Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,Heritage House

উত্তর কলকাতার এমন দুই বাড়ি যাদের প্রতিটি ইটে লেখা আছে ইতিহাস

Reading Time: 2 minutes

কলকাতা জোড়া পুরনো বাড়ি। তিলোত্তমার ইতিহাসের টুকরো নিয়ে আজও তারা অমলিন। ঐতিহ্যমণ্ডিত এই সমস্ত বাড়ি তাদের সঙ্গে নিয়ে চলেছে পুরনো কলকাতার সাক্ষ্য, অতীতের প্রতিবিম্ব। আর এই সমস্ত বাড়ির সন্ধানে চলছে হেরিটেজ ওয়াক। উত্তর কলকাতার এমন দুই বাড়ির খবর রইল, যাদের প্রতিটি ইটে লেখা আছে ইতিহাস। কোনও এক দিন টুক করে দেখে আসুন ঐতিহ্যমণ্ডিত এই ভবন দু’টি।

এখন তাঁর নামে রাস্তার নাম। আগে ছিল আমহার্স্ট স্ট্রিট। ৮৫ নম্বর বাড়ি। শিয়ালদহ, শ্যামবাজার, কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া থেকে অল্প আয়াসে পৌঁছে যাওয়া যায়। আর মানিকতলা থেকে তো ঢিল ছোড়া দূরত্ব।বাড়িটিকে প্রাসাদোপম বলাই যায়। এক সময় এর গায়ে ইংরেজিতে লেখা ছিল, যার বাংলা তর্জমা ‘রামমোহন রায় এখানে ১৮১৪ থেকে ১৮৩০ অবধি বাস করেছেন’। পরে ফলকটি তুলে নেওয়া হয় নতুন ফলকে জানানো হয়,

এটি রাজা রামমোহন রায়ের পরিবারের তরফ থেকে তৈরি করা হয়েছে, যে রামমোহন রায় ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।এই বিশাল ভবনটির একতলা দোতলায় অগুনতি ঘর, সামনের চত্বরে বাগান। বিরাট বিরাট স্তম্ভের উপরের বারান্দা ধরে রাখা রাজকীয় প্রবেশ পথ।

আর উপরের বারান্দায় একটা ব্যাডমিন্টন কোর্ট অনায়াসে ঢুকে যাবে। কী আশ্চর্য, একদা এইখানেই নুনের চৌকি ছিল। যার পাশে ছিল খোলার বস্তি।বিভিন্ন ঘরেতে অনেক মূল্যবান ‘অ্যান্টিক’ রাখা আছে। আগে এখানে পাহারা ছিল না বললেই চলে।

এটিকে ‘মন্দির’ও বলা হয়। ৮৫ নম্বর বাড়ি থেকে সিমলা মেছুয়া বাজারের ২১১ বিধান সরণির এই বাড়িটি প্রায় পায়ে হাঁটা দূরত্ব। আর হাতে টানা রিকশায় একটুখানি।ভবনটি নির্মাণের শুরুটা একটু বলা যাক।

১৮৭৮- এর মার্চ মাসে কেশবচন্দ্র সেনের ‘ভারতীয় ব্রাহ্মমন্দির’, কিছু মতবিরোধের কারণে ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শিবনাথ শাস্ত্রী, উমেশচন্দ্র দত্ত প্রমুখ।মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের লিখিত আশীর্বাণী নিয়ে টাউন হলে একটি সভা করেন তাঁরা। অতঃপর এই বাড়িটি নির্মাণের প্রচেষ্টা শুরু হয়।দেবেন্দ্রনাথ সাত হাজার টাকা দেন। অনেকেই তাঁদের একমাসের রোজগারের টাকা দেন। ১৮৭৯-র ২৩ জানুয়ারি মাঘোৎসবের দিনে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় এই বাড়ির। তার ঠিক দু’বছর পর ১৮৮১-র ২২ জানুয়ারি মাঘোৎসবের দিনেই নগর কীর্তন করে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। দু’বছর ধরে প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছিলেন আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী ও গুরুচরণ মহলানবিশ

স্বামী বিবেকানন্দর ভাই মহেন্দ্রনাথের মতে, এই জায়গাটিতে ঠনঠনের ঘোষেদের পুকুর ছিল। সেটি বুজিয়েই এই ভবন তৈরি হয়।সুদৃশ্য ভবনটির পিছন দিকে একটি বড় উঠোন, তার পিছনে শিবনাথ শাস্ত্রীর সাধনাশ্রম। এই আলাদা বাড়ি শিবনাথ স্মৃতিভবনও দর্শনীয়।

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>