হতে হবে। মা চোখের জল মোছে আঁচলে।
(১১)
র্যাপিড রিডারে বিপ্লবীদের গল্প পড়াতে পড়াতে বারবারই মা অন্যরকম হয়ে ওঠে। বিপ্লব শব্দটাই মায়ের কাছে যেন বিরাট হয়ে ওঠে। মায়ের কন্ঠস্বর তখন কেমন কঠিন হয়ে যায়। উচ্চারণগুলো কত কাটাকাটা। কী স্পষ্ট!
আমি বলি – কী হয়েছে মা?
মা বলে – তুমি এখন ছোট। বড় হও সব বুঝবে। দেশ কী! বিপ্লব কী! শহীদ কী! স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়। আমার মধ্যে কী এক উন্মাদনা জাগে। উদ্বুদ্ধ হয়ে চিৎকার করে পড়ি – বুড়িবালামের তীরে ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ…. মায়ের কথার অর্থ কিছু বুঝতে পারি না। ক্ষুদিরাম, বাঘাযতীন নেতাজীর কাহিনি পড়তে ভীষণ ভাল লাগে। মা তখন রান্নাঘরে ভাত দেখতে যায়। ঠাম্মা টিভি দেখে।
তখন আমার শুধু মনে হয় সেজমামা ছিল নকশাল। খুন হয়েছে। নকশাল কী জিনিস বোঝার ক্ষমতা আমার তৈরি হয়নি। আর জানি সেজমামা একদিন ফিরে আসবে। সেই মামাকে আমি কখনো দেখিনি। বাড়িতে কোনো ছবিও নেই। তবুও বাবার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে বলি – সেজমামা যেন ফিরে আসে বাবা। এখন আমরা তিনজনে এক সঙ্গে বসে খাই। আগে বাবার মর্নিং ডিউটি কিংবা ছুটির দিনে দুজনে এক সঙ্গে খেতাম। এখন রাত্রি দশটা বাজলেই সবাই খেতে বসে পড়ি। মা গরম গরম ভাত দেয়। মাকে ঠাম্মা সাদা শাড়ি পরতে দেয় না। মা রঙিন শাড়ি পরে। কপালে টিপও। আগে মাকে দেখলে কেমন ভয় ভয় করত। এখন মাকে কী সুন্দর লাগে! মা হাসে। মা হাসলে আলো ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। প্রজাপতি উড়ে যায়। ঠাম্মার মুখের গম্ভীর গম্ভীর ভাবটাও আর নেই।
এক দিন খাওয়ার টেবিলে বসে বললাম – মা, সেজমামাকে কেমন দেখতে ছিল? বড় মামার মতো? মেজমামা নাকি ছোটমামার মতো?
ঠাম্মা ধমকে উঠল – খা তো এখন।
আমার মধ্যে সন্ধেবেলায় পড়া বিপ্লবী বাঘা যতীন থাবা বসিয়েছে। ঠাম্মার ধমকেও থামলাম না। বললাম – সেজমামা কি বাঘা যতীনের মতো বিপ্লবী ছিল?
মা গম্ভীর হয়ে আমার মাছ বাছতে বাছতে বলল – না।
তবে?
একটু মাছ আমার মুখে পুরে দিয়ে মা বলে – বাঘা যতীন স্বদেশী আন্দোলন করেছিলেন।
(১২)
– আর মামা?
– সেজদা ঘুণধরা সিস্টেমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন।
আমি স্বাদেশিকতা বুঝি কিন্তু ঘুণধরা গণতন্ত্র কী জানি না। অবাক চোখে দেখছিলাম মাকে। আমার মনের কথা বোধহয় মা বুঝতে পেরেছে।
আমার মুখে একটু মাছ পুরে দিয়ে মা গম্ভীর কন্ঠে বলল – সেজদাদের আন্দোলন ছিল ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে। এই ব্যবস্থা স্বচ্ছ নয়। নোংরা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক।
ঠাম্মা মুখ গম্ভীর করে খাচ্ছিল। কোনো শব্দ হচ্ছে না।
মা বলল – একবার জ্যাঠাইমার ছাদের দুপুরবেলায় মিটিং বসেছিল। আমি সেবার হায়ার সেকেন্ডারি দেব আর মেজদি তখন সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। সেটা ছিল রথের দিন। মিটিঙে সেজদা, সুশান্তদা, অপুদা আর সঞ্জীবদা ছিল।
আমরা তিন বোনে রাস্তায় পাহাড়া দিচ্ছিলাম। গলির মোড়ে ছিল বড়দি। হাত তুলে ইশারা করতেই বুঝলাম পুলিশ আসছে। দৌড়ে মেজদি আর আমি ছাদে উঠে গেলাম। দুজনের শাড়ি রেলিঙে বেঁধে ঝুলিয়ে দিলাম। জেঠাইমার বাড়ির চার পাশে ঘন বন। লম্বা লম্বা গাছ। পুকুর।
মা একটু থামল। বলল – চিবোচ্ছিস না কেন?
আমি ওদের সঙ্গে ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকীরকথা ভাবছিলাম। মন্ত্রমুগ্ধের মতো মায়ের কথা শুনছিলাম। মাছটা গিলে জল খেয়ে জিজ্ঞেস করি, – তারপর?
আমার মুখে ভাত পুরে দিয়ে মা বলল-ভাল করে চিবোও। হজম হবে না তা না হলে।মায়ের বাঁ হাতটা ধরেই চমকে উঠলাম। মায়ের হাতে তো কোনো গয়না নেই। শুধু একটা চুড়ি। মায়েরা সব বোঝে। হাতটা ছাড়িয়ে আমার মাথাটা নীচু করে ভাত মুখে পুরে দিয়ে বলল, – তারপর সেজদারা শাড়ি বেয়ে নীচে নেমে বনের মধ্যে লুকিয়ে পড়ল। আমরা আবার শাড়ি পরে নীচে নেমে এলাম।
– তারপর।
– পুলিশের দুটো ভ্যান এসেছিল, সি. আর. পি ভর্তি। মা থামল। নাকে আঁচল চাপা দিয়ে হাঁচল। বলল – সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও কিছু পায়নি। শুধু বলছিল-রং ইনফরমেশন। ছাদে উঠে দূরবিন দিয়ে চারপাশ বার বার দেখে কিছুক্ষণ পর চলে গেল।
ঠাম্মা বলল – বৌমা, খাও। সব ঠান্ডা হয়ে গেল।
(১৩)
মায়ের মনে যেন সেজমামা ভর করেছে। নকশাল আন্দোলন যেন এখনো চলছে। এই ভঙ্গিতে মা বলল – সন্ধে হয়ে গেলে সুশান্তদারা সব নিঃশব্দে বেরিয়ে এল। বনের কাঁটায় হাত পা পিঠ ঘাড় সব ছড়ে গেছিল। আমরা ডেটল আর গরম জল দিয়ে সব পরিস্কার করলাম। মলম দিয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিলাম।
মা খেতে শুরু করল।
বললাম – তারপর?
– ওরা চলে যেতে যেতে মৃদুস্বরে বলল, – আন্দোলন দীর্ঘজীবী হোক।আন্দোলনটা যেন মামারা নয় মা করছে। আমি উত্তেজিত হয়ে বললাম, – থামলে কেন? বলো –
খেতে খেতে মা বলল – সেদিন রাতে সেজদাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেল বাড়ি থেকে। সেজদা পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছিল। কিন্তু ওরা পুকুরটা ঘিরে রেখেছিল।
– তারপর? যেন তারপরেরটা শুনলে আমার দম বন্ধ হয়ে যাবে।
ঠাম্মা বিরক্ত হয়ে বলল – তোমার অত কথা শোনার দরকার নেই। খাওয়া হয়ে গেছে, হাতমুখ ধুয়ে নাও।
মা খাচ্ছিল। ঠাম্মা আমার আর নিজের থালাটা নিয়ে উঠে গেল। বুঝলাম ঠাম্মা খুব রেগে গেছে। মা ইশারায় বলল বাথরুমে যেতে।
[চলবে]
আগের পর্ব ও লেখকের অন্য লেখা পড়তে ক্লিক করুন।
কথাসাহিত্যিক
স্কুলজীবনথেকে সাহিত্যচর্চা শুরু করে শূণ্য দশকের গোড়ায় পাকাপাকিভাবে সাহিত্যে চলে আসা। ইংরাজি সাহিত্যের ছাত্র। একটি দৈনিকে বেশ কিছু বছর সম্পাদকীয় বিভাগে থাকার পর এখন প্রকাশনা সংস্থায়। আনন্দবাজার, এইসময়, বর্তমান, প্রতিদিন, তথ্যকেন্দ্র, একদিন, উত্তরবঙ্গ সংবাদ, দৈনিক স্টেটসম্যান, গৃহশোভা, অদ্বিতীয়া প্রভৃতি বাণিজ্যিক পত্রিকার পাশাপাশি অসংখ্য প্রথম সারির লিটিল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে লেখা। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ তিনটি – ‘তুলির শেষ টান’, ‘বর্ষাপুরুষ’, ‘সামাজিক’। লিখেছেন চারটি উপন্যাসও। গল্প থেকে তৈরি হয়েছে চারটি সিনেমা। তুলি-রং এবং বই পড়ায় অবসর যাপন। বিশ্বাস করেন, যতদিন মানুষ, ততদিন গল্প। যতদিন গল্প, ততদিন স্বপ্ন। এবং সব স্বপ্ন আগামীর নির্মাণ ও উত্তরণে।