Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

বিশ্ব বই দিবসের ইতিহাস

Reading Time: 2 minutes

আজ ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস। ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো। তবে এই বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দিনটিও লকডাউনে আবদ্ধ। দিবসটি উপলক্ষে সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিক কোন আয়োজনও নেই।

বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের আরেক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন তার ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস স্পেনে পালন করা শুরু করেন বিশ্ব বই দিবস। এরপর দাবি ওঠে প্রতিবছরই দিবসটি পালন করার। অবশ্য সে দাবি তখন নজরে আসেনি কারোই। বহুদিন অপেক্ষা করতে হয় দিনটি বাস্তবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য।

অবশেষে ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং পালন করতে শুরু করে। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ২৩ এপ্রিল শুধুমাত্র বিশ্ব বই দিবসই নয়, শেক্সপিয়র, সত্যজিৎ রায়, ইনকা গার্সিলাসো ডে লা ভেগাসহ প্রমুখ খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের জন্ম ও প্রয়ান দিবসও। আর এ কারণেও ২৩ এপ্রিলকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।

মনিষীদের মতে নীচের দশটি কারণে প্রতিটি মানুষেরই নিয়মিত বই পড়া দরকার-

১) মানসিক উদ্দীপনা বাড়াতে-স্থবির মনের উদ্দীপনা বাড়াতে বইয়ের চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারেনা।

২) স্ট্রেস কমানো- খুবই মানসিক চিন্তায় আছেন। সুন্দর একটি বই পড়া শুরু করুন। দেখবেন অবসাদ কমে যাচ্ছে।

৩)জ্ঞান বাড়াতে- কথা একটাই বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার।

৪) শব্দভান্ডার বিস্তার- একমাত্র বই পড়ার মাধ্যমেই আপনি নতুন শব্দভাণ্ডারে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।

৫)স্মৃতি উন্নয়ন-বই আপনার স্মরণশক্তি বাড়াতে দারুন এক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৬) বিশ্লেষণাত্মক চিন্তার দক্ষতা- বই পড়ার মাধ্যমে আপনার যেকোনো একটা বিষয়ে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অথবা দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৭)চিন্তার উৎকর্ষতা – শুধু যে আপনি ভালো বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জন করবেন তা না। ভালো বই পাঠ চিন্তার উৎকর্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৮)ভাল লেখার ক্ষমতা- বই পড়লে শুদ্ধ করে, সুন্দর শব্দ চয়নে লিখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৯)প্রশান্তি- মানসিক প্রশান্তি বাড়াতে বই এর চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারেনা।

১০) বিনোদন-নির্জনতায় নিজের মতো করে শব্দহীন বিনোদন চান। নিজের মাঝে নির্মল পরিবেশের সুন্দর একটি আবহ তৈরী করতে চান। তবে বই, বই আর বই।

আজ বিশ্ব বই দিবসে লেখক, পাঠক, মুদ্রাকর, ছাপাকর্মী, বইয়ের বিপণনকারী এক কথায় বইয়ের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে বিশ্ববই দিবসের শুভেচ্ছা। বই পড়ি, জীবন গড়ি।

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>