| 28 মার্চ 2024
Categories
গীতরঙ্গ

গণিত সংখ্যা: চার অঙ্কের নাটক! । শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

অঙ্কের ছাত্র হিসেবে যতীনদা তখন ‘মিথ’! কারণ, বাংলার শিক্ষাজগতে যতীনদাই তখন গণিত অনার্সের একমাত্র ছাত্র, যে কোনোদিনও অঙ্কের বই খোলেনি! যথাবিহিত সম্মান সহকারে এর কারণ জানতে চাইলে,  যতীনদা গর্বের সঙ্গে জবাব দিত, “অঙ্ক বইয়ে থাকে না, অঙ্ক থাকে মগজে”!

যতীনদা কলেজ হস্টেলে আমার রুমমেট। ছাপোষা চেহারার ছেলেটার ‘ইউনিক’ বলতে একটা জিনিসই ছিল।দুই ঠোঁটের ফাঁক গলে ওপরের পাটির ঠিক গুনে গুনে ছ’টা দাঁত সদাই মুখের বাইরে বেরিয়ে সতেজ বাতাস নিত। কাজেই রেগে লাল হলে, চাপে গম্ভীর হলেও, যতীনদাকে দেখে মনে হত, ‘সর্বদা হাসিতেছে’! হর্ষেন্দু, আমাদের আর এক রুমমেট, যতীনদাকে বুঝিয়েছিল, যে কোনোদিন কোনও টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে ওর ডাক পড়বে। ইস খুশি মে, যতীনদা ফি বিকেলে তার দুই রুমমেটকে নিজের খরচে নিজের হাতে মুড়ি মেখে খাওয়াত। আমরা ওই এক ঘণ্টার সেশনটার নাম দিয়েছিলাম ‘মুড়ি-ঘণ্টা’! একদিন পেট ভরে ওই মুড়িমাখা খেয়ে চিরকৃতজ্ঞ হর্ষেন্দু বলেছিল, ‘নির্ভুল কেমিস্ট্রি’! যতীনদা তৎক্ষণাৎ ওর ভুল শুধরে দিয়ে বলেছিল, ‘ওটা কেমিস্ট্রি না, ম্যাথ, হায়ার ম্যাথ’! বলে রাখি, হর্ষেন্দু তখন কলেজপাড়ায় অঙ্কের নামকরা ছাত্র। এখন যেমন সবার হাতে সেলফোন থাকে, তেমনই হর্ষেন্দুর করপুটে তখন সততই শোভা পেতো ‘দাস মুখার্জির’ অঙ্কবই। হতভম্ব হর্ষেন্দু ওই জবাব শুনে যতীনদাকে বলেছিল, ‘তা ঠিক, আমি গুরু অঙ্কটা ঠিক বুঝি না’! এ কথা শুনে যতীনদা যে দাঁত-চাপা হাসিটা হেসেছিল, সেটা দেখেই সম্ভবত রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে’!

আমার অবশ্য হর্ষেন্দুর মতো সৌভাগ্য ছিল না। আসলে আমি তখন হস্টেলের বাইরে বেরলে রিলিজিয়াসলি বেশি সময় কাটাতাম মেয়েদের সঙ্গে। পক্ষান্তরে, মেয়েরা কোনও এক অজ্ঞাত কারণে যতীনদাকে এড়িয়ে চলতো। যতীনদা এটা ভালভাবে নেয়নি। ও আমাকে একদিন দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই মাথার মোড়ে, হয় মুড়ি নয় নারী! সেই গ্রিক ট্র্যাজেডির গল্পটা এরকম।

এক দুপুরে আমি যথারীতি কলেজের ক্যান্টিনে মেয়েদের নিয়ে রিওয়াজে বসেছি, আর পড় তো পড়, অচানক মঞ্চে যতীনদার প্রবেশ। আর যায় কোথায়, আমার ওই চোখ ধাঁধানো মহিলামহল দেখে ক্রুদ্ধ যতীনদা নির্দেশ দিল, ‘এই, সবাই এস, ইউনিয়নের মিটিং আছে’! মেয়েরা মুখ ঘুরিয়ে নিল। আমি মুখখানা এমন করলাম যেন, ‘সাধনায় ব্যাঘাত ঘটানো পাপ’! আমি স্পষ্ট দেখলাম, অপমানিত যতীনদার মুখের সেই বারমুখো দাঁতগুলো উধাও। দাঁতে দাঁত চেপে যতীনদার প্রস্থান। কিন্তু শুধু মেয়েদের সঙ্গে আড্ডা দিলে তো আর পেট ভরে না! বিকেলে মুড়িঘণ্টার অমোঘ আকর্ষণে হস্টেলের ঘরে ঢুকেছি যেই, যতীনদার হুঙ্কার, “যাও, মেয়েদের কাছে গিয়ে মুড়িমাখা চাও গে যাও! কই, মেয়েরা তো কখনও আমার কাছে আসে না! ওরা তোমাকে ঘিরে বসে থাকে কেন?” খিদের জ্বালায় এবং ওই মানহানিকর কথার জবাবে, অনৈতিক হলেও, আমি যতীনদাকে বেল্টের নীচে আঘাত করলাম। বললাম, “তোমার দাঁত উঁচু বলে মেয়েরা তোমার কাছে আসে না!” অসহায় যতীনদা সামনে বসা হর্ষেন্দুকে জিজ্ঞেস করল, “এই, তুই তো ম্যাথের স্টুডেন্ট! তোর কি মনে হয়, আমার দাঁত উঁচু?” এক মুঠো মুড়িমাখা মুখে দিয়ে হর্ষেন্দু সেই ক্ষণজন্মা শকুন্তলা দেবীর মতো মনে মনে অঙ্ক কষে যতীনদাকে বলল, ‘তোমার দাঁত উঁচু হবে কেন! তোমার ঠোঁট দু’টো ছোট বলে দাঁতগুলো বেরিয়ে আসে! এটা তো কোঅরডিনেট জিওমেট্রি!”

বিপদ বুঝে আমি থার্ড আম্পায়ার চাইলাম। নীচের ফ্লোর থেকে ডেকে আনা হল গোবিন্দ নাগকে। ছোকরা অঙ্কে বেশ ভালই ছিল, তবে ফাটাত বেশি। পদবীর সাদৃশ্যের কারণে গোবিন্দ বাজারে খাইয়ে দিয়েছিল যে, সে নাকি কেশব নাগের আত্মীয়। তো গোবিন্দ আমাদের ঘরে ঢুকল এবং দুই পক্ষের ব্রিফিং শুনল। খানিক নীরবতা। তারপর ওই মুড়িমাখার বাটিটার দিকে লোলুপ চোখে তাকিয়ে গোবিন্দ নিদান দিল, “বত্রিশটার মধ্যে মাত্র ছ’টা দাঁত উঁচু। এটা কোনও পারসেনটেজেই আসে না। কাজেই বেসিক ম্যাথ অনুযায়ী, যতীনদাকে দেঁতো বলা যাবে না।“ যতীনদা ও হর্ষেন্দু সশব্দে মুড়িমাখা খেতে শুরু করলো। দক্ষিণা হিসেবে যতীনদা আমার মুড়িমাখার ভাগটা গোবিন্দের হাতে তুলে দিল। শুকনো লিলি বিস্কুট চিবোতে চিবোতে আমার নিজেকে সেদিন মহাভারতের কর্ণ বলে মনে হয়েছিল! কর্ণই তো পৃথিবীর একমাত্র ছেলে, যে নিজের ‘মায়ের দোষে’ আজীবন ব্যঙ্গবিদ্রূপের শিকার হয়েছিল! আমারও তো তাই-ই হল! আমার জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সাত পাঁচ না-ভেবে মা কেন যে আমার নাম ‘শুভঙ্কর’ রেখেছিল কে জানে! সুপ্রাচীন ভারতে শুভঙ্কর নামে একটা লোক সেলিব্রেটি হয়ে গিয়েছিলেন স্রেফ অঙ্ক কষে! আর শুধুই নামের দোষে সেই অঙ্কই কিনা সেদিন আমাকে কাঁদিয়ে ছাড়ল!

যদিও অঙ্ক অনেককেই কাঁদায়! নানা ভাবে! যত মত তত পথ। এই অঙ্কের জন্য সেদিন কী বুকফাটা কান্না কেঁদেছিল সুছন্দা! সে আমার হাইস্কুলের বান্ধবী, অঙ্কে তুখোড়। সুছন্দা সিওর ছিল, উচ্চ মাধ্যমিকে অঙ্কে সে দুশোয় দুশো পাবে! কিন্তু মার্কশিট হাতে পেয়ে সে দেখল, রোমান্স আর রিয়েলিটি এক নয়! সুছন্দা অঙ্কে দুশোয় ১৯৪! সে টিভি সিরিয়ালের মতো লম্বা কান্না শুরু করল। খবর গেল আমার কানে। আমি আবার মেয়েরা কাঁদলে নিজেকে সামলাতে পারি না। মনে হয়, ছুটে গিয়ে মেয়েটির পিঠে হাত দিয়ে বলি, “ওরে পাগলি, কাঁদিস না, আমি তো আছি!” তা ছুটে গেলাম সুছন্দার বাড়ি। আমাকে দেখে সে কান্নার ডিগ্রি এমন বাড়িয়ে দিল, যেন ওর অঙ্কের খাতা আমি দেখেছি! পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে এল। ফল মিষ্টি হাতে নিয়ে হাজির হল আত্মীয়স্বজনরা। কোনও কারণ না-জেনেই, সুছন্দাকে কাঁদতে দেখে তারাও তারস্বরে কাঁদতে শুরু করল। পুরো ‘রুদালি’-এর শ্যুটিং! পরিস্থিতির চাপে পড়ে আমিও কাঁদব কিনা ভাবছি।

এমন সময় ঘটনাস্থলে হাজির পাশের পাড়ার অরুণদা! সে আমাদের আগের ব্যাচ। গতবার ইংরেজিতে ফেল করায় অরুণদা এবার আবার আমাদের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। তা আমার কাছে সুছন্দার কান্নার কারণ শুনে অরুণদা সোজা বাড়ির ভিতর ঢুকে, সুছন্দার পিঠে হাত রেখে বলল, “আরে জীবনে তো উত্থান পতন থাকবেই! ছাদু রে, জীবনের সব অঙ্ক মেলে না!” অরুণদার মুখে জীবনের এই ‘হায়ার ম্যাথ’ শুনে সুছন্দা এত অবাক হল যে, তার কান্না থেমে গেল! এরপর অরুণদা যখন বীরদর্পে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে, আমার তখন মনে পড়ল, আরে! অরুণদাও তো এবার পরীক্ষা দিয়েছে! অন্তত সৌজন্যবশত ওর রেজাল্টটা জানতে চাওয়া দরকার। জিজ্ঞেস করলাম, “ও অরুণদা, তোমার রেজাল্ট কী গো?” অরুণদা উত্তমকুমারের সেই ভুবন ভোলানো হাসিটা হেসে বলল, “আর কী, আবার ইংরেজিতে ফেল!” তার এই পুণ্যবাণী শুনে, সমবেত জনতাকে হতবাক করে দিয়ে সুছন্দা হো হো, হি হি করে হেসে উঠল! আর আমার তো একেবারে ‘মাথা নত করে দাও হে’ অবস্থা! একটা ফেলমার্কা ছেলে কিনা খোলা হাটে সুছন্দাকে সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক শিখিয়ে চলে গেল! আসলে জীবন তো শুধু বীজগণিত বা পরিমিতি অথবা ত্রিকোণমিতি নয়! মাঝেমধ্যে জীবন আমাদের ঘাড়টি ধরে ‘তৈলাক্ত বাঁশ ও বাঁদর’ কিংবা ‘নল ও চৌবাচ্চা’-র অঙ্ক শিখিয়ে দিয়ে মজা দেখে!

জীবন যেমন আমার প্রথম ‘হলেও হতে পারত’ সুচরিতাকে একেবারে লাস্ট বেঞ্চে বসিয়ে ‘পিতাপুত্রের অনুপাতের অঙ্ক’ শিখিয়ে দিয়েছে আচ্ছা করে! সে ছিল আমার দিদির বান্ধবী, বারো ক্লাসে পড়ে। আর আমি ক্লাস ইলেভেন। গাছপাকা আমি টুপ করে তার প্রেমে পড়ে গেলাম। আর প্রেমে পড়লে আমি একদম দেরি করতাম না, চটপট অ্যাপ্লাই করে দিতাম। তো সুচরিতাকেও একটা চিঠি ধরিয়ে দিলাম। লিখলাম, ‘তুমি আমার টুথপেস্ট, প্রত্যহ সকালে তুমি আমাকে পৌঁছে দাও সভ্যতায়’! সুচরিতা অবশ্য পত্রপাঠ আমাকে নাকচ করে দিল। আমার তখন প্রেম ছাড়া হারানোর কিছু নেই, আর তাছাড়া বাজারে আরও দুই তিনটে অ্যাপ্লিকেশন ছেড়ে রেখেছি। কাজেই প্রত্যয়ের সঙ্গে সুচরিতার সামনে দাঁড়িয়ে জানতে চাইলাম, “প্রত্যাখ্যানের কারণটা জানতে পারি কি?” সুচরিতা ডান হাতের মধ্যমা দিয়ে চশমাটা ভাল করে সেট করে নিয়ে বলতে শুরু করলো, “লোকে টুথপেস্ট ব্যবহার করে দিনে ম্যাক্সিমাম দুই বার। প্রেমের সময়ই যার আমাকে দিনে মাত্র দুই বার মনে পড়ে, বিয়ের পর তাহলে কী হবে! কাজেই পাটিগণিতের নিয়ম অনুযায়ী, ভগ্নাংশের অঙ্কের মতো এই প্রেম বিজ্ঞানভিত্তিক নয় বলেই আমি মনে করি!” আমি সেদিন বুঝে গিয়েছিলাম, এই সব ঐকিক নিয়মের প্রেম আমার চলবে না। পরবর্তী জীবনে ফর্মুলাহীন প্রেমে আমি বেশ সুনাম করেছিলাম।

আমার কথা ছেড়ে বরং সুচরিতার কথা বলি। সে জীবনটাকে লগারিদম আর ক্যালকুলাস বানিয়ে ফেলল। নিজে অঙ্কের টিচার হয়ে সে বিয়েও করল এক গণিতের শিক্ষককে। ব্যাস, অঙ্কের সংসারে নিত্যি মন কষাকষি! এ বলে লসাগু তো সে বলে গসাগু! এ বলে সম্পাদ্য তো সে বলে উপপাদ্য! একদিন তো বর বউয়ের ব্যাপক ঝামেলা হল লিমিট বনাম ম্যাট্রিক্সের অঙ্ক নিয়ে। সেদিন মাঝরাতে মেঘ কাটিয়ে চাঁদ উঁকি দিলো আকাশে। সুচরিতা একা একা ব্যালকনিতে গিয়ে বসল। আমার একটা সাদা কালো পাসপোর্ট সাইজের ছবি হাতে নিয়ে সুচরিতা মনে মনে বলল, “জীবনে এই একটা অঙ্কই আমি ভুল করেছি!” এই শেষ দৃশ্যটা অবশ্য আমি স্বপ্নে দেখেছি। আচ্ছা, অঙ্কে কি আদৌ স্বপ্ন থাকে?

থাকে, সুতপা বলেছিল। সে আবার অঙ্ক আর আঁতলামি, দুটো ব্যাপারেই সমান পারদর্শী। কলকাতার এক সোনা ঝিকমিক সকালে আমি ওকে বললাম, “অঙ্ক সম্পর্কে তোমার অনুভব নিজের ভাষায় সংক্ষেপে বল!” সুতপা বলল, “অঙ্ক ভুল করার মজাই আলাদা, নতুন রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায়!” এটাই অ্যাপ্লায়েড ম্যাথ, আমাদের হস্টেলের হর্ষেন্দুর সাবজেক্ট। সুতপাই আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, যতীনদা গণিতের মিথই ছিল। ওই যে মুড়িমাখা ভাগাভাগি! মৌলিক অঙ্কের আর্যা অনুযায়ী, কোনও কিছুকে শূন্য দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল সব সময় ইনফিনিটি, অসীম! এই ‘সীমার মাঝে অসীম’-এর সন্ধানেই আমি যতীনদা-হর্ষেন্দুর বদলে সুতপার সঙ্গে একঘরে থাকতে শুরু করলাম, সে প্রায় তিরিশ বছর আগে থেকে। বিয়েটা তো উপলক্ষ মাত্র! সংসার করব, অথচ অঙ্ক থাকবে না, তা কখনও হয় নাকি! আমার মা কি আর সাধে আমার নাম রেখেছিল ‘শুভঙ্কর’!

সুতপা অবশ্য হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে, ‘শুভঙ্করের ফাঁকি , একশো থেকে তিনশো গেলে কত থাকে বাকি’! বিনিময়ে সে মাঝেমধ্যে মধুর প্রতিশোধ নেয় বটে। জীবনের কঠিন কঠিন অঙ্কগুলো সুতপা আমাকে কষতে দেয়, বলে “প্র্যাকটিস করো!” আমার হাত পা ঠকঠক করে কাঁপে! আমেরিকার মাইনাস মার্কা ঠাণ্ডায় বসে আমি দরদর করে ঘামি! আমার এই হাল দেখে সুতপা খিলখিলিয়া হাসে।

“লাইফ ইজ এ মিউজিক্যাল ব্যাণ্ডবক্স!” কোনও মিউজিসিয়ান নন, এই কথাটা বলেছিলেন একজন  ম্যাথমেটিসিয়ান, নাম তাঁর পিথাগোরাস!

One thought on “গণিত সংখ্যা: চার অঙ্কের নাটক! । শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত