আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিটবিবাহ মানব সমাজের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান। যুগে যুগে প্রতিষ্ঠানটি এর আদি রূপ থেকে বর্তমান কাঠামোয় উপনীত হয়েছে। বিবাহপ্রথাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে প্রধানত ধর্ম। বিয়েসংক্রান্ত সকল নিয়মকানুন বিধিবদ্ধ হয়েছে ধর্মীয় অনুশাসনে। প্রাচীনকাল থেকে বাংলায় ধর্মীয় শাস্ত্রের বিধানই ছিল সামাজিক আইন, ধর্মীয় আইনের দ্বারাই শাসিত হতো সমাজ-সংসার। ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনের পাশাপাশি লোকজ সংস্কৃতিও বৈবাহিক জীবনকে প্রভাবিত করেছে নানাভাবে। মনুস্মৃতি এবং অর্থশাস্ত্রে আট প্রকারের হিন্দু-বিবাহ পদ্ধতির উল্লেখ আছে। ‘ব্রাহ্ম’, ‘দৈব’, ‘আর্য’, ‘প্রজাপত্য’, ‘অসুর’, ‘রাক্ষস’, ‘পৈশাচ’ ও ‘গান্ধর্ব’ এই আট ধরনের বিবাহের মধ্যে ব্রাহ্ম বিবাহই শুধু গ্রহণযোগ্য ছিল। দায়ভাগ গ্রন্থে জীমূতবাহন উল্লেখ করেছেন যে, ব্রাহ্ম, দৈব, আর্য, প্রজাপত্য এবং গান্ধর্ব বিবাহ অনিন্দনীয়। ধর্মশাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী নিজ বর্ণের মধ্যে বিবাহ ছিল সাধারণ নিয়ম। সবর্ণে বিবাহ উৎকৃষ্ট হলেও মনু ব্রাহ্মণ পুরুষকে নিজ বর্ণ ছাড়া নিম্নতর তিন বর্ণে বিবাহের অধিকার দিয়েছিলেন। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে, যেমন চন্ডীমঙ্গলে, মুসলমানদের নিকা বিবাহের কথা বলা হয়েছে। উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, এমনকি বিশ শতকেও মুসলমানদের মধ্যে বহুবিবাহ ব্যাপক হারে প্রচলিত ছিল। উচ্চশ্রেণীর অবস্থাপন্ন মুসলমানদের একাধিক স্ত্রী থাকত। বিশ শতকের শুরুতে কুলীনদের বাইরে হিন্দু সমাজে বহুবিবাহ তেমন প্রচলিত ছিল না। বিয়ের এমন অনেক জানা অজানা বিষয়ে আলো ফেলেছেন ড. রোহিণী ধর্মপাল তাঁর এই ধারাবাহিক ‘নারী-পুরুষের মিলন কাহিনী’-তে। আজ থাকছে নারী-পুরুষের মিলন কাহিনীর ২৮পর্ব।
নারী পুরুষের মিলন মানে তো শুধু বিবাহ বা একসঙ্গে হওয়া নয়; মিলন মানে তারপরেও। প্রকৃতপক্ষে বিয়ের পরেও, বা অন্যভাবে মিলনের বা একসঙ্গে থাকার পরেও নারী পুরুষের যে সম্পর্ক, তাই দিয়েই স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাদের মিলনটি প্রকৃত কিনা। অনেক সময় কুড়ি বছর তিরিশ বছর এমনকী আজীবন পাশাপাশি থেকেও সেই তীব্রতা, গভীরতা তৈরি হয় না, যা হয়ত সামান্য কিছু দিনের মেলামেশাতে অনুভূত হয়। তাই মিলন কথাটি সহজ নয়। একে শুধু শরীরে বা শুধু মনে বা সময়ের ডোরে বাঁধলে চলবে না।
পঞ্চ পাণ্ডবের, দুর্যোধন ও তার নিরানব্বই ও এক বোনের জন্ম হয়ে গেল। দ্রৌপদীর স্বয়ংবরের কথাও হয়েছে। কিন্তু বাকি রয়ে গেছে পাণ্ডবদের যে ভাইটির বিয়ে সবার আগে হয়েছিল, হ্যাঁ, বড়দা যুধিষ্ঠিরেরও আগে, সেই কথাটি বলা।
ভীম আর হিড়িম্বার বিয়ে। এক ক্ষত্রিয় রাজকুমার আর বনেচর রাক্ষস জাতির কন্যার প্রেমের গল্প। মেয়েদের ভালোবাসা, যতোই বলুন, একটু অদ্ভুত। প্রায় কিছুই না পেয়েও ভালোবাসাকেই ভালোবাসে আর সারাটা জীবন তাই নিয়েই কাটিয়ে দেয়। অনেকে বলেন পুরুষ ভালো বেসে বিপ্লব ঘটিয়ে দেয়। মেয়েরা পারে না তা। ভালোবাসার জন্য, নিঃশেষে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য শক্তি লাগে না বলছেন? মেয়েরা তো নিজেকেও ভুলে যায়! প্রেমাস্পদের চাওয়াই তখন তার চাওয়া হয়ে যায়। নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ বড় কঠিন, মেয়েরা তা সহজেই পারত। এতোই সহজে, যা তা নিয়ে বলার মতো কিছু আছে, এমন কথাই মনে আসত না। এখন আসে, একটু আসা দরকার বোধহয়। এমন দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ভালোবাসা বড় যন্ত্রণা দেয়। কিন্তু আমাদের হিড়িম্বার এমনটাই হয়েছিল। মধ্যম পাণ্ডবকে দেখে।
বারাণাবতে জতুগৃহ ধ্বংস করে কুন্তীকে নিয়ে পঞ্চ পাণ্ডব পালাচ্ছেন। বিদুর তো আগেই সব অনুমান করে যুধিষ্ঠিরকে বলেই রেখেছিলেন পালানোর ব্যবস্থা করে রাখতে। কিন্তু ভেবে রাখা এক, আর পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া আরেক। ভীম ছাড়া সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লেন, কুন্তী তো বটেই। ভীম তখন প্রথমে মাকে পিঠে তুলে নিলেন, তারপরে বাকিদেরও। সারাদিন এইভাবে পথ চলে সন্ধ্যার সময় এক ঘোর জঙ্গলের সামনে উপস্থিত হলেন। তেষ্টায় তখন কুন্তীর ভেতর পর্যন্ত শুকিয়ে এসেছে, অন্যের অবস্থাও তথৈবচ।
একটা বিরাট বটগাছের তলায় সবাইকে বসিয়ে ভীম গেলেন জল আনতে। বেশ কিছুটা সময় পরে জল এনে ভীম দেখলেন সকলেই ঘুমিয়ে কাদা একেবারে। তিনি ওখানে বসেই মনে মনে গজরাতে লাগলেন, ধৃতরাষ্ট্র আর দুর্যোধনকে কষে গালি দিতে লাগলেন!
এখন ওই ঘোর জঙ্গলে থাকত দুই রাক্ষস ভাই-বোন।হিড়িম্ব আর হিড়িম্বা। সেই রাক্ষুসে নাকে তো মানুষের মাংসের গন্ধ গেল আর নোলাটি সকসক করে উঠল। ভাই বোনকে বললে, “যা ওদের মেরে নিয়ে আয়। আহা! কতদিন পর মানুষের নরম মাংস খাব! গরম আর ফেনা ভকভকে রক্ত খাব আরাম করে”! হিড়িম্বাও মহানন্দে লাফিয়ে লাফিয়ে চলল আর ভীমকে দেখে তৎক্ষণাৎ প্রেমে পড়ে গেল!
মেয়েরাও ছেলেদের শরীর দেখে বইকী! কে বলেছে শরীর ভোগ করা ছেলেদের একচেটিয়া অধিকার??? হিড়িম্বা দেখল, শালগাছের মত দীর্ঘ একটি পুরুষ শরীর, সিংহের মত কাঁধ, শঙ্খের মত গলা, পদ্মের মত চোখ, দেখেই বোঝা যায় দারুণ বলিষ্ঠ; একে তো মারা যাবে না! মেরে খেয়ে নিলে ক্ষণিকের মজা কিন্তু একে বিয়ে করলে তা বহু দিনের আনন্দ!
এই সব ভেবে হিড়িম্বা বেশ সাজুগুজু করে ভীমের কাছে গিয়ে সব কথা বলে বলল, আপনি আমার সঙ্গে, আমাকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে চলুন। কেউ আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না!
ভীম তো রেগে গেলেন, “সেকী কথা! আমি মা আর ভাইদের ছেড়ে যাব! মাথা খারাপ নাকি তোমার! কে আসবে আসুক! আমি বুঝে নেব আর তার জন্য ওদের ঘুম ভাঙানোরও দরকার নেই”!
এদিকে হিড়িম্বর তো আর তর সইছে না। বোনটা গেছে তো গেছেই! সে হুড়মুড়িয়ে গন্ধ অনুসরণ করে আসতে আরম্ভ করল! দূর থেকে ভাইকে দেখে হিড়িম্বা দেখল প্রেম তো এবার ভাইয়ের পেটে যায় যায়! সে তাড়াতাড়ি বলল, “শিগগির করুন। আপনারা সবাই আমার নিতম্বদেশে চাপুন। আমি আপনাদের উড়িয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাব”! ভীম বললেন, “দেখো আমার হাতির শুঁড়ের মত হাত, গদার মত উরু আর বিশাল চওড়া বুক! আমার কিস্যু হবে না। মাভৈঃ”!
এই সংলাপ কানে গেল হিড়িম্বের। সে বোনের ওপর মহা ক্ষেপে গেলো! কোথায় পাঠালাম মারতে, আর তুই ব্যাটা সেজেগুজে ভেক ধরে প্রেম করছিস!!! বোনকে গালি দিতে দিতে সে বলল, দাঁড়া, তোদের সবকটাকেই নিকেশ করছি।
ভীম তখন এগিয়ে এলেন। “আমার সামনে তুই স্ত্রীহত্যা করবি? আর আমাকে দেখে ভালো লেগেছে, এই অপরাধে? আয়, তোকে যমালয়ে পাঠাই।” এইবার শুরু হল তুমুল কলরবে ঘোর যুদ্ধ। সেই শব্দে তো সব ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসলেন। অর্জুন বললেন, “মেজদা, আর একটু পরেই সূর্য্য উঠবে। প্রাতঃসন্ধ্যার কালে রাক্ষসদের শক্তি বাড়ে। তুমি একে তাড়াতাড়ি শেষ করো। নাকি আমি হাত লাগাব”?
অর্জুনের কথা শুনে ভীম ভীষণ বেগে মাথার উপর রাক্ষসকে তুলে শাঁই শাঁই করে ঘোরাতে ঘোরাতে মাটিতে আছড়ে মেরে ফেলল। সব শান্ত হলে তাঁরা আবার যাত্রা শুরু করলেন। হিড়িম্বাও পেছন পেছন হাঁটতে থাকল।
ভীম পেছন ফিরে হিড়িম্বাকে আসতে দেখে বললেন, দাঁড়া, তোকে বিশ্বাস নেই। তোকেও ভাইয়ের কাছে পাঠাই। যুধিষ্ঠির আটকালেন ভাইকে। তখন হিড়িম্বা কুন্তীকে বলেই ফেললেন, “আপনার এই ছেলেটিকে যে বড্ড ভালো বেসে ফেলেছি যে! আপনি আপনার এই ছেলের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করে দিন! আপনি বললেই ভীম আমার পাণিগ্রহণ করবে। আমিও আপনাদের আপদেবিপদে সব রকমে সাহায্য করব। আমাকে এটুকু দয়া করুন”!
যুধিষ্ঠির কুন্তীর হয়ে উত্তর দিলেন, “বেশ। তোমার অবস্থা বেশ বুঝতে পারছি । কিন্তু তুমি সারাদিন ভীমকে নিয়ে যেখানে খুশি থাকো, রাতের বেলায় আমাদের কাছে এনে দিও। তাহলেই হবে”।
কেউ কিন্তু বলল না যে বড়ভাইয়ের বিয়ে হয় নি, মেজ’র কি করে হবে!!!
ভীম বললেন, “যদ্দিন না তোমার সন্তান হবে, তদ্দিনই থাকব তোমার সঙ্গে। তারপরে নয়”।
সব শর্তে রাজি হল হিড়িম্বা। ভীমকে সে সত্যি ভালো বেসেছিল। সে রোজ নিয়ে যেত দয়িতকে, ঘুরে বেড়াত মনোরম সব স্থানে, ভীমকে সবরকমে আনন্দ দিতো। এইভাবে সে একদিন এক পুত্র প্রসব করল, যার নাম হিড়িম্বা রাখল হল ঘটোৎকচ। মা নাম রাখলেন কিন্তু, খেয়াল করুন।
যাক্, এই আরেকটি ব্যাপারেও কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র- গান্ধারী পিছিয়ে গেলেন! নাতিনাতনীর ক্ষেত্রেও কুন্তীই জিতলেন!
ঘটোৎকচ কিন্তু পঞ্চ পাণ্ডবের জ্যেষ্ঠ পুত্র, দুর্যোধনদের ধরলেও তাই। বাকিদের তখনও বিয়েই হয় নি। পঞ্চ পাণ্ডব এইবার একচক্রা গ্রামে যাবেন। সেখান থেকে যাবেন দ্রৌপদীর স্বয়ংবর সভায়। সেই কথা তো আগেই হয়ে গেছে। তাই পাণ্ডবদের সেই উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে আমরা মহাভারতের দুটি উপকাহিনীতে যাই। দুষ্মন্ত-শকুন্তলা এবং নল-দময়ন্তীর কাহিনী।
এর মধ্যে প্রথমটিকে তো কালিদাস অমর করে গেছেন অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ এর মাধ্যমে। কিন্তু এই অভিজ্ঞান শব্দটিই প্রমাণ করে মহাভারতের কাল থেকে কালিদাসের কালে মেয়েদের অবস্থানের পার্থক্য। মহাভারতের শকুন্তলা আর কালিদাসের শকুন্তলা, দুই সময়ে একই চরিত্র নির্মাণের মধ্যে, ঘটনাপরম্পরার বিন্যাসে অনেকটাই পার্থক্য এসেছে, তবে স্বভাবতই গল্পের মূল কাঠামো এক। এখানে কেন্দ্র হল গন্ধর্ব বিবাহ বা একেবারে আদি অকৃত্রিম love marriage ।
কালিদাসের শকুন্তলা শুরু থেকেই খানিক অবলা, সে অনসূয়া আর প্রিয়ম্বদা নামে দুই সখী পরিবৃতা হয়েই থাকে। আর একটা মৌমাছির বা ভোমরার ডানার আওয়াজেই মুছ্ছা যায়! মানে একেবারে “আলাতুলি দুগ্গা” এটি এক বাংলাদেশি মহিলার থেকে শোনা শব্দবন্ধ, যাকে বলে “ননীর পুতুল”, ফুলের ঘায়ে মুছ্ছা যায় যে! আর মহাভারতের শকুন্তলা একাই দুষ্মন্তের মুখোমুখি হয়, মাঝে কোনো সখীর প্রয়োজন হয় না। আশ্রমের অতিথি এসেছেন, আশ্রমের প্রধান অনুপস্থিত, সুতরাং শকুন্তলাই অতিথি আপ্যায়ন করবেন, এই অতি স্বাভাবিক বিষয়।
এই দুই সখীর মতন আরেকটি চরিত্র, যেটি আদি গল্পে নেই, কালিদাসীয় সৃষ্টিতে আছে, যাকে দিয়ে দুষ্মন্তকে, নাগরিক সভ্যতাকে কষাঘাত করা হয়েছে, তার কয়েকটি সংলাপ শোনাতে বড্ড লোভ হচ্ছে। চরিত্রটি বিদূষকের। বিদূষক মানে এমনিতে ভাঁড়, হীরক রাজার বিদূষকটিকে মনে করুন, রাজার প্রতিটা কথায় সমর্থনের ফোড়ন কাটা, গোলাপ শোঁকা সর্বদা পাশে থাকা তোষামুদে মানুষটি! সংস্কৃত সাহিত্যে কিন্তু বিদূষক মজার আড়ালে কখনো বন্ধু, কখনো মূর্তিমান বিবেক।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ এর বিদূষক রাজার শকুন্তলার প্রতি প্রেমের কথা শুনেই বলছেন, “খেজুর খেয়ে মুখে অরুচি হয়েছে, তাই তেঁতুল খেতে সাধ গিয়েছে”!
দুষ্মন্ত যখন বলছেন, “আমাকে দেখে ভালো লেগেছে ওর, হেসেওছেন; কিন্তু সংযত থেকে”। তখন বিদূষক পরিষ্কার বললেন, “আপনি কি ভেবেছিলেন? দেখামাত্র আপনার কোলে উঠে বসবেন”?
এবং পরে দুষ্মন্তের বাকি কথাগুলো শুনতে শুনতে বলেই ফেললেন, “আপনি তো দেখছি তপোবনকে উপবন বানিয়ে ফেললেন একেবারে”!
পরের যে চরিত্রটি মহাভারতে নেই অথচ কবি কালিদাসের লেখার মূল চরিত্র, যদিও তাঁর উপস্থিতি অতিথি অভিনেতার মতো এবং আক্ষরিক অর্থেই অতিথি রূপে, যাঁর অভিশাপ আর অভিশাপ থেকে মুক্তির উপায় রূপেই অভিজ্ঞানের কথাটি তৈরি হল, সেই দুর্বাসার কথা বলছি। আজ্ঞে হ্যাঁ। মহাভারতে অন্ততপক্ষে শকুন্তলা দুষ্মন্তের মধ্যে দুর্বাসা আসেন নি। কোনো অভিশাপটাপও দেন নি। দুষ্মন্তের কোনো আংটিও শকুন্তলার কাছে ছিল না, ফলে তা হারানোরও প্রশ্নই ওঠে না!
দুষ্মন্ত সোজা শকুন্তলাকে ভোগ করে, রাজধানীতে ফিরে গিয়ে সব কিছু স্রেফ মাথা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যস। চিরকালের গল্প। কিন্তু না। চিরকালের গল্প বললে পুরোটা বলা হবে না। তার জন্য মহাভারতের শকুন্তলার কাছে দুষ্মন্ত কিভাবে এলেন এবং শকুন্তলা কি করলেন, তা জানতেই হবে।
অধ্যাপিকা, শিক্ষা বিজ্ঞান বিভাগ, রামকৃষ্ণ সারদা মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন ।
প্রাচীন ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে আগ্রহী, লেখালেখি করার বদভ্যাস আছে। পৌরোহিত্য করেন, মূলত পুরোনতুন বৈদিক পদ্ধতিতে বিবাহ দেন এবং রবিগান কঠোপনিষদ ও ঋক্ মন্ত্রসহ অন্যরকমভাবে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
Related