জলঝারি
এই না চেনাটুকু
নিয়ে বানাব
নির্জন জলঝারি।
ক্যানভাস
পিকাসোর বিছানা
ঘুমন্ত চাঁদে
নীল ট্যারেন্টুলা।
বিরোধী
তুমি বিরুদ্ধতা
জলস্পর্শী
আগুনের রাত।
গামছা
সম্পর্কের জট
রন্ধ্রহীন
ঝুল গামছায়।
লবণ
প্রতিটা নদী জানে
জন্মপথ
লবণাক্ত বহুস্বর।
হাসি
হাসির ভিতরে
খোবলানো মুখ
হাসির বাইরে।
নাচ
রোগা হয়ে যাওয়া
বিকেলগুলো
ধেই ধেই করে নাচছে।
অবৈধ
পরকীয়া আলো
মরছে ধরা
জানলার কাচ।
জোকাবুড়ি
বুড়বুড়ি কাটে জোকাবুড়ি
দীঘল পুকুরে
ফুটে থাকা শালুক কুঁড়ি।
জামা
রাতভোর নকশাটা
সুনীল গাঙ্গুলির জামার মতো
বুকে সাঁটছে।
পাতকুয়ো
অন্ধকার কুয়োতলা
সন্দেহের তীর
মুখ বের করে আছে।
দাঁত
দাঁত হারানোর পর
সব বাবা’রা
ফোকলা মধুসূদন।
চাঁদঘড়ি
প্রেতাভ জ্যোৎস্নায়
শব্দহীন ঘড়ি–
ছড়িয়ে দিয়েছে ডানা।
জুয়া
জুয়াতে ঢুকে যায়– ৫ ৩ ৫
বাবা,মা,মেয়ে,বৌ,ঘরবাড়ি,গাছপালা,বেদের পুকুর
ঠুঁটো জগন্নাথ আড়চোখে দ্যাখে।
ভিনানেল
অপূর্বদা’র
ভিনানেলে শায়িত
শঙ্ঘ ঘোষ।
মাউথ অরগ্যান
স্বপ্নহত্যার দৃশ্য বোনে
অ্যাকিলিস পৃথিবী
ঈশ্বরের মাউথ অরগ্যান।
প্যারাম্বুলেটার
প্যারাম্বুলেটারে শুয়ে
শিশুটি হাসে
মেঘাবৃত রোদ ওঠে।
ডুবসাঁতার
ডুব দাও–ডুবে যাই
হে ঈশ্বর,
প্রেমিকার ঠোঁটে।
হাতিঘর
মরা গাছ
হাতিদের প্রিয়
অট্টালিকা।
ধুতি
ভেড়ুয়া সময়
ধুতি খুলছে
সমাজের।
ছারপোকা
বালিশের উপর
মাথা রাখে
ছারপোকার গান।
দিদি
ভালোবাসার পরেও
দুটো হাত
চুম্বক থেকে খসে যায়।
পুরস্কার
না পুরস্কার
না তিরস্কার
চাই কামড়…
প্যাঁচ
প্যাঁচ করতে পারিনি বলে
ওরা আমাকে
হারামির দলে রেখে গেল।
মল্লযুদ্ধ
মেয়ের সাথে ডিমের
অংশভাকটুকু
ডনক্যুইকজোটের মল্লযুদ্ধ।
দহন
ধর্মের ঘোড়া
পুড়ে যায়
তারপিন তেলে।
বাটখারা
বাটখারা তুলি
নামিয়ে নিই সেই
ব্যথা দীর্ণ মীন চোখ।
দাড়ি
তুঘলকি দাড়ি
‘মন কি বাত’
শুধু হাওয়াগাড়ি।
রিফিল
ফুরনো রিফিলের
মনস্তাপ বোঝে
‘শ্রীপান্থের কলকাতা’?
বারমুডা
বারমুডা ট্রাঙ্গেলে
রাখা আছে
ঘুমের জাহাজ।
‘হেক্টর বধ’
কেউ যদি নাও আসে
ক্ষতবিক্ষত বুকে
আমি ফিরব ট্রোজান।
আজটেক
রক্তপায়ী যুদ্ধ
অগ্নিবৎসা নারীর
আজটেকে হার্নান কোর্টেস।
দেশভাগ
জঙ্গলে বসে
দেশভাগের কাঁটা বাছচে
যোগেন মণ্ডল।
পিতা-গোবিন্দ দত্ত,জন্ম তারিখ -১৪/১২/১৯৮৭,শিক্ষাগত যোগ্যতা-সাম্মানিক বাংলা স্নাতক (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়),পেশা-গৃহশিক্ষকতা।সম্পাদিত পত্রিকা -‘কবিতা তোমাকে’ ও ‘মাজু পুঁথিপত্র’।প্রথম কবিতার বই-‘সোহাগি হরিণ তুমি’,।এছাড়া উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ-‘অন্ধকার রোমান্টিক'(যৌথ),’জেগে আছো হিমরক্ত?’,’ভ্যালেন্টাইন কবিতাগুচ্ছ’, ও ‘রক্তপাখির গান।উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছোট পত্রিকা সমন্বয় সমিতি’-র পুরস্কার ‘কবিতা তোমাকে’-র প্রতিবাদ সংখ্যার জন্য (২০১৮)।সম্মাননা-‘সপ্তপর্ণ সাময়িক পত্রিকা সম্মাননা'(২০১৯)।পত্রিকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যা-‘সিরিয়ার গণহত্যা’ ও ‘প্রতিবাদ’ সংখ্যা’।যন্ত্রস্থ -‘বিশেষ কবিতা’ সংখ্যা।]