Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

মিতুর সকাল সন্ধ্যা

Reading Time: 5 minutes

 

চৈত্রের মাঝামাঝি শনিবারের এক সাদামাটা দিন। রাতভর ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার পর চরাচর এখন নদী থেকে উঠে আসা শান্ত-সিগ্ধ অপরূপ এক গ্রাম্য ললনার মতো, যার বুক ঢাকে তো পিঠ উদাম হয়ে যায়, আর পিঠ ঢাকে তো বুক চড়াই-উৎড়াই দেখায়।
শনিবার হওয়ায় রাস্তাঘাট- মাঠ অনেকটাই সুনসান। গাড়ি-ঘোড়ার দাবড়ানি নেই,যানজট নেই; বিকট শব্দে ধেয়ে আসা লরির কচকচানিও নেই। আর থাকেই বা কী করে? অফিস-আদালত বাড়ি গেছে। বাড়ি যায়নি স্কুল-কলেজ আর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। শিক্ষা আর মানবসেবার ব্রত নিয়ে তপস্বীর ন্যায় যেন দিনমান ধ্যানমগ্নরত আছে।
মিতু আজ প্ল্যান করে রেখেছে , আজ সে বেরুবেই। কী ধকলটাই না গেছে পুরো মাস জুড়ে তার ওপর দিয়ে। দম ফেলানোরও ফুরসত পায়নি! শুক্রবারে তো এমনিতেই পায় না। ছেলে-মেয়ে দুটোকে নিয়ে কালচারাল অ্যাক্টিভিটিসে যায়। যে দিনকাল পড়েছে আজকাল! কালচারাল অ্যাক্টিভিটিসে না গেলে কী হয়? শেষ-মেশ, দেখা গেল, জঙ্গিবাদ এসে দোরগোড়ায়,‘জেহাদ, জেহাদ, জেহাদ চাই, জেহাদ করে বাঁচতে চাই’ অবিরাম শোনাতে শোনাতে নীরবে সদস্য কপ্ট করে ফেলেছে।
বাসায়ও কাজ জমে আছে এন্তার। এমনিতে তো প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় উঠে ঘরদোর সামলিয়ে রান্না-বান্নার এন্তেজাম করে বুয়াকে ঘুম থেকে তুলতো মিতু। এখন এই বুয়াকে নিয়ে হয়েছে এক যন্ত্রণা। আগে রাতে-বিরাতে ঘুম ভাঙ্গতো ,তারপর রাত চারটার পর তো জিকির- আজকার শুরু হয়ে যেতো। আর এখন ঘুম ভাঙ্গতে ভাঙ্গতেই ভোর ছয়টা- সাড়ে ছয়টা। নামাজই নেই, আর জিকির!
বড়োমেয়ে রুচিরা থাকলে তো কথাই ছিল না। ভাইবোন দুটোকে মোটামুটি দাঁড় করিয়ে বুয়াকে দিয়ে স্টপেজে পাঠিয়ে তারপর মাকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত করতো ,‘ মা , বুয়া আইছে , তারা গাড়িত উটি ( উঠে) গেছে।’
কত যে বললাম , সাস্টে পড়। না , তিনি সাস্টে পড়বেন না । ঢাকায় পড়বেন। ঢাকায় পড়বি , তো পড়। হলে তো থাকবি। না , তিনি হলেও থাকবেন না। হলে রেস্ট্রিকশন। বাইরে থাকবেন। বাইরে হেব্বি মজা! বাান্ধবীদের সঙ্গে রাত-বিরাতে ঘরেবাইরে আড্ডা মেরে টাইম পাস করা ছাড়াও উপরি পাওনা হিসেবে ঘোরাঘুরিও করা যায়।
মিতু ফ্রিজ, মশারি আর ওয়াশরুম নিয়ে দুপুর বারোটা- সাড়ে বারোটা পর্যন্ত নিজেকে আজ ব্যস্ত রাখবে। তারপর, গোসল-টোসল করে সাফ-সুতরো হয়ে বন্দর- জিন্দাবাজারে কাজ সেরে যদি হাতে সময় থাকে, তাহলে মায়ের বাসায়ও ঢু মারার প্ল্যান করে রেখেছে।
ফ্রিজ ধোয়া-মোছা করার জন্যে সরলাকে খবর দেয়া হয়েছে। সরলা এই এলো বলে মনে হচ্ছে। বাইরে কার কথা যেন শোনা যাচ্ছে। একা একা নিজের সঙ্গে নিজের কথোপকথন করার অভ্যেস এই সরলার ।
সরলা এলে ফ্রিজ ধোয়া-মোছা করে ফ্যানেও হাত দিতে বলবে মিতু। মাস চারেক পেরুতে না পেরুতেই ফ্যানে ধুলোর আস্তরণ জমে গেছে।
রাতে নিজে মশারি ভিজিয়েছে। তাতেই কেল্লাফতে! এক বালতি ময়লা জমা হয়ে আছে তলানিতে! বেলি এলে কষে এক ধমক লাগাতে হবে। তিন কাজের বুয়া। কাজ তিনটিও ঠিকমতো করে না। ঘর মুচতে আবার শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে একদিন পর পর ঘর মুছে। একটু বেখেয়াল হলেই সোমবার মুছে তো বুধ , বৃহস্পতি পার করে শুক্রবারে আবার হাত লাগায়। ফাঁকিজুকিতে মনে হয় বিশেষ ট্রেনিং নিয়ে এসেছে বুয়া ট্রেনিং সেন্টার থেকে! মিতু আগে রাগ করে দু-চারটি কথা বলতো, এখন আর তেমন বলে না। বুয়াদের যুগ এসে গেছে। বেশি কথা বললে যদি কাজ ফেলে চলে যায় , তাহলে তো বিপদ। ঘরদোর সামলাবে কে? এমনিতে একদিন বলেছে ,‘ কাজ যদি ফেলাই যাই , ঠেকবা তুমি , আমি না। আমার কাজের অভাব নাই। তুমার পাশের বাড়ির মোল্লা বেটার বউয়ে ডেলি ডেলি নয়মণ ঘি মাঞ্জে আমার পাছায়। আমি রা করি না। চুতমারানির পুয়া মোল্লা বেজায় খাচ্চর। দুধ-বুনি হাতাইবার চায়।’
মিতু চুপ করে শুনেছে। এমনিতে মিতু জাদরেল টাইপ্ড মহিলা না। তবে ,ক্ষেপে গেলে খবর আছে। জাদরেল-জবরদস্ত হলো রুচিরার বাবা ইমরোজ। মিতু কীভাবে যেন এই জবরদস্ত পুরষকে নিজ জিম্মায় নিয়ে এসেছে। এখন মিতু পানি উচ্চারণ করলে ইমরোজ উচ্চারণ করে পানি , দুধ উচ্চারণ করলে ইমরোজ পারে তো বুয়াকে দিয়ে দুধ আনতে পাঠায়।
ইমরোজ ঘুমাচ্ছে। ঘুমাক।
দিন তিনেক আগে কেবল ওয়েসিস থেকে ফিরল। হঠাৎ ডায়রিয়ায় বেচারা কাহিল হয়ে পড়েছিল। শেষ-মেশ, ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ঝড়-বৃষ্টির রাতে হাসপাতালে পাঠিয়ে তবেই জীবন রক্ষা পেয়েছে।
মিতু হারপিক-সেভলন আর ন্যাকড়া একটি নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো। দিন সাতেক পরিষ্কার না করায় ময়লা হয়ে আছে ওয়াশরুম। ওয়াশরুম নিয়ে তার আবার শুচিবায়ুগ্রস্ততা আছে। সবকিছু পরিষ্কার না হলেও চলে,কিন্তু,ওয়াশরুম ঝকঝকে-তকতকে হতেই হবে। না হলে কী গোসল-টোসল সারা যাবে? মিতু ঘণ্টা খানেক ধরে দুই ওয়াশরুম পরিষ্কার-টরিষ্কার করে সাফ-সুতরো হয়ে বেরুলো।
আজ তার শাশুড়ি মায়ের মৃত্যুবাষিকী। দিন দ্রুত গড়ায়। গড়িয়ে গড়িয়ে রাতের আঁধারে নিজেকে হারায়। তারপর ভোর হয়। এভাবে দিন-মাস-বছর যায়।
মৃত্যুবার্ষিকীতে তাদের কোন আয়োজন নেই। তবে কিছুদিন হয় ইমরোজ তাঁর মায়ের নামে ‘আজিজুনন্নেসা লস্কর শিক্ষাবৃত্তি’ এ ধরণের কিছু একটা করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগামীতে হয়ত মায়ের মৃত্যুর দিনে কিছু একটা করা যাবে।
মিতু বেরিয়ে গেল।
সময় মেইনটেইন করা যায় না। বের হওয়ার কথা ছিল বারোটা-সাড়ে বারোটার দিকে,আর এখন দেড়টার সেকেন্ডের কাটা সময়ের হার্টবিট গুণতে গুণতে সুদূর অসীমের পাণে অবিরাম চলছে তো চলছেই।
আজ সবকিছুতে লেট।
কোর্টপয়েন্টের মাইকগুলো জ্বালাময়ী ভাষণের যন্ত্রণায় থরথর করে কেঁপে নিজের অস্তিত্ব বিলীন করতে অপেক্ষার প্রহর গুণছে। জিন্দাবাজার-বন্দরের রাস্তাগুলো যানজটের চাপে তারস্বরে হল্লা করে তীব্র প্রতিবাদের ভাষা বেছে নিয়েছে।
সিএনজি নিয়ে টিলাগড়-শাহীইদগাহ রোড ধরে কুমারপাড়া হয়ে উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ক্রস করে চৌহাট্টা পয়েন্টে এসে ভাড়া চুকাতে না চুকাতেই মোবাইলের তীব্র ভাইব্রেশনে ভ্যানিটিব্যাগ কেঁপে উঠলে ফোন ধরে মিতু । ইমরোজের ফোন।
ইমরোজ শুয়ে শুয়ে সিগারেটের নিকোটিন গলাধ:করণ করতে করতে মিতুকে শুধায় ,‘ আরে আন্নে কোনাই?
ইমরোজের এই এক মুদ্রাদোষ। মন বেশ ভালো থাকলে তাঁর শৈশবের হাউজটিউটরের দেশের ভাষায় কথা বলে নিজেকে জানান দেয়; প্রকাশ করে। শৈশবে সে তাঁর হাউজটিউটরের মাতৃভাষা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করেছিল।
-হ্যালো। জিন্দাবাজার। জিন্দাবাজার। আইচ্ছা হুনো , তুমি কিতা গুম(ঘুম) তাকি উটি গেছোনি?
-গুম তাকি না উটলে তুমার লগে বাদচিত অয় কিলা ( হচ্ছে কীভাবে)?
-অয়, কথা তো ঠিক। আইচ্ছা হুনো, আমার একটু দেরি অইবো। মাজনপট্টিত (মহাজনপট্টি) যেইতাম। স্কুলোর কাম আছে। তুমি খাইলে খাইলিও। বেলিরে (বেলিকে) কইয়ো ,বেলিয়ে দিবো।
কী কুলক্ষণেই না প্রাইমারির হেডমাস্টার হিসেবে যোগদান করেছিল , মিতু ! এখন সকাল-সন্ধ্যা সমান হয়ে গেছে। বাড়ি-স্কুল-মিটিং আর টিইও অফিসে দৌড়ঝাপ করতে করতে সময় অতিক্রানÍ হয়ে যায়। তার ওপর টিইওর যন্ত্রণা! এটিওরাও কম যান না! আর একেকজন তো ঘুষ-দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন! বদলি হতে টাকা ,ইনক্রিমেন্টে টাকা , ফরোয়ার্ডিংয়ে টাকা , মাতৃত্বকালীন ছুটিতেও টাকা। টাকা ,টাকা আর টাকা। সবকিছুতে টাকা! ভালো মানুষ যে নেই, তা নয়। আছে। তবে , মহাসাগরে তা কয়েকফোঁটা বিন্দুর মতো! দুদক যে কী করে ? এদের ধরে ধরে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে তো লেটা চুকে যায়। কেস-টেস পরবর্তী ধাপ। আপিল-হাইকোর্ট করতে করতে বছর বিশেক পার করে দিলেই তো কেল্লাফতে!
মিতু ফোন রেখে দিল।
রিফাত লেডিস টেইলার্সে একবার ঢু মারতে হবে। এত কাপড় সেলাই করেছে! তাও সামান্য একটা রিফুর জন্যে টেইলার বেটি ঘোরাচ্ছে! আজ না,কাল। কাল না,পরশু। বদমাশ বেটি। পেট আরেকবার বাধাস। তখন দেখা যাবে , মন্ত্র কে দেয়।
রোদও উঠেছে জবরদস্ত! তাপমাত্রা মনে হয় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। রাস্তার দুধারে প্রচুর ডাব বিক্রি হচ্ছে। লোকে ডাবের পানি চুক চুক করে গলাধ:করণ করছে। রিক্সাওয়ালা দু-চারজন রিক্সার হুড তোলে রিক্সার ভেতরে জিরিয়ে নিচ্ছে।
মিতু ভ্যানিটিব্যাগের চেইন খুলে ফোল্ডিংছাতা মেলে ধরলো। গুগলে ওয়েদার ফোরকাস্ট ৩২ ডিগ্রি দেখাচ্ছে ,তবে বলছে ফিলস লাইক ৩৫ ডিগ্রি। ঠান্ডা পানীয় কিছু একটা পান করতে হবে। তারপর, আলহামরা ,শুকরিয়া ,হাসান মার্কেট পর্ব সমাপ্ত করে হিরা অ্যান্ড কোম্পানিতে ঢু মেরে মহাজনপট্টি যেতে হবে।
স্কুলের জন্যে ১০ঃ৬ মাপের জাতীয় পতাকা কেনা জরুরি হয়ে পড়েছে। লিস্ট অনুযায়ী আরও কিছু দ্রব্য ক্রয় করতে হবে।
রিফাত লেডিস টেইলার্সে ঢু মারতেই, আপা, আস সালামু আলাইকুম। আপা বসেন । এই জরিনা, আপার লাগি ঠান্ডা কিছু একটা লইয়া আয়। বলে টেইলার বেটি গল্প শুরু করলো। মিনিট পাঁচেক রাজ্যির কথা বলে আসল কথায় এলো।‘ আপা , খবর তো বালা নায়। আমি সময় করি আফনার লগে দেখা করমু। আর এই লইন আফনার চুড়িদার। আমি সুন্দর করি দিছি। একটু দেরি অইছে , আপা। মাইন্ড করবা না , আপা ।
বল তো এখন মিতুর কোর্টে। মিতুর ভাই ডাক্তার হলেও নিজস্ব ক্লিনিক রয়েছে। টেইলার বেটি কত ধানে কত চাল এখন তুমি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করবে।
মিতু ভ্যানিটিব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে ডাটা অন করে ফেসবুকে ঢুকলো।
দিনটা পুরো কাজে লাগাতে হবে। কত কষ্ট করে মিথ্যে বলে একদিনের ক্যাজুয়েল লিভ নিয়েছে। নিয়ম হচ্ছে আজ অন ডিউটিতে থাকবে সে। স্কুলের জন্যে জরুরি ভিক্তিতে কিছু আইটেম খরিদ করতে হবে। তাও অন ডিউটি হয়নি। শেষ-মেশ, মিথ্যে বলেছে। ছুটি নিয়েছে।
রিফাত টেইলার্সে বসে শাশুড়ি মায়ের ফটো একটা আপলোড করে ‘শ্রদ্ধা’ স্টেটাস লিখে শিক্ষকদের ইনবক্সে ঢু মারলো মিতু। সকলেই অফ। শুধু তরুণ ছোঁড়াটা সক্রিয় রয়েছ্। দ্রুত মিনি রুটিন বের করে চোখ বুলাতেই কাঙ্খিত জায়গায় চোখ আটকে গেল, ক্লাস বাদ দিয়ে ছোঁড়াটা ফেসবুকিং করছে।
মিতু ফোন ঘোরালো।
-আজগর , তুমি কী করছো?
-ক্লাস নিচ্ছি।
-ক্লাসে সক্রিয় ,ফেসবুকেও সক্রিয়। একসঙ্গে দুই নৌকা কীভাবে চালাইতেছো ?
আজগর কথা বলল না। ফোন অফ করে দিল। ছোঁড়াটা একটা বেয়াদব। কোন কথাই শোনে না। তর্ক করে। স্কুলে পৌঁছতে মিনিট ত্রিশেক দেরি হলে এটিওকে ফোন করে; লাগায়। স্কুলে নিজের ইচ্ছায় আসে,ফের নিজের ইচ্ছায় যায়। খুঁটির জোরে ছোঁড়াটা লাফায়। বাবা হেডমাস্টার,শিক্ষক নেতা। পোষ্য কোটার এই এক বারতা।
শ-দুশোগজ হেঁটে শুকরিয়ার মহিলাঙ্গনের সম্মুখে আসতেই স্ক্রিনে ইমরোজ নামটি ভেসে উঠলো। ইমরোজের ফোন। মিতু রিসিভ করল।
-হ্যালো।
-তুমি কুনআনো?
-শুকরিয়াত।
-ডাকাত (ঢাকায়) আগুন লাগছে। খবর লইছনোনি ?ভয়াবহ আগুন চকবাজারো লাগছে।
-রুচিরারে ফোন দিছোনি?
-তাইরে ফোনো পাইরাম না ( পাচ্ছি না)।
-আরেকবার দেও। খবর লও।
-কই উত্তরা , আর কই ডাকা?
-তারপরও ,খবর লও।
রুচিরাকে ফোনে পাওয়া গেল না। সঙ্গে তার বান্ধবীকেও। দুজনেরই ফোন বন্ধ। দু:খিত কাঙ্খিত নম্বরটিতে এই মুহূর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরি…। বার বার গ্রামীণ ফোন তার রেকর্ডকৃত একই বক্তব্য বার বার প্রচার করে যাচ্ছে।
মিতুর আতঙ্ক বাড়ল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা মালিবাগ থেকে পুরনো ঢাকার চকবাজারে যাওয়ার কথা না থাকলেও নিয়তি অনেক সময় ভিকটিমকে অবচেতন মনে তার কাঙ্খিত গন্তব্যে নিয়ে যায়।
মিতু বাড়ির পথ ধরলো।
শনিবারের বিকেল আজ থমকে গেছে। মিনিট-সেকেন্ডের কাটা যেন সময় নির্ণয় না করে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সময়কে থমকে দিয়েছে।

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>