মিথ্যে
আগুনকে দিয়েও মিথ্যে বলানো যায় তবে
মিথ্যে বলতে পারে বসন্তের দিন
মিথ্যেকে মিথ্যে করে জ্বলে ওঠ হৃদয়
মিথ্যে নয় শেষ সত্য তারও কিছু ঋণ
কিছু জমিজমা বুকের ভেতরে জ্বলজ্বল
কথা ভেঙে নিয়ে এস মধু ও পথ্য
কথা জুড়ে গড়ে তোল অপূর্ণ ঘর
তাতে আঁক টলমল শিশু খলবলে সুখ
ফাৎনা দিনমান নড়ে যায় বৃথা
তাতে বড় চাড় গেঁথে বসে থাকা যায়
শ্মশানে মশানে যেন লোকগাথা
ভুল সুরে গান গায় কানাই বাউল
যেন
ফিরিয়ে দিলেও লেগে থাকে আদর
গালে গাল ঠেকিয়ে আমার মেয়ের মতন
যখন তখন এসে অকারণে জড়িয়ে ধরে
ফিরিয়ে দিলেও সব যন্ত্রনা সব কোলাহল গুঁড়ো
চায়ের কাপের প্রথম চুমুকের মত তৃপ্ত
একটা কবিতা হয়ে একটা গান হয়ে
আমাদের মাঝে নামমাত্র যোগসূত্র
সকাল হতেই উইশ করি যেন ঘটেনি কিছুই
যেন কেউ ফেরায়নি আমাকে কোনোদিন
এখন সময়
আশ্চর্যজনক ছুৎমার্গ কাটিয়ে চোখাচোখি হচ্ছে সময়
সময়ের আগেপিছে আলস্য সময়ের হাতে পাতে মন
মন নিয়ে পায়েপায়ে হাঁটা মন নিয়ে বদলের একাত্ম গান
গান তুমি ভুলো না কখনও গেয়ে উঠে বলে দিও কারা আত্মঘাতী
অপ্রেম হে
এত অপ্রেম রাখলে কোথায় সাতাশ বছর
সাতাশ বছরে কত জন্মের বৃত্ত ফুরোয়
ফুরোল যদিবা মন যোজনার বৈধ সময়
সময় পেরনো বড় হয়ে ওঠা ঘটে না কেন
কেন এত দাহ ফালাফালা করে শান্তি কোথায়
কোথায় লুকোবে লজ্জাকথারা ঐতিহাসিক
ইতিহাস শুধু প্রেমটুকু রেখ ধারক বাহকে
বহনযোগ্য হবে কোনদিন অবুঝ মনন
মনকে বোঝানো সোজা কথারাও বড্ড কঠিন
কঠিন আরোই একমাত্রিক টানের কবিতা
কবিতায় আর কতমাত্রার কষ্ট আঁটবে
আঁটছেনা বলে ঝুরঝুর করে ভাঙছে বনেদ
ভাঙনের দ্রুতি আলোর দোহাই নাগাল পেরোয়
পেরনো যায়না পেছন পথের পায়ের ছাপটি
ছাপটুকু তবে ট্রফি হয়ে থাক বোবা ক্যানভাসে
ক্যানভাস তার নিজের শর্তে সময় আঁকুক

কবি