আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট
সীতা অনেকটাই পুরনো ধরণের নাম৷ কিন্তু সতেরোর সীতা সাহা নিজের নামটিকে খুব পছন্দ করে৷ একটাই মেয়ে বলে, ভালোবাসা সে একটু বেশিই পায় যদিও লেখাপড়ায় ঠিকঠাক মন বসাতে অস্বস্তি হয়। অথচ প্রাতিষ্ঠানিক পড়ার চেয়ে অনেক কঠিন পড়া অবলীলায় সেরে ফেলে আনন্দে। ক্যামেস্ট্রির ইকুয়েশন কি আর জিজেকের নতুন বইয়ের চেয়ে কঠিন? কিন্তু দেখা গেলো বেশ তারিয়ে তারিয়ে, কফি খেতে খেতে অবলীলায় একেকটা জিজেক কিংবা হারারির সিঁড়ি টপকে যাচ্ছে সে। আশ্চর্য এক ফোঁটা ঘাম ঝরছে না! ওর বাবা সত্যচরণ সাহার একটা বাইক আছে, সে বাইকে সারাদিন তিনি নানা কাজে শহরে ঘুরে বেড়ান আর দুপুরের একটু পরেই ফেরেন৷ মেয়ের সাথে ভাত খেতে তাঁর ভালোই লাগে! প্রায় শেষ বয়সের মেয়ে। ডাক্তাররা বলেই দিয়েছিলেন তাঁর ছেলেমেয়ে কপালে নেই কিন্তু চুয়াল্লিশের দিকে বাবা হলেন। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছিলো। তুলোর বলের মতো হালকা এক অস্তিত্ব।
এখন তাঁর জীবন মেয়েময়৷ বাইরে এখন মন টেকে না। আগে মিনিট পনেরো দূরে পাবলিক লাইব্রেরির সামনের মাঠে সমবয়সীদের আড্ডা খুব উপভোগ করতেন। এখন মেয়ের সাথে আড্ডা দিতেই ভাল লাগে। কিন্তু তিনি ঘরমুখো হতে হতে মেয়ে বারমুখো হয়ে গেলো। ছেলেপুলে জুটিয়ে নানারকম কাজ করে বেড়ায়। মানব বন্ধন করে কিসের কিসের দাবিতে৷ শহরের বেশ কয়েকটা পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জন বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে। সেসব পাটকলের শ্রমিকদের খোঁজ-খবরে এখন মেয়ের দিন কাটে। সে-ই কোন সকালে বেরিয়ে যায় ফেরে সন্ধ্যার পর, কোনো কোনোদিন রাত করে। ‘কি রে মা, আজ বেরোসনি?’ মেয়েকে অসময়ে চাদর গায়ে শুয়ে থাকতে দেখে বাবা কপালে হাত দিয়ে দেখলেন গা গরম কি না৷ না! সব তো ঠিক আছে৷ মেয়ের মা কাজ করেন ভূমি অফিসে, বিকেলে ফেরে৷ ‘আজ বই পড়তেই ভালো লাগছে, কতদিন বই পড়ি না বাবা!’ খাটের পাশে বসেন বাবা। মেয়ের ওপাশে ‘রাবণ বধ’ উল্টে রাখা, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর বই। বাড়ির কাছেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের গাড়ি সপ্তাহে একদিন আসে৷ মেয়ের পাশে বসে থাকতে ইচ্ছে করে তাঁর কিন্তু মেয়েকে কিছু একটা নিয়ে খুবই ক্লান্ত মনে হচ্ছে, জিজ্ঞেস করতেও ভয় হয়, আজকালকার বাচ্চারা উল্টো তর্ক করে, পরে খারাপ লাগে খুব। মাস তিনেক আগে বন্ধুর কাছে পাওয়া সিভাস রিগালটা খুলবেন ভেবে তিনি ভেতরের ঘরে চলে গেলেন। এ বাড়ির একদম ভেতরের দিকের একটি ঘর সত্যচরণের নিজের দুনিয়া। অবসর কাটানোর জায়গা। আজ রান্নাটা করা ছিলো। গরম করে খেয়ে নিয়েছিলেন আগেই। মেয়েকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, মেয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আর বিরক্ত করেননি৷ আমাদের প্রত্যেকেরই একটা নিজের জায়গা থাকা দরকার যেখানে মানুষ একা ও কোনো জবাবদিহি নেই কারো কাছে, এমনটাই মনে করেন তিনি৷ পরে একা দুপুরের খাবার খেয়ে খানিকটা চুপচাপ গান শুনে আবার গিয়েছিলেন মেয়ের পাশে বসতে, তা-ও মেয়েকে কাছে পেলেন না, দ্রুত বড় হয়ে যাচ্ছে মেয়ে, তাঁদের দুজনের দুনিয়া আলাদা হয়ে যাচ্ছে, এখন হয়তো নিজেদের ভাষাটুকু পরস্পরের কাছে ভোরের পাখিদের ডাকের মতোই সুন্দর অথচ অবোধ্য।
ছোট এ ঘর বালকবেলা থেকেই সত্যচরণের, বাবামায়ের একমাত্র সন্তান হিসেবে বাড়িটা উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছেন৷ এমনকি ডানোর জং ধরা টিনভর্তি মার্বেল, রং চটা কাঠের দাবার বোর্ডটাও আছে আজ প্রায় বত্রিশ তেত্রিশ বছর। শর্ট হ্যান্ড শিখেছিলেন চাকরির দরকারে, সে-ই ছোটো ছোটো খাতাগুলি আজো আছে। মাঝে মাঝে দু একটা কবিতা বেরিয়ে পড়ে, কখনো ছাপানো হয়নি। তিনতলা এ বাড়িটার উপরের দুই তলা ভাড়া দেয়া। নিচতলার পুরোটা জুড়ে মেয়েসহ তাঁর সংসার। ছাদে আরেকটা ঘর আছে, খুব গরম পড়লে উঠে যান, শহরের এ এলাকায় বিদ্যুতের কোনো মাবাবা নেই৷ প্রায় সাড়ে তিন বছর পর প্রথম চুমুক দিয়ে ভালো লাগলো। একটু বেগম আখতার চালিয়েছেন পুরনো রেকর্ড প্লেয়ারে। বড় প্রিয় যন্ত্র, এখনো বিট্রে করেনি।
***
শামস মমীনের সাথে প্রথম পরিচয় ফেসবুকেই, সীতাকে বন্ধু অনুরোধ পাঠাবার পর সে দেখলো ছেলেটির প্রোফাইল জুড়ে ভ্যান গগের নানা ছবি। নিজের ছবি জুড়েছে আর মায়ের কোলে শিশুকালের এক ছবি। নিজের সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য, বুয়েটে ভর্তি হয়েছে মাত্র। একদিন কুরিয়ার থেকে ফোন এলে সীতা একটা বড়সড় বাক্স নিয়ে এলো। বাক্সের ভেতরে শ দুই ভ্যান গগের ছবির প্রিন্ট। আর ডাইরি গোটা কতক। তাতেও চিত্রকরের অনেক উদ্ধৃতি। ছোটো এক চিরকুট। ‘বন্ধু অনুরোধ গ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা। আমাদের একটা ছোটো ক্লাব আছে ভ্যান গগকে নিয়ে, এসব সে ক্লাবেরই সুভেনির। আপনাকে পাঠালাম। ভালোবাসা।’ আশ্চর্য হয়ে গেলো সীতা, ফ্রেন্ড লিস্টের সবাইকেই তো এমন উপহার পাঠানো সম্ভব না। ছোটো এক প্রাপ্তি স্বীকারোক্তি গেলো সীতার পক্ষ থেকে, ইনবক্সে কেন না ছেলেটির কোনো ঠিকানা নেই কোথাও, থাকলে হয়ত দু একটা ভালো বই পাঠানো যেতো। কিন্তু ভ্যান গগ ছাড়া আর কি ভালো লাগে তার সে কথা জানার উপায় নেই। একদিন অনেক রাতে বৃষ্টি পড়ছিলো যেন শহর ফাটিয়ে ফেলবে আর সে রাতেই ইনবক্সে একটা বার্তা: ‘আপনার কি মনে হয় পল গঁগ্যা যদি বন্ধুকে তাহিতি দ্বীপের সঙ্গী করতেন তাহলে ভ্যান গগ বেঁচে যেতেন?’, প্রশ্নের পর একটা স্মাইলি। এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কোনো রসদ সীতার ছিলো না। কয়েকদিন আন্তর্জাল ঘাটলো। তারপর জানালো: ‘আমার তা মনে হয় না।’ এবার কেন মনে হয় না এ প্রশ্ন প্রতিপ্রশ্নে দুটি প্রাণ নিজেদের মধ্যে আটকে গেলো যেভাবে ভিনদেশী খামের গায়ে লেগে থাকে দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট। সীতার জানবার আগ্রহ আর ছেলেটির জানাবার। ছেলেটি একদিন জানায়, বিজ্ঞান পড়বার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না, চিত্রকলার পাঠ নিতে চেয়েছিলো কিন্তু পরিবারের চাপেই পড়াশোনার মোড় ঘুরে গেলো৷ এবার একটা প্রতিকৃতি এলো। শামসের আঁকা, সীতার। সাদামাটা একটা মুখ, চোখ দুটি বাঙ্ময়, সহস্র শতাব্দীর প্রশ্ন সে চোখে। সীতা সাড়ে ষোলতে প্রথমবারের মতো প্রেমে পড়লো কিন্তু কথাটি বলবার ভাষা সে জানে না। উচ্চ মাধ্যমিকের তারিখ এগিয়ে আসে আর তার মন পড়ে থাকে স্টারি নাইটসে৷ ভাবে, সত্যি একদিন কুরোশাওয়া যেমন দেখিয়েছিলেন গগের ছবির মধ্যে একটা মানুষকে চলাফেরা করতে তেমনি স্টারি নাইটসের উজ্জ্বল মহাশূন্যে যদি থেকে যাওয়া যেতো! নির্বাচনী পরীক্ষায় বাংলা ইংরেজিতে কলেজ হায়েস্ট কিন্তু বাদবাকি সব কটার অবস্থা যাচ্ছেতাই। শিক্ষকরা ভালোবাসেন তাকে, তার নিয়মিত উপস্থিতি আর অন্যান্য কাজের জন্য। ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প থেকে সবর্ত্র সীতা বিরাজমান যেন ম্যাজিক! তাদের কলেজ স্কুল এন্ড কলেজ একসাথে৷ স্কুলের বাচ্চা বাচ্চা মেয়েগুলো পর্যন্ত সীতাদি বলতে অজ্ঞান। কলেজ থেকে তাকে বলা হলো, পরীক্ষায় বসতে, সীতাসহ আরো কয়েকটা ছেলেমেয়ের স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা করতে চাইলেন শিক্ষকেরা। সে রাজি হলো না, পরের বছর আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। শামসও অনেক বুঝিয়েছিলো এমনকি না বোঝা বিষয় বোঝানোর পরামর্শও দিয়েছিলো। কিন্তু সীতা নিজের ভেতর বদল টের পাচ্ছিলো, এসব নিরেট অর্থহীন পড়াশোনার চেয়ে শিল্পের জগত তাকে টানছিলো। এরমধ্যে একদিন উডি এলেনের ‘মিডনাইট ইন প্যারিস’ দেখে স্তম্ভিত হয়ে কয়েকদিন ফোন বন্ধ করে বসে রইলো। রাতে ঘুমের মধ্যেই দেখতে পেলো রবীন্দ্রনাথকে, যুবক রবীন্দ্রনাথ। খোলা গায়ে সর্ষের তেল মাখছেন আচ্ছা করে, আস্তে আস্তে ভোর হচ্ছে, তিনি একটা ডাম্বেল নিয়ে ওঠবস করছেন নানারকম কসরত করছেন। এমন একটা স্বপ্ন তাকে চমকে দিলো। আরেকদিন দেখলো, ঐতিহাসিক সে দৃশ্য হুবহু। ঠাকুরঝি রেললাইন ধরে যাচ্ছে কলস নিয়ে। এভাবে শামস মমীন, শিল্প তাকে বিধ্বস্ত করে রাখলো কয়েকটা মাস৷ কোচিং এর টিউটোরিয়ালের স্যারেদের সাথে, মা বাবার সাথে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিলো। ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে সে নয়তো সিনেমা দেখে কিন্তু পড়ার কথা বললেই চিৎকার করে পাড়া মাথায় করে। সামাজিক কাজগুলোতেও তাকে আর দেখা যাচ্ছিলো না। ঘরে থেকে থেকে তার ওজন বাড়লো, চোখের নিচে কালি পড়লো। নিজের তৈরি দুনিয়াতে ঢুকে দরজা জানালা বন্ধ করে দিলো সীতা, কেবল শামস আছে আর শিল্পজগতের মানুষেরা আছেন৷ একদিন আসতে চাইলো শামস তার শহরে। এলো-ও৷ নিজেই স্টেশনে গিয়ে নিয়ে এলো তাকে। বাসায় নেয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি আজো। একটা রেস্টুরেন্টে বসলো তারা। সীতা নিজের হাতে পায়েস করে নিয়ে গেলো। কেবিনে তার আঙুলগুলি নিয়ে খেলা করছিলো শামস। অসহ্য এক আনন্দ হচ্ছিলো, অন্য রকমের আনন্দ। বেশ কিছু সময় কেটে গেলো। ঝির ঝির বৃষ্টি শুরু হলো তারপর। দু একবার চুমু খাওয়ার চেষ্টা পর্দা সরিয়ে বারবার অর্ডার নিতে আসায় বিঘ্নিত হচ্ছিলো। মৃদু হেসে বার বার পাশ কাটাচ্ছিলো সীতা। বলছিলো, এখনো সে প্রস্তুত নয়। এক পর্যায়ে তরুণ প্রেমিক বলে বসলো, ‘তোমার এখানে পরিচিত ফাঁকা ঘর নেই? একটু আড্ডা দিলাম আর কি’, খোলা মনেই প্রেমিকা দুজন বান্ধবীর বাসায় ফোন করে, দুজনেই বাসায় অতিথি আছে জানায়। এমনকি পার্টি কমরেড শর্মিষ্ঠা দি একা ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন, তাঁকেও ফোন করে বসলো, তিনি শহরের বাইরে ছিলেন। শহর জুড়ে ঘুরলো ওরা রিক্সা করে, হুড নামিয়ে কখনো তুলে কখনো৷ কোমরে ও অন্যত্র শামসের হাতটি অনুভব করলো বেশ কয়েকবার৷ বিকেলের বাসে ফিরলো শামস৷ চুমুর ফাইনাল চেষ্টাটিও তার বৃথা গেলো।
তারপরেই ভ্যান গগের হলুদ থেকে সীতার জীবন ধূসর হয়ে পড়লো।
***
সুধন্য আজ বেশ ভালো এক কাজ পেয়েছে। কবিতা সম্পাদনা। প্রকাশক পান চিবোতে চিবোতে বলছিলেন, ‘ইতারা অইলদে মুরগি লেখক, বুইজ্জো না ওয়া?’ প্রশ্নসূচক চোখে তাকিয়েছিলো সে। ‘কবিতার বই ইগিন অইলদে উজ্ঞা উজ্ঞা গিরিল, মুরগির ফোদদি শিক গলাইয়েরে গিরিল বানাদ্দে হোটেলত, ন দেখ?’ ( কবিতা বইগুলো হচ্ছে একটা একটা গ্রিল, মুরগির পশ্চাদ্দেশে শিক ঢুকিয়ে গ্রিল বানায় হোটেলে, দেখোনি?) ‘আঁরাও হেইল্লা ইতারার পিছন্দি শিক গলাইয়েরে গিরিল বানাইউম। হবিতা ইগিন ব্যাক হাডি সমান গরি ফালো।’ (আমরাও তেমনি ওদের পেছনে শিক গুঁজে গ্রিল বানাবো। কবিতাগুলো সব কেটে সমান করে ফেলো।)
বিকেল ঘনিয়ে এসেছে। অলিউর নাজিম কবিতা লিখেছে: ‘একটা শীতের রাতে তোমার পেটে ঢুকিয়ে দিলাম চাঁদ, এই কি অপরাধ?/নদীশাসন, নদীর উপর বাঁধ, দাঁড়িয়ে আছি সামনে খাদ’, মৃদু হেসে সুধন্য ভাবে নাজিম মিল দিতে গিয়ে যে শব্দ বাদ দিয়েছে তা ভদ্রসমাজে উচ্চার্য নয়৷ মুরগির গ্রিল আস্তে আস্তে তৈরি হতে থাকে। গ্রিল দুদিন পর গরম গরম খদ্দের এসে নিয়ে যাবে৷ বাংলা কবিতার ভোক্তারা পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে খাবে, ফেসবুক পেজের বুস্টিং আর হাজার হাজার অলীক লাইকের জোরে সাম্প্রতিক কবিতার পাঠক বিভ্রান্ত হয়ে যাবে৷ পেইড রিভিউয়ার তো আছেই। বেনামে টাকা বেশি। ‘আকাশেতে উড়ে যায় চিল, আমার খুব ভালো লাগে তোমার মুখের তিল/আমাদের হবে কি গো মনের মিল’, অকারণেই কোয়ান্তিন তারান্তিনোকে মনে পড়লো, ‘কিল বিল’ সিনেমাটা, প্রতিশোধের ধ্রুপদী আখ্যান৷ সুধন্য আরেক লাইন যোগ করলো, ‘,দেখছি ঘরে বসে আমি কিল বিল, মনের মধ্যে ঘোর লাগাচ্ছে তোমার নাভীর শঙখচিল’, অকস্মাৎ পূর্বার সাথে কাটানো দুপুরগুলি মনে পড়লো৷ তার হাত থেকে খসে পড়লো কলম। সে দু’হাতে মুখ চেপে নিজের সর্বস্বব্যাপী ক্রন্দন সামলাবার চেষ্টা করলো।
কবি,কথাসাহিত্যিক