তিনটি কবিতা
সম্পর্ক
উড়ন্ত তুবড়ির পথে ঘুরন্ত পৃথিবীর খোঁজ।ঈশ্বর কৃষ্ণ গহ্বর ছেড়ে গিটারটা চাঁদের রোদে রেখেছেন। চাঁদ সুষমা ছড়াতে গিয়ে ভুলে গিয়েছে বাসর রাতের কথা। লবণাক্ত ঝোলে দুফোঁটা টিকটিকি পড়েছিল।ঈশ্বর রোদ ঝেড়ে গিটার কাঁধে তুলে নিয়েছেন একবার চাঁদ আর একবার কৃষ্ণ গহ্বরের নাব্যতা মাপছেন।

কপিপেষ্ট
ও সোনামুখ বল কেমন হবে মৃত্যু যাপন
কেমন হবে অমন বাঁচা সাঁতরে সাঁতার আচম্বিত
নিশিপালন।
আমি আমার দিকভ্রান্ত চতুর্দিক অষ্টরম্ভার
ও সোনামুখ তুই বল দিকবলয়ের গোলশূন্য
হাহাকার।
মরতে মরতে বেঁচে উঠি বৈঠা ভেঙ্গে আঁধার গড়
বিদ্ধহল জল জামানায় তীক্ষ্ণ বড় শক্তিশেল
সুরতহাল।
মানুষের হাজারটা ভাঙ্গ এমন করে ভাঙ্গতে থাক গাড়ির কাঁচে নীল জার্সিতে ইন্দুবিন্দু লেখালেখি
কপিপেষ্ট।

দূর্ভিক্ষের নদী
সূর্যের বাঁকা নদীটি সন্ধের মুখে ঘুমচোখ হাঁস
ঝিরিমিহি নিরিচুপি কথা বলে টিলার গাছালি
টিলাপাহাড় আদিম অন্ধকার মৃত্যুর ডাক
গাছে গাছে লেগে আছে শবের গন্ধ
একাদশী কাক লালচোখা চাঁদ খেতে উড়ে যায়
পাহাড় কোমরে বাঁক তুলে মরাপচা নাচ
গাছের গা ছেড়ে সব শব নেমে আসে
নিমরাত দূর্ভিক্ষ জোছনায়
সে ভয়ংকর রাত অবিকল বর্ণনা —
হাঁসের বুক উবু হয়ে বসে আছে সহস্র শব
খুঁটে খুঁটে সারারাত নাড়িভুড়ি মাংস খায়দায়
বাতাসে হাঁসের পালক ওড়ায়

একটা সময় অবধি সায়েন্সের ছাত্র।দূরসঞ্চার বিভাগে কর্মজীবন শুরু টেলিগ্রাফিস্ট হিসেবে। জুনিয়র ইন্জিনিয়ার পদেও কিছু বছর। বর্তমানে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থায় (ভারত সরকারের) Accounts Officer হিসেবে কর্মরত।জীবন ও জীবিকার ভাঙ্গাগড়া অনেক দেখেছি।আমার ভেতরে তাই বয়ে চলে সাহিত্য নদীর ধারা অনবরত। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত অনেক লেখা।এই লেখার টানেই কবিতাকে নিয়ে চলে যাবো নগ্ন নির্জন দ্বীপে—এই আমার শখ।জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা শিলিগুড়ি শহরে, বর্তমান কর্মস্থল কলকাতা।