| 19 মার্চ 2024
Categories
জীবন যাপন

করোনার আবহে কিভাবে ব্যবহার করব ফ্রিজ

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

গোটা বিশ্ব বর্তমানে আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। সর্বত্র চোখে মুখে মানুষের মুখে ভয়াবহতার চিহ্ন স্পষ্ট। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে চলছে লকডাউন। তবে যে অজানা এক আতঙ্ক মানুষের অন্তরে বাসা বেধে বসেছে, তার থেকে পরিত্রাণ কবে পাবে মানুষ সেটাই এখন প্রশ্নচিহ্ন সকলের কাছে।

তবে বৈজ্ঞানিক দিক দিয়ে ধরতে গেলে মানুষের হাতে আসছে করোনা সম্পর্কিয় বিভিন্ন তথ্য।
জানা গিয়েছে, ঠান্ডা জায়গায় থাকে করোনা ভাইরাস। এমনকী ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে আরাম বোধ করে এই ভাইরাসটি। তাই বলা যায় আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এই ভাইরাসটি সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হল ফ্রিজ। যেখানে সে (করোনা ভাইরাস) খুব সুন্দরভাবে আধিপত্য বিস্তার বহাল তবিয়তে থাকতে পারে।

বর্তমান সময়ে লকডাউনের জেরে ঘরবন্দি মানুষ। তাই যখনই বাজার দোকান খোলা পাচ্ছে, বেশি করে এনে সেই ফ্রিজ নামক জায়গাটিতে রেখে দিচ্ছে।

যেমন মাছ, মাংস, সবজি ইত্যাদি। আর এখানে আসছে আসল বিপদ। আপনার অজান্তেই এই সমস্ত সামগ্রীর মাধ্যমে ভাইরাসটি বাহিত হয়ে ফ্রিজে ঢুকে পড়ছে। তার পর সেখানে ১৪ দিন আরামে বেঁচে থাকছে। অন্য কোনও কিছুতে ভাইরাসটি এত বেশি সময় বেঁচে থাকে না। আর আমরা মানে আতঙ্কিত মানুষগুলি যখনই ফ্রিজ থেকে বের করে জিনিসগুলো খাচ্ছে তখনই আক্রান্ত হচ্ছে।

তাই ফ্রিজ বিপদজনক! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ফ্রিজকে প্রয়োজনের তালিকা থেকে বের করাই মুশকিল।

তাহলে কি করব আমরা। ফ্রিজকে কি বাদ দেব আমাদের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসের তালিকা থেকে! তাহলে এখন উপায়!!!!

করোনার আবহে কিভাবে ব্যবহার করব ফ্রিজ, আসুন জেনে নিই:

১) সারাদিনে আমরা কতবার ফ্রিজ খোলা আর বন্ধ করি, তা আমাদের নিজেদেরও জানা নেই। তবে এবার সাবধনতা সেখান থেকেই শুরু করতে হবে। ফ্রিজ খোলার সময় নাক-মুখ দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে মাক্স পরতে হবে।

২। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা ডাক্তাররা আগেই বলেছিলেন। এবার সেই বিধিনিষেধ মানতে হবে ফ্রিজের বেলাতেও।যতবার ফ্রিজে হাত দেবেন ততবার অন্য কিছু ধরার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩। ফ্রিজের মধ্যে রাখা জিনিস, যেমন রান্না করা খাবার ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রার উপরে ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।

৪। অনেকের স্বভাব আছে ফ্রিজ থেকে বের করেই কাঁচা জিনিস খেয়ে নেওয়ার। যেমন শশা, গাজর, ফল,কাঁচা মরিচ, আইসক্রিম।  একদম না!  ফ্রিজ থেকে বের করেই কাঁচা কোনও জিনিস খাওয়া যাবে না।

৫। মাছ-মাংস, সবজি, রান্না করা খাবার আলাদাভাবে রাখতে হবে।

৬। ডিম আপাতত ফ্রিজে না রাখাই ভালো।

৭। আর সব থেকে জরুরি বিষয়, সপ্তাহে অন্তত এক বার গরম জল দিয়ে ফ্রিজ সম্পূর্ণ পরিস্কার করতে হবে।

সবসময় মনে রাখতে হবে করোনার হাত থেকে বাঁচতে প্রধান হল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। তাহলে আমি সুস্থ থাকব, পরিবারকেও সুস্থ রাখব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত