| 12 সেপ্টেম্বর 2024
Categories
গীতরঙ্গ

গণিত সংখ্যা: মানিকবাবুর অতঃপর । সিদ্ধার্থ পাল

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

“যাহ্‌, এই নিয়ে তিনটে গেল,” ঊর্ধ্বগগনে উড়ে যাওয়া লাল বলটাকে দেখে বিড়বিড় করে বললেন মানিকবাবু। সেটা অবলীলায় মুকুন্দপুর উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের সীমানা পেরিয়ে, বটতলার রাস্তা ডিঙ্গিয়ে শিউরি নদীর জলে ডুব দিল। কলকাতার স্কুলের বাঁহাতি ছেলেটা বেদম পেটাচ্ছে। বলে বলে ছক্কা আর চার হাঁকিয়ে চলেছে।নির্ঘাত বড় হয়ে রঞ্জি খেলবে। শুধু রঞ্জি কেন, ইন্ডিয়া খেললেও মানিকবাবু অবাক হবেন না। আর দেশের হয়েই খেলবে যদি তাহলে ক্যাপ্টেনই বা হবে না কেন?

“ছয় মারার ধরন দেখেই বোঝা যায় ন্যাটা বল্লেবাজটির নেতৃত্ব দেওয়ার শুভ যোগ আছে,” বারান্দাতে দাঁড়িয়ে জামার বোতামের ফাঁক দিয়ে দু’আঙ্গুলে পৈতে ছুঁয়ে প্রফেসি করলেন তিনি। এই মুদ্রায় থাকলে মানিক বাঁড়ুজ্যের ভবিষ্যৎবাণী মাঝে মধ্যেই ফলে যায়। দুষ্টু লোকে সাফল্যের হার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও তাঁর আত্মবিশ্বাস টোল খায়নি। তবে এভাবে একের পর এক বলের জলাঞ্জলি হলে আজ বেশিক্ষণ খেলা চালানো মুশকিল। স্কুল টিমের কোচ মধুবাবুর ওপরে বেজায় গোঁসা হল তাঁর। একেবারে যাচ্ছেতাই টিম সিলেকশন। বাইরের ছেলে এসে প্রেস্টিজে ধুপধুনো সাজিয়ে দিচ্ছে অথচ পাঁজরা লক্ষ্য করে বাউন্সার দেওয়ার কেউ নেই। খালি হাঁটুর কাছে লোপ্পা বল দিলে ব্যাটসম্যান ছেড়ে কথা কইবে কেন? এই হেরো ম্যাচের অজুহাতে কিনা হেডস্যার অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিলেন!

“ও স্যার, একবার দেখুন! আমি তো ক্লাস নিতে পারছি না,” রাশভারী গলার স্বরে খেলা দেখায় বিঘ্ন ঘটল মানিকবাবুর। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন পাশের ক্লাসরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন জীবন বিজ্ঞানের ভূদেববাবু। সিক্স এ সেকশনের ছাত্ররা এমন হট্টগোল আরম্ভ করেছে যে আশেপাশের ঘর থেকে টিচাররা বেরিয়ে এসেছেন। মানিকবাবু হাতের ইশারায় তাঁদের আশ্বস্ত করে ক্লাসে ঢুকলেন।ছেলেগুলো গতবছরেই হাইস্কুলে এসেছে, আর এর মধ্যেই এমন বাঁদরামি শিখে গেছে যে ওনাকে খেয়াল পর্যন্ত করল না।

“অ্যাই! সাইলেন্স সব,” মানিকবাবু পেটের ভিতর থেকে পরিচিত ধমকটা তুলে আনলেন। কাজ দিল তাতে।অনেকগুলো উৎসুক চোখ হুটোপুটি থামিয়ে ওনার ওপরে নিবদ্ধ হল। ক্লাস মনিটর দিগ্বিজয় আর সাম্য এতক্ষণ এদের সামলাতে হিমসিম খাচ্ছিল। ওদেরও ধড়ে প্রাণ এল যেন। ফার্স্ট আর সেকেন্ড বয়। ‘এদের মনিটর কে বানিয়েছে?’ বিরক্ত হয়ে ভাবলেন উনি। দলের সেরা খেলোয়াড়কে কখনও ক্যাপ্টেন বানাতে নেই। তাতে তার খেলার মান আর টিমের পারফরম্যান্স দুটোরই বারোটা বাজে। গেল বছর তিনি ফাইভ এ-র ক্লাস-টিচার ছিলেন। বেছে বেছে দু’জন মহা বিচ্ছু ছেলেকে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ব্যস নিশ্চিন্ত। কোনও রকম গোলমাল সামলাতে হয়নি তাঁকে। এই সহজ জিনিসগুলো আজকালকার ডিগ্রিধারী শিক্ষকেরা মিস করে যায়।

“কেউ বদমায়েশি করলেই তো তোকে নাম লিখতে বলেছিলাম,” ফার্স্ট মনিটর দিগ্বিজয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন মানিকবাবু।

“লিখেছি… এই যে,” দিগ্বিজয় আমতা আমতা করে বোর্ডের দিকে ইশারা করল। দেওয়াল জোড়া ব্ল্যাক বোর্ডে অসংখ্য নাম ঠাঁই পেয়েছে।

“এরা কারা? যারা, তারা বেঞ্চের ওপরে দাঁড়া,” মানিকবাবু আয়েশ করে কাঠের চেয়ারে বসে বললেন। অর্ধেকের বেশি ছাত্রই নির্দেশ পালন করে উঠে দাঁড়াল। ওদের মধ্যে একজন ডেঁপো গোছের ছেলে জানতে চাইল, “স্যার, কান ধরতে হবে?”

“তোকে ধরতে হবে। বাকিদের দরকার নেই,” মানিকবাবু বললেন। তাঁর মনমেজাজ বড্ড খারাপ আজকে। দীর্ঘ চল্লিশ বছরের কর্মজীবনের আজই শেষ দিন। কাল থেকে শুরু হবে অখণ্ড অবসর। বিগত একবছর ধরে ভেবে এসেছিলেন দারুন জাঁকজমক করে বিদায় সম্বর্ধনা পাবেন। ছাত্রেরা, শিক্ষকেরা হলঘরে জমায়েত হয়ে ভালো ভালো কথা বলবে ওনাকে নিয়ে। উনিও চোখের জল চেপে দু’চারটি স্মৃতি রোমন্থন করে কেক কাটবেন। তেমন কিছুই হল না। হেডস্যার আন্তঃবিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত। বললেন, “মাস ছয়েক পরে খগেনবাবু রিটায়ার করছেন। তখন দু’জনকে একসঙ্গে বড়সড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মান জানানো হবে।“ মানিকবাবুর দৃঢ় বিশ্বাস, এর পিছনে এক ধরণের বঞ্চনার মনোভাব কাজ করছে। তিনি স্কুলের কর্মশিক্ষা বিভাগ দেখাশোনা করেন। সেই ছাপোষা বিষয় সম্পর্কে বর্তমানে কারোরই তেমন আগ্রহ নেই। বিজ্ঞান, অঙ্ক, ইংরাজি, ইতিহাস, ভূগোল বা নিদেন বাংলা হলেও হয়তো এতটা অগ্রাহ্য করতেন না কেউ। ওই বিষয়গুলোতে এক-একটাতে তিন-তিনজন টিচার। তাতেও সবাই হাবুডুবু খাচ্ছে। অথচ মানিকবাবু কোনও দিনই অভিযোগ করেননি কাজের চাপ নিয়ে। হ্যাঁ, মানতে অসুবিধে নেই, কর্মশিক্ষার ক্লাসগুলো সাধারণত দিনের শেষেই হয়। আর তাঁকে বিশেষ কিছু খাটতেও হয় না। ছাত্রদের সাবান বানানো, ছবি সাঁটিয়ে প্লাস্টার অফ প্যারিসের থালা বানানো বা খাতা বাঁধাই করতে বলে দিব্যি ঝিমিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু তারমানে এই নয় যে তিনি দিনের প্রথমভাগটাও ওইভাবে কাটান! মানিকস্যার হলেন পঞ্চম শ্রেণীর সর্বঘটে কাঁঠালি কলা। অন্যান্য শিক্ষকেরা কামাই করলে যে কোনও সাবজেক্টেই ঠেকো দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে ওঁর ঘাড়ে। গতবার, হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষায়, ক্লাস ফাইভের অঙ্কের প্রশ্নপত্র এমন জমকালো বানিয়েছিলেন যে নিচু ক্লাসের ছেলেদের কাছে নিমেষে ওঁর নাম ত্রাসের সমতুল্য হয়ে গেছিল।

চোখ মুছে, বিরাট আড়মোড়া ভেঙ্গে ঘুম তাড়ালেন মানিকবাবু। অঙ্কের মাস্টার প্রতুলবাবু জরুরি দরকার আছে বলে হঠাৎ ডুব মেরেছেন। বেকার বসে জাবর কাটছিলেন, তাই হেডস্যার ওনাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন এই সিক্স এ সেকশনের ক্লাসে। ফাইভের গণিত তাঁর ঠোঁটস্থ। চোখ বন্ধ করে প্রশ্ন শুনলেই সংখ্যাগুলো উত্তর হয়ে মাথার ভিতরে নাচানাচি করে। সেই তুলনায় ষষ্ঠ শ্রেণীর সিলেবাস নিয়ে একেবারে চর্চা নেই। ভেবেছিলেন এ’দিক ও’দিক করে দিব্যি পিরিয়ডটা পেরিয়ে যাবে। কিন্তু সময় আজ কাটতেই চাইছে না। হাতে এখনও মিনিট পনেরো বাকি আছে। ভূদেববাবু আরেকবার অভিযোগের ঝুলি নিয়ে আসার আগে কিছু একটা করতে হবে।

হাতের ইশারায় তিনি বেঞ্চে দাঁড়ানো ছেলেগুলোকে বসতে বললেন। তারপরে ক্লাস মনিটর দিগ্বিজয়কে কাছে ডেকে বললেন, “তুই আমার কোশ্চেন পেপারে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছিলি না?”

“হ্যাঁ স্যার।“

“বাঃ বাঃ, বেশ বেশ। আচ্ছা, প্রতুলবাবু কী পড়াচ্ছেন তোদের?”

“ভগ্নাংশ…” দিগ্বিজয় হাই পাওয়ারের চশমা নাকের সুবিধেমত জায়গায় বসিয়ে উত্তর দিল।

ক্লাসের ছেলেদের মুখ শুকিয়ে ছোট হয়ে গেল মুহূর্তেই। মানিকস্যার হলেন মূর্তিমান কেশব নাগ। তাঁর অঙ্কের তল পাওয়া অসম্ভবের কাছাকাছি। কাউকে বোর্ডে ডাকলেই কেলেংকারি। ওদের সকলের বুক দুরুদুরু করে উঠল। ছাত্রদের সন্ত্রস্ত অভিব্যক্তি দেখে মানিকবাবু টের পেলেন এই লাইম-লাইট তিনি বেজায় মিস করবেন। বাড়িতে পান থেকে চুন খসলেই গিন্নীর মুখ ঝামটা জোটে। বাজারে মাছওয়ালা সুযোগ পেলেই পচা চুনো গছিয়ে দেয়। পাড়ার রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যায় সভাপতি বা প্রধান অতিথির পদ পান না। এমনকি, চায়ের দোকানে তর্কের আসরেও তিনি ব্রাত্য। সেখানে, শ্রেণীকক্ষের মধ্যে এখন নিজেকে কেমন আর্যভট্ট মনে হচ্ছে।

বইটা হাতে নিয়ে চ্যাপ্টার খুলেই গোলমাল মনে হল মানিকবাবুর। এই ভগ্নাংশের অঙ্কগুলো হাস্যকর। কেউ জীবনটাকে ভয়ানক কঠিন বানিয়ে আট ভাগের এক ভাগ রাস্তা অটোরিকশায় এবং ষোল ভাগের এগারো ভাগ রাস্তা বাসে যায় নাকি? আর গেলেও এমন নিখুঁত ভাবে মাপে কে? একবার ভাবলেন, পূর্ব পাঠের পুনরালোচনা হিসেবে পঞ্চম শ্রেণীর অঙ্কই আবার কষাবেন। অভিভূত ছাত্রদের মধ্যে নিজের ক্যারিশ্মা দেখানোর লোভ সামলাতে না পেরে শেষ অবধি ঝুঁকি নিয়ে নিলেন। ধীরে-ধীরে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “দিগ্বিজয়, ‘কষে দেখি’-র একটা অঙ্ক বেছে ব্ল্যাকবোর্ডে লেখ।“

শান্তশিষ্ট ছেলেটা বোর্ডে গিয়ে খসখসিয়ে চক ঘষা শুরু করতেই উনি বুঝলেন, ভুল করেছেন। ফার্স্টবয় ক্লাস মনিটর, বেছে-বেছে সবচে’ জটিল প্রবলেমটাই গোটা-গোটা অক্ষরে লিখেছে। মানিকবাবু দু’হাত পিছনে নিয়ে পায়চারি করতে লাগলেন। পিরিয়ড ফুরতে এখনও দশ মিনিট বাকি। এমতাবস্থায় পশ্চাদপসরণ অনভিপ্রেত। অতএব, গভীর শ্বাস নিয়ে স্লথ গতিতে ধাপের পর ধাপ ধরে সমাধান ব্যাখ্যা করা শুরু করলেন। গোটা ক্লাসও খাতা পেন বের করে তড়বড় করে অনুসরণে ব্যস্ত হয়ে গেল।

“তাহলে, ফলাফল হইল পাঁচ। অপু, অবশিষ্ট পথ টোটো-তে চাপিয়া পাঁচ মিনিটে বিদ্যালয়ে পৌঁছাইতে পারিবে,” মানিকবাবুর উত্তর এবং ক্লাসের ঘণ্টার এক সাথেই মধুরেন সমাপয়েত হল। সমাপ্তিতেও কিছু জ্ঞান বিতরণ করে যেতে পেরে ভালো লাগল তাঁর। কিন্তু চমক তখনও বাকি ছিল। চক-ডাস্টার, নাম ডাকার খাতা হাতে নিয়ে তিনি নিষ্ক্রমণের প্রস্তুতি নিতেই পাশের ঘর থেকে ভূদেববাবু হইহই করে ঘরে ঢুকলেন। তাঁর সাথে আরও একগাদা ছেলেপিলে, প্রতুলবাবু আর অন্যান্য টিচাররা। হেডস্যারও হাজির হয়ে গেলেন মিনিট দুয়েকের মধ্যে। স্কুল টিম হারছে বলে কেবলমাত্র মধুবাবু মুখ দেখানোর সাহস পাননি। চূড়ান্ত সারপ্রাইজ একেই বলে। বিহ্বল মানিকবাবু কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললেন। ছাত্র এবং সহকর্মীরা মিলে এমন মিষ্টি লুকোচুরি খেলবে সেটা তাঁর কাছে ভাবনার অতীত। লজ্জিত হলেন ভেবে যে তিনি কিনা অকারণে এদের কত দোষারোপ করছিলেন।

পুরনো কথা, স্মৃতির আলপনা দিয়ে দারুন হৈচৈ করে কাটল কিছুটা সময়। তবে প্রতুলবাবু ভদ্রলোক একটু অদ্ভুত বলতে হবে। মিষ্টি খাওয়া ভুলে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে কিছুক্ষণ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকিয়ে রইলেন। তারপরে, সেই যে তাঁর মুখ গোমড়া হল অনেক হাসির কথাতেও সেটার পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল না। যাইহোক, মানিকবাবুর আর কোনও অভিযোগ নেই কারোর প্রতি। তাঁর সকল আকাঙ্ক্ষা সুদে আসলে মিটে গেছে। সম্বর্ধনার নমস্কার, আশীর্বাদ, কোলাকুলির পালা গোটাতে-গোটাতে টিফিন পিরিয়ড আরম্ভ হয়ে গেল। ভিড়ের সাথে মিশে ঘর থেকে বেরোতে যাবেন, তখনই দিগ্বিজয়ের কাতর গলা কানে এল, “স্যার, একবার শুনবেন।“

“কিছু বলবি?” দরজার কাছ থেকে ফেরত এসে জানতে চাইলেন মানিকবাবু। ছেলেটা পায়ের ধুলো চাইতে পারে। তাই প্রাণ ভরে আশিস দেবেন ভেবে এক হাত আগে থেকেই তুলে রাখলেন।

“স্যার, উত্তর মেলেনি,” দিগ্বিজয় বলল।

“কীসের উত্তর?”

“আপনি যে অঙ্কটা করালেন, সেটার স্যার। আপনার উত্তর এসেছে পাঁচ, কিন্তু উত্তরমালা অনুযায়ী ফল হওয়া উচিত ছিল ছয়,” দিগ্বিজয় ঢোঁক গিলে বলল। কেশব নাগের অবতারের মুখের ওপরে ভুল ধরা একরকম আস্পর্ধা বৈকি।

“সে কী!” থতমত খেয়ে বললেন মানিকবাবু। কী কেলেংকারি! ওঁর করানো অঙ্কের উত্তর মেলেনি- এই কথাটা রাষ্ট্র হয়ে গেলে যাওয়ার দিনে সম্মান লুটোপুটি খাবে! রাগও হল গোবেচারা দিগ্বিজয় ছেলেটার ওপরে। এত আনন্দ উৎসবের মধ্যে উত্তরমালা ঘাঁটার কী দরকার ছিল শুনি? আর দেখবিই যদি, তাহলে আগামীকাল দেখলেই ল্যাঠা চুকে যেত। এখন সমাধান না বলে দিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। ও’দিকে, প্রতুলবাবু মনে হয় কিছু একটা সন্দেহ করেছেন। খানিকদূর থেকে ভুরূ কুঁচকে চেয়ে রয়েছেন ফেলুদা-র স্টাইলে। মানিকবাবু তাঁকে আড়াল করে গুরুগম্ভীর মুখে দিগ্বিজয়ের কাছে এলেন। তারপরে চাপা গলায় বললেন, “দেখ কাণ্ড! ডামাডোলের মধ্যে শেষ লাইনটাই বলতে ভুলে গেছিলাম। লেখ, অতঃপর, এক যোগ করিয়া পাই, ছয়। সুতরাং, অপুর পৌঁছাইতে ছয় মিনিট লাগিয়াছিল।”

 

 

 

 

 

 

4 thoughts on “গণিত সংখ্যা: মানিকবাবুর অতঃপর । সিদ্ধার্থ পাল

  1. আপনার লেখা সবসময়ই বড় মনোগ্রাহী। এধরণের উইট ধর্মীয় লেখায় আপনার হাতযশের প্রমাণ আগেও পেয়েছি। এবারেও মন ভরিয়ে দিয়েছেন। চমৎকার লেখা!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত