গণিত সংখ্যা: নিমো আর অঙ্ক । সুস্মিতা কুণ্ডু
তারপর তো নিমো ধপ্পাস করে এসে পড়ল বিশাল বড় মাঠটার ঠিক মধ্যিখানে। ইতিউতি চেয়ে দেখল আশেপাশে কয়েকটা অদ্ভুতদর্শন প্রাণী ঘুরে বেড়াচ্ছে।তাদের দেখতে মানুষেরই মত তবে লম্বায় অনেকটা খাটো। পরনে কালোরঙের পোশাক। মাথায় লম্বা লম্বা শুঁড় আর সেই শুঁড়গুলোর ডগায় একটা করে শূন্যর মত দেখতে গোল গোল রিং। নিমোকে অমন আকাশ ফুঁড়ে পড়তে দেখে তারা সদলবলে এগিয়ে এল। ওকে গোল করে ঘিরে দাঁড়িয়ে গিজিগিজিবিজিবিজি করে কীসব কথা কইতে লাগল। নিমো তো তাদের ভাষা কিছুতেই বুঝতে পারে না। প্রাণীগুলো মনে হয় নিমোর হতভম্ব মুখটা দেখে কিছু একটা আন্দাজ করল। সকলে মিলে সেই রিংওয়ালা শুঁড়গুলো কয়েকপাক ঘুরিয়ে নিল। তারপরে ফের কথা বলতে শুরু করল। এইবারে নিমো দিব্যি ওদের কথা বুঝতে পারল।
এক নম্বরজন তার মাথায় একটা শুঁড় আর একটা গোল রিং সে বললে,
-“নমস্কার! ম্যাথমেটোপিয়াতে আপনাকে স্বাগত জানাই। আমার নাম টেন সিং।”
আরেকজন তার মাথায় দুইখানা শুঁড় আর দুইখানা রিং, সে এসে বলল,
-“আমি শতদল। আপনার এখানে আসার উদ্দেশ্য কি জানতে পারি আমরা?”
শতদলের কথা ফুরোতে না ফুরোতেই আরেকজন তিনশুঁড় আর তিন রিঙওয়ালা লোক বলে উঠল,-“আমরা আপনাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি বলুন। আমার নাম…”
নিমো এবার তাকে থামিয়ে ধড়পড়িয়ে বলে উঠল,-“দাঁড়াও দাঁড়াও! একটা গোল্লা মানে টেন সিং, দুটো গোল্লা শতদল, তিনটে তার মানে তোমার নাম নির্ঘাৎ ‘হাজার’ দিয়ে কিছু হবে! ঠিক কিনা?”
সেই লোকটা হাততালি দিয়ে বলল,-“আরে! তোমার তো ভারি বুদ্ধি! আমার নাম হাজারীলাল। তোমার নামটা কী বললে না তো! চল, তোমাকে আমাদের রাজামশাইয়ের কাছে নিয়ে যাই। এই তুমি নিশ্চয়ই খুব ভালো অঙ্ক কষতে পারো। আমাদের ম্যাথমেটোপিয়া রাজ্যের রাজামশাই মিলিয়ান্টোনিও আর রানিমা বিলিয়ান্টিসিয়া অনেক করে একজন অঙ্কের মাস্টারমশাই খুঁজছেন ছোট্ট রাজপুত্তুর ডেসিমেলোর জন্য। যদি তুমি ওকে অঙ্ক কষাতে পারো তবে অনেক পুরস্কার পাবে।”
নিমো ঢোঁক গিলে বলল,-“আমার নাম নিমো। হ্যাঁ, মানে অঙ্ক কষতে তো আমি খুব ভালোবাসি। আমি তো দিব্যি আমার ঘরে আমার পড়ার টেবিলে বসে অঙ্কই কষছিলুম। জানি না কী করে হঠাৎ তোমাদের ম্যাথমেটোপিয়া রাজ্যে এসে পড়লুম।”
শতদল তার মাথার শুঁড় দুটো নেড়ে বললে,-“সে নিয়ে অত ভাবতে হবে না তোমায়। এখন চলো তো দেখি রাজপ্রাসাদে।”
যেই না বলা ওমনি আকাশ থেকে মাঠের মাঝে বড় বড় কয়েকটা গ্যাস বেলুন নেমে এল। গ্যাস বেলুনগুলোর তলা থেকে একটা করে লম্বা দুদিকে বাঁকানো আঁকশির মত শুঁড় ঝুলছে। নিমো ওই জিনিসটার নাম জানে। কী যেন… ইন্টি… ইন্টি… ইন্টিগ্রেশন। বাবা মায়ের পুরনো অঙ্কের খাতায় দেখেছে ওগুলো। আরেকটু উঁচু ক্লাসে উঠলে নাকি নিমোকেও ওই ইন্টিগ্রেশনের অঙ্ক শিখতে হবে। যাই হোক, টেন সিং, শতদল, হাজারীলাল সকলে এক এক করে সেই শুঁড় ধরে ঝুলে পড়ল। বেলুনগুলোও আকাশে ভাসতে শুরু করল। ওরা ওপর থেকে চেঁচিয়ে ডাকল,-“মিস্টার নিমো, ঝপাঝপ ইন্টি–শুঁড় ধরে ঝুলে পড়।”
নিমোও আর দেরি না করে তাই করল।
তারপর সেই মাঠের ওপর দিয়ে উড়তে উড়তে চলল চারটে বেলুন।
নিমো নিচের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখে মাঠটা, আকারে ঠিক একটা আড়ে বহরে চারদিকে সমান বর্গক্ষেত্র। চৌকোনো মাঠ পেরিয়ে পড়ল একটা জঙ্গল, সেটা আবার ঠিক একটা আয়তক্ষেত্রের মত। জঙ্গলের গাছগুলো সব এক একটা সরলরেখায় দাঁড়িয়ে। প্রতিটা গাছের সঙ্গে অন্য গাছগুলোর দূরত্ব একদম মাপাজোকা। জঙ্গল পেরিয়ে যেতে চোখে পড়ল একটা বিশাল জল টলটল দিঘি, ঠিক ডিমের মত দেখতে। তার জলটা এতই ঝকঝকে তকতকে যে ভেতরে লাল নীল মাছগুলো অব্দি দেখা যাচ্ছে। আরে আরে! ওগুলো তো মাছ নয়! ছোটো বড় নানা সংখ্যা কেমন ব্যাঙাচির মত লেজ নেড়ে নেড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কী কাণ্ড! কী কাণ্ড!
বেলুনে দুলতে দুলতে ঝুলতে ঝুলতে নিমো আর বাকি তিনজন অবশেষে এসে পৌঁছল একটা বিশাল পাহাড়ের সামনে। একদম নিখুঁত ত্রিভুজাকৃতির পাহাড় দেখে নিমো খুব একটা আশ্চর্য হল না এইবার। ম্যাথমেটোপিয়াতে যে এমনটাই হবে সব এটা নিমো বেশ বুঝতে পেরে গেছে। ত্রিভুজাকৃতি পাহাড়ের কোলে চোখে পড়ল একটা মস্ত বড় প্রাসাদ। তবে প্রাসাদটা দেখে নিমো অবাক না হয়ে পারল না। হলুদ রঙের ঝলমলে প্রাসাদটা যেন একটা ঠিক পাঁচ মুখওয়ালা তারার মত। তারার একটা মুখ গেঁথে আছে মাটিতে আর বাকি চারটে শূন্যে। সেই তারাবাড়ির সব রঙিন কাচের জানালা দরজাগুলোও তারার আকৃতিরই।
নিমো নেহাতই ইন্টি–শুঁড় ধরে ঝুলছিল তাই নইলে এতক্ষণে মাথা চুলকে ভাবতে শুরু করত যে রাজবাড়ির লোকজনের অসুবিধে হয় না এমন দরজা দিয়ে আসা যাওয়া করতে!
হঠাৎই টেন সিংয়ের ডাকে নিমোর খেয়াল ফিরল।
সে বলছে,-“মিস্টার নিমো ওই ইন্টি শুঁড়টাকে বঁড়শি করে স্টারপ্যালেসের আংটায় ছুঁড়ে আটকে দাও।”
নিমো চোখ বড়বড় করে চেয়ে দেখে টেন সিং, শতদল আর হাজারীলাল বেলুনের ইন্টিশুঁড়গুলো যত টানতে লাগল সেগুলো তত ইলাস্টিকের মত লম্বা হতে শুরু করল। তারপর সেগুলো হেঁইয়ো করে ওই তারাবাড়ি মানে স্টারপ্যালেসের একটা ইয়াব্বড় কোণের দিকে ছুঁড়ে দিল। সেগুলো গিয়ে আটকে গেল আর তারপর ছিপের সুতো গোটানোর মত গুটোতে শুরু করল। ওমনি বেলুন সব ওরা তিনজন টানা হয়ে চলে গেল বাড়িটার দিকে। নিমোও আর দেরি না করে ওদের দেখাদেখি সেটাই করল।
তারপর চারজন গিয়ে নামল স্টার প্যালেসের একটা বারান্দায় বেলুন, শুঁড় সব আংটায় বেঁধে রেখে ওদের পিছু পিছু নিমো ঢুকল স্টার প্যালেসে। প্যালেসের ভেতরটা দেখে তো নিমো থ! বিশাল বড় হলঘরে এসে পৌঁছেছে ওরা। থাম থেকে শুরু করে মেঝে চারিদিকে নানা জ্যামিতিক নকশা কাটা। হলঘরের শেষপ্রান্তে হেঁটে গেল নিমো টেন সিং শতদল আর হাজারীলালের সঙ্গে। সেখানে একটা উঁচু বেদীর ওপর দুটো বড় বড় সিংহাসন আর মাঝে একটা পুচকে সিংহাসন। বড় দুটো সিংহাসনে বসে আছেন টেন সিংদের মতই দু’জন। তবে তাদের পরণে কালো নয়, ঝলমলে সোনালি পোশাক। আর তাদের দুজনের মাথায় দুটো ইয়াব্বড় কোন মানে শঙ্কু আকৃতির সোনালি মুকুট চাপানো। তাই কতগুলো শুঁড় আর কতগুলো গোল্লা রিং আছে সেটা নিমো দেখতে পেল না। তবে এঁরাই যে কিং মিলিয়ান্টোনিও আর ক্যুইন বিলিয়ান্টিসিয়া তাতে সন্দেহ নেই।
এবার নিমো নজর করল মাঝের ছোট্ট সিংহাসনটায়। তাইতে খুব ছোট্টখাট্টো আকারের রুপোলি পোশাক পরা একটা বাচ্চা বসে। তার মাথাটা পুরো গোলগাল আর ন্যাড়া। মাথার মাঝখানে একটা কালো ফুটকি ছাপ।কোনও শুঁড়টুঁড় কিস্যু নেই। সে সিংহাসনে বসে বেজায় ছটফট করছে, চোখ পিটপিট করছে যেন পালাতে পারলেই বাঁচে! এই যে তাকে জোর করে বসিয়ে রাখা হয়েছে, তাতেবেজায় আপত্তি তার। নিমো মনে মনে ফিক করে হেসে ভাবে, এই নির্ঘাৎ দুষ্টু রাজপুত্তুর ডেসিমেলো। রাজা আর রানি ততক্ষণে টেন সিংদের থেকে সবটা শুনে বললেন,-“মিস্টার নিমো, তুমি যদি আমাদের রাজকুমার ডেসিমেলোকে সব্বার আগে জিরোর ঘরের নামতা মুখস্থ করাতে পারো তবে তুমি যা পুরস্কার চাইবে তাই পাবে।”
নিমো একটু অবাক হয়ে বলল,-“কিন্তু শূন্যর ঘরের নামতার তো সব উত্তর শূন্যই হবে। এতো জলের মত সহজ। এতে আবার পড়ানো শেখানোর কী আছে!”
এই অব্দি শুনেই তো রাজা মিলিয়ান্টোনিও আর রানি বিলিয়ান্টিসিয়া আঁতকে উঠলেন। শতদল শিগগির এগিয়ে এসে বলল,-“রাজামশাই, রানিমা আপনারা চিন্তা করবেন না।মিস্টার নিমো তো এই রাজ্যে নতুন, তাই ঠিক বুঝতে পারেনি। আমরা ওকে সব বুঝিয়ে বলছি।”
নিমোকে ওরা তিনজন দূরে টেনে নিয়ে গিয়ে বলল,-“আরে বাপু তুমি তো নিশ্চয়ই জানো যে কোনও সংখ্যাকে জিরো দিয়ে গুণ করলে সেটা জিরো হয়ে ভ্যানিশ হয়ে যায়, তাই তো? এবার বুঝতে পারছ আমাদের ম্যাথমেটোপিয়া রাজ্যে একা ফাঁকা জিরো মনস্টারদের ঘুরে বেড়াতে দেখলে সবাই কেমন ভয় পায়! তাই তো ছেলেমেয়েদের ছোটোবেলাতেই শূন্যর নামতা শেখানো হয়। যাতে তারা ভুল করেও জিরো মনস্টারদের ধারেপাশে না যায়।”
এবার নিমো সবটা বুঝতে পেরে ঘাড় নাড়ে। ডেসিমেলোকে জিরোর ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার হিসেবে নিজের বাড়ি যাওয়ার পথটা জেনে নেবে রাজা রানির থেকে। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। নিমোর নতুন স্টুডেন্ট হল ডেসিমেলো। ডেসিমেলো সিংহাসন থেকে নেমে এসে নিমোর হাত ধরে বলল,
“চলো আমরা পার্কে গিয়ে পড়াশোনা করব।”
এই বলে ছুট লাগাল।
নিমো, টেন সিং, শতদল, হাজারীলালও ছুটল ডেসিমেলোর পিছু পিছু।
স্টার প্যালেস থেকে বেরিয়ে ওরা পৌঁছল একটা পার্কে। মৌমাছির খোপের মত ষড়ভুজাকার পার্কটায় কত কত খেলা। একটা ত্রিভুজের ওপর বসানো একটা ‘সমান’ চিহ্ন, ওই যাকে বলে ‘সি–স’ কিংবা ঢেঁকি। নাম্বার নাইন দিয়ে বানানো দোলনা। নাম্বার ওয়ান–কে হেলান দিয়ে বানানো স্লাইড। কিছু ছোটো ছোটো ছেলেমেয়ে খেলছে সেখানে। তারা ওই ডেসিমেলোর মতই দেখতে কতকটা যেন। তবে সবার মাথায় নানা নম্বর লেখা। এদিকে ডেসিমেলো তো পড়াশোনা শেখা দূর অস্ত, খালি ছুটে বেড়াতেই ব্যস্ত। নিমোও ছোটে ওর পিছুপিছু।
এমন সময় আকাশ কালো করে হঠাৎ উঠল ঝড়। সবাই দূরের দিকে চেয়ে দেখল একটা টর্নেডো ঘুরতে ঘুরতে পাক খেতে খেতে এগিয়ে আসছে। ওরা পাঁচজন তো ভয়ে একে অপরের কাছে জড়সড় হয়ে দাঁড়াল। টর্নেডোটা আরও কাছে এসে পার্কের চারিদিকে পাক খেতে শুরু করল। আর তার ভেতর থেকে ধুপধাপ করে নেমে এল কতকগুলো প্রাণী। ঠিক যেন জলের মত স্বচ্ছ, রঙবিহীন তরল দিয়ে তৈরি। গোল গোল আকার ধারণ করেছে তাদের দেহ। পার্কে আর যে একটা দুটো ছোট্ট ছানা খেলছিল তাদের একজনকে ওই প্রাণীগুলোর একজন জলের চাদরের মত আকার নিয়ে যেই না ঘিরে ধরল ওমনি সে ভ্যানিশ হয়ে গেল। এই রে! এরাই তার মানে সেই … জিরো মনস্টার!
ভয়ে সবাই যে যেদিকে পারল ছুটে পালাতে শুরু করল। জিরো মনস্টারগুলো একটু একটু করে এগিয়ে আসতে লাগল ডেসিমেলোর দিকে। টেন সিং, শতদল, হাজারীলালও ভয়ে কুঁকড়ে গেছে। নিমো সবাইকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে বলল,-“ডেসিমেলো, ভয় নেই। জিরো মনস্টার তোমার আমার কিছু করতে পারবে না। আমার সঙ্গে জোরে জোরে বলো দেখি,
এক শূন্যয় শূন্য
দুই শূন্যয় শূন্য
তিন শূন্যয় শূন্য
চার শূন্যয় শূন্য
…
…”
সবাই মিলে যেই নামতা বলতে শুরু করল ওমনি জিরো মনস্টারগুলো আকারে ছোটো হতে শুরু করল। আরও ছোটো হতে হতে তারা দৌড় লাগাল টর্নেডোটার দিকে। টর্নেডোটা আবার গতিবেগ বাড়িয়ে এবার উল্টো দিকে যেতে শুরু করল। আর সেই জোর বাতাসের ধাক্কায় নিমো ছিটকে পড়ল একটু দূরে।টেন সিং, শতদল, হাজারীলাল, আর ডেসিমেলোও পড়ে গেল এদিক সেদিক। চোখের সামনেটা কেমন যেন অন্ধকার হয়ে এল।
****
-“নিমো! ও নিমো! ওঠ বাবু। রুটি খাবি চল এবার, রাত হয়ে গেল যে। কাল আবার ইস্কুল আছে সক্কাল সক্কাল!”
মায়ের ডাকে আর পিঠে মায়ের হাতের ঠেলা খেয়ে নিমোর সম্বিত ফিরল। চোখ খুলেই দেখে টেবলে মাথা রেখে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে। সামনে অঙ্কের বই আর খাতাটা খোলা। স্কুলে দশমিকের চ্যাপ্টারের নতুন অঙ্ক শেখানো শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে একটা অঙ্ক ভুল করেছে ও। লাল কালিতে ‘শূন্য’ লেখাটা জ্বলজ্বল করছে। তাই ডেসিমালের অঙ্কই ভালো করে প্র্যাকটিস করতে বসেছিল নিমো। কখন যে চোখদুটো লেগে গিয়েছিল।
দাঁড়াও দাঁড়াও! তবে এই যে নিমো ম্যাথমেটোপিয়াতে ছিল! টেন সিং, শতদল, হাজারীলাল বন্ধু হল! রাজা মিলিয়ান্টোনিও, রানি বিলিয়ান্টিসিয়ার ছেলে রাজপুত্তুর ডেসিমেলোকে শূন্যর ঘরের নামতা শেখাচ্ছিল! তারপর…তারপর… জিরো মনস্টাররা হামলা করল, সব কি তাহলে স্বপ্ন!
তাই–ই হবে তাহলে।
আর বেশি না ভেবে নিমো বইখাতা গুছিয়ে তুলে রেখে ছুটল ডিনার সারতে।
ওদিকে গুছিয়ে রাখা খাতার পাতার ভেতর থেকে লাল শূন্যর আঁচড়টা কেমন যেন গলে গলে তরল হয়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করল!
আবার নতুন কোন অ্যাডভেঞ্চার শুরু হতে চলল নিমোর জীবনে বলো দেখি তোমরা!

একটি সাড়ে ছয় বছরের দুরন্ত সন্তানের জননী। বর্তমানে উইসকনসিন, আমেরিকায় থাকি, বাড়ি হাওড়া-তে। কলকাতার ‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’ থেকে পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলাম। শিশুকিশোর সাহিত্য পড়তে এবং লিখতে খুব ভালোবাসি। প্রকাশিত ছোটোদের বই : ১) রহস্যে ঘেরা বারো, ২০২০। প্রকাশক : সৃষ্টিসুখ। ২) এক যে ছিল, ২০২১। প্রকাশক : বুক ফার্ম।