আজ ০৩ জানুয়ারি কবি,লোকসংস্কৃতি গবেষক সুবীর সরকারের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
গ্যালারি
ঘুমের খুব কাছে তোমার ঘামে ভেজা
মুখ
সাঁকো থেকে লাফিয়ে পড়া ঘোড়াটি
ইতিহাসপুরাণ রচনা করে ফেললে বিকেলমাঠে
হাডুডু
গ্যালারিতে বসে থাকছি আর বরফ
পড়ছে
শিকারি ১
আসলে সব কিছুই ব্যক্তিগত।সেই আদ্যিকালের
বন্দুক হাতে শিকারিরা।বড় বড় পাতায় ঢাকা
সমাধি
নদী আঞ্চলিক,মাছও-
ডায়েরি
যেমন দু চার ঘন্টার হাওয়া
পালিয়ে যাওয়া জোতদারের হাতি
ক্লিনিকে ক্লিনিকে ঘুরে বেড়ানোর জীবন
ছিল আমার
নির্জন হতে জানি।
জাগিয়ে রাখছে পেঁচার চোখ
রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছি ঘোড়ার
গাড়ি
গমখেতের কবিতা
হে গমখেত,বাজনাবিলাসী গমখেত
গোড়ালিতে পিন ফোটে আর
মরণঝাঁপ
‘আলতো করে খুলছি ব্যন্ডেজ’
শিকারি ২
এই যে নদীপাথর
এত এত পুস্করিনী!
সেচখালের পর সেচখাল
পেরিয়ে আসা
শিকারি শোনাচ্ছেন বাঘডাকের
কথা
সম্পর্ক
ভোরবেলার কাশির মতো অদ্ভুত একটা
সম্পর্ক
কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় ছায়ায় হেঁটে
যাওয়া
দক্ষিণমুখি রাস্তাগুলিতে ডানার
ছায়া
দোয়েল
ভাঙা দেওয়ালে পা।দেওয়ালে দোয়েল বসে
থাকে
কত কত জন্মের পুলক!
ভরসন্ধ্যেয় পালকি এসে
থামে
শব্দ
পেরেক বা রক্তপাত নেই
মেঘের ডাক। বৃষ্টিশব্দ।
ইঁদুরের দাঁত খুব তাড়াতাড়ি
বাড়ে
মাকড়শার জাল ছিঁড়ে গেলে
সানগ্লাস কিনে আনি
করাতকল
পায়ের চাপে মরে যাওয়া পিঁপড়ে
তবে গার্গল করার ওষুধ দিন
ভারী বিষাদ নিয়ে ঘুরি
ফিরি
গল্প নয়,করাতকল।
শোক
আমাদের খোলামেলা জীবন
আধলাইন লিখেই অনলাইনে
সুতরাং বিকট হাসি
যদিও জাতীয় শোক
পেশা কেটে মাতাপিতার
নাম
শব
যদি বৃষ্টির জলে ভিজে যেতে হয়
নদী পেরোলে তোমার বাড়ি
নিতান্তই সাদামাটা
পাখির গলিত শব
বস্তুত লগি ও
বৈঠা
কনভয়
গাছের ডালে পাখি,হাড়পাঁজরা
এগিয়ে যাচ্ছে কাশির কনভয়
অন্তত বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠো
ওত পেতে থাকা পাগলবাড়ি
তালুতে ঢাকা মুখ।কাক চিলের
ঝগড়া