| 4 অক্টোবর 2024
Categories
ধারাবাহিক সাহিত্য

ইরাবতীর কথা (পর্ব-৯)

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

নারীর নিজের মুক্তির জন্য, নিজের স্বাধীনতার জন্য নিজের উপর নিজেকে আস্থা রাখতে হবে, লড়াইটা নিজেকেই করতে হবে। নারীবাদ বলি কী নারী স্বাধীনতা বা নারী মুক্তি- অর্জন না করলে পাওয়া যাবে না। নরওয়ে নারী-পুরুষের সমতার জন্য একটি পারফেক্ট দেশ বলা চলে। তারপরও এই দেশেও তেমন নারীর সাক্ষাৎ মেলে যে নিজে ডাক্তার হয়েও ডাক্তার স্বামীর ভয়ে তটস্ত থাকে।স্বামী শুধু স্যান্ডউইচ দিয়ে লাঞ্চ করতে চায় না বলে স্ত্রীকে সাথে স্যুপও বানাতে হয়। আর এই স্যুপ বানানোটা ভালোবেসে বানানো না রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে বানানো। এর জন্য নিজের অফিসিয়াল কাজ শেষ কোথাও বসে দু’দণ্ড জিরায় না, পাছে বাসার কাজে দেরী হয়ে যায়। অথচ নরওয়ের সমাজে স্বামী-স্ত্রী সপ্তাহের দিনগুলো ভাগাভাগি করে রান্নাসহ ঘরের যাবতীয় কাজ করার নিয়ম। দেখা যাচ্ছে, আইন থাকলেও সব নারী তা যথাযথ নিতে পারছে না। এমন শিক্ষিত নারীকে কে নারী-স্বাধীনতা এনে দেবে বা তার কাছে নারী স্বাধীনতা বা নারীমুক্তির সংজ্ঞা কী কে জানে! ’ইরাবতীর কথা’ ধারাবাহিকে ইরাবতীকে নারীর অনেক না বলতে পারা কথায় ও রূপে সাজিয়েছেন বিতস্তা ঘোষাল আজ থাকছে ইরাবতীর কথা ধারাবাহিকটির ৯ম পর্ব।


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

প্রান্তির এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা চলছে। একের পর এক অনুষ্ঠান, রিহার্সাল, মডেলিং, নাচ, পড়াশোনা। বাড়ি থেকে রোজ সকাল আটটায় বেরিয়ে যাচ্ছে, সব কিছু সেরে ফিরতে ফিরতে রাত নটা-দশটা। ক’দিন আগেও ইরাবতী মেয়ের জন্য চিন্তা করত, স্কুল থেকে ফিরতে দেরি হলে ড্রাইভারকে ফোন করে খবর নিত। কিন্তু এই কদিনে সে বুঝে গেছে প্রান্তি বড় হয়ে গেছে। এখন তার নিজস্ব একটা জগত গড়ে উঠেছে। বারবার সেখানে প্রশ্ন করা উচিত নয়। তাছাড়া প্রতিটা মানুষের নিজস্ব স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন। তবেই সে নিজে থেকেই বুঝে নিতে পারবে বাইরের পৃথিবীতে সে কতটা লড়াই করতে পারবে।

ছোটোবেলায় ইরাবতী জানলায় বসে বাইরের বাগানটা দেখত। সেখানে একটা কাক তার সদ্য জন্মানো বাচ্চাকে মুখে করে খাবার এনে খাওয়াতো। তারপর ধীরে ধীরে সেই বাচ্চাটার চোখ ফুটলো। মা কাক তখনো তার দেখভাল করে, বাচ্চা অল্প অল্প উড়তে শিখল,দূর থেকে মা দেখত তাকে, পাহারায় রাখত যাতে পড়ে না যায়।  একদিন সেই বাচ্চা শক্ত ডানায় ভর দিয়ে অনেক উঁচু ডালে গিয়ে বসল, সেখান থেকে এ ডাল, ও ডাল, তারপর আকাশে উড়ে বেরাতে লাগল। মা কাক ঘাড় ঘুরিয়ে তাকে দেখে নিশ্চিন্তে একটা ডালের উপর বসল। নিজেকে ইরাবতীর এখন সেই কাকটার মতো মনে হয়। প্রান্তিকে এতদূর হাত ধরে হাঁটতে শেখানো পর্যন্ত তার দায়িত্ব ছিল। এখন বাকি পথটা নিজের মতোই হাঁটুক।

তবু মনের ভিতর অজানা একটা চিন্তা থেকেই যায়। বেদভ্যাস যেমন বলে, তোকে নিয়ে আমার চিন্তা এ জীবনে কেন পরের জীবনেও ঘুচবে না।

বাবা তুমি পরের জীবনেও আমাকে চিনতে পারবে? আমারই বাবা হবে? ইরাবতী তাকে জড়িয়ে ধরে বলে।

বেদভ্যাস হাসে। জানিস তো মানুষের সন্তান প্রেম অন্ধ। ধৃতরাষ্ট্রকে দেখলি না, পিতার অন্ধ স্নেহে পুরো বংশটাই কেমন ধ্বংস হয়ে গেল।

ইরাবতীর খুব ইচ্ছে হলো বলতে, বাবা সত্যি কী তাই? নাকি অন্ধ চরিত্র বানানো হয়েছিল যাতে করে দুনিয়ার সবকিছুর থেকে তিনি মুখ ঘুরিয়ে নেন প্রতিবাদ হিসেবে! সর্ব শক্তিশালী হয়েও তাকে যে রাজা করা হল না, এটা তারই নীরব প্রতিবাদ। কিন্তু সে কিছু না বলে চুপ করে বাবার গায়ের গন্ধ শুঁকতে লাগল। বেদভ্যাসের গা দিয়ে সিগারেট, ধূপ, চন্দন সব মিলিয়ে একটা কী দারুন গন্ধ। এ গন্ধ সে আজ অবধি এত বছরের জীবনেও পায়নি। অধিকাংশ পুরুষের গায়ে পারফিউমের তীব্র গন্ধ, কিংবা ঘামের।

বিয়ের আগে দু-একবার ঐহিকের গায়ে একটা বিশেষ গন্ধ পেত, সেই গন্ধটা তাকে টেনে রাখত অনেকক্ষণ। পরে বুঝেছে সেটা বিশেষ ব্রান্ডের আফটারশেভের গন্ধ। । কিন্তু জীবন তো শুধু গন্ধের নয়, তাতে আরো অনেক কিছুর মেল বন্ধন ঘটে।  

 আজও কোথাও সেই গন্ধ নাকে এলে চোখ খোঁজে তার উৎস। কিন্তু সেসব গন্ধের সঙ্গে বেদভ্যাসের গায়ের গন্ধের কোনো তুলনা হয় না। এ এক স্বর্গীয় অনুভব। ভাবতে ভাবতেই সে ঘড়ির দিকে তাকালো। প্রায় সাড়ে দশটা। এত দেরি হচ্ছে কেন? ভেবে ফোন করল। রিং হচ্ছে।

 মা আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠছি। রাখো।

যাক, এসে গেছে ভেবে দরজা খুলে দাঁড়ালো।

সিঁড়ি দিয়ে ঘরে ঢুকতে ঢুকতেই প্রান্তি বলল, মা খুব খিদে পেয়েছে। শিগগিরি খেতে দাও ।

হাত মুখ টা ধুয়ে টেবিলে বোস, দিচ্ছি, বলে ইরাবতী ভাত, ডাল, ডিমের ঝোল মাইক্রোওভানে গরম করতে বসিয়ে দুটো থালা বাটি টেবিলে রাখল।

মা, তুমি কখন ফিরলে? বাথরুম থেকেই চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল প্রান্তি।

অনেকক্ষণ।

ওহো, এতক্ষণ একা থাকতে হল তোমাকে ।সরি মা, আমি উবের পাচ্ছিলাম না বলে দেরি হয়ে গেল।তুমি রাগ করোনিতো! 

ইরাবতী কোনো উত্তর দিল না।কীই বা বলবে সে! রাস্তা ঘাটে কখন কী হয় তা কী আগে থেকে বলা যায়! সে খালি বলল, একটু চিন্তা হচ্ছিল, একটা ফোন করে দিলে ভালো করতে।

মা, তোমাকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু লাইন বিজি বলছিল।তারপর ভাবলাম, তুমি ব্যাক করবে।

বাবান, তোমার কোনো ফোন আসেনি।থাক, এসব কথা, এসে গেছ, ব্যাস, এবার খেতে এসো।আমারও খিদে পেয়েছে ।

প্রান্তি ভিজে হাতেই টেবিলের সামনে এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল মাকে। ওমা রাগ করেছ? আমি ইচ্ছে করে দেরি করিনি।

আচ্ছ , বেশ, এবার ছাড়ো, খেতে বোসো।

প্রান্তি আরো কয়েক মুহূর্ত জড়িয়ে থাকলো ইরাবতীকে। বুকের মধ্যে হাত দিল।তারপর বলল, বলতো মা, আমি কে? নিজেই উত্তর দিল, আমি পরী।গত জন্ম স্বর্গে পারিজাত ফুল ছিঁড়ে ফেলেছিলাম, তাই আমাকে মানুষ হয়ে জন্ম নিতে হয়েছে ।

তা ফুলটা ছিঁড়তে কে বলেছিল শুনি? 

ইরাবতীর প্রশ্নে চুপ করে গেল প্রান্তি। মা এটা ঠিক নয়।তুমি একবারও আমাকে বলোনি কে আমাকে ফুল ছিঁড়তে বলেছিল, আর আমি কেনই বা তার কথা শুনে ফুল তুললাম? 

বা রে ! সব আমি বলে দেব? ইরাবতী হেসে উঠলো। আর না ছিঁড়লে কী তুই আমার মেয়ে হতিস! ভাগ্যিস ছিঁড়লি, তাই তো একটা পরী পেলাম আমি।

মা তুমি মজা করছ, তাই না? 

মজা করব কেন? সত্যি বলছি। নে এবার খা তো! অনেক হল, খিদেয় তো মুখ শুকিয়ে গেছে দেখছি ।

প্রান্তি খেতে খেতে বলল, জানো আজ পুলিসের সঙ্গে ঝগড়া করেছি, আর কো-প্যাসেঞ্জারের সঙ্গেও ।

কেন? 

আরে উবের ড্রাইভার মা ব্রিজের উপর ওঠার মুখে ট্রাক চেঞ্জ করেছে, তো পুলিস ধরল ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙেছে বলে।ড্রাইভার বলছে, সে ভাঙেনি।এই নিয়ে তার সঙ্গে ঝামেলা। এদিকে আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি তখন নেমে বললাম, দেখুন আপনার যদি ফাইন করার থাকে করে দিন।অযথা হ্যারাস করবেন না, আমাকে অনেকদূর যেতে হবে।

তা সে বলে কিনা আপনার তাড়া থাকলে অন্য গাড়ি ঢেকে নিন।আমার মাথা গেল গরম হয়ে।একে তো এটাই পেলাম প্রায় তিরিশ মিনিট অপেক্ষার পর।আবার বলে অন্য গাড়ি ঢেকে নিন! 

তা কী বললি? 

বললাম, আপনি যে সত্যি ট্রাফিক গার্ড তার প্রমাণ কী! রাতের বেলা ইচ্ছাকৃত ভাবে টাকা খাবার জন্য বিরক্ত করছেন।এক্ষুনি ছেড়ে দিন, নইলে ডিসিকে এখনি ফোন করে আপনার নামে কমপ্লেন করব।

তুই ডিসি সাউথকে জানিস? 

নাতো! কিন্তু যেই বললাম, সে প্রথমে বলল, যাকে খুশি বলুন, গাড়ি ছাড়ব না।

আমিও তখন মোবাইল বের করে যেই ডায়াল করতে গেলাম, তখনি সে ছেড়ে দিল।

কাকে ফোন করছিলি? 

বাবাকে।

বাবাকে কেন? 

বারে, বাবা এত ক্ষমতাবান ব্যক্তি, তাকে বলব না! 

বাবান, বহুবার বলেছি তোমাকে, অযথা বাবাকে ফোন করবে না।আর এই সব বিষয়ে তো নয়ই।

মা, সবেতেই তোমার বাড়াবাড়ি।তিনি তো সত্যিই… 

বাবান চুপ করে খেয়ে নাও।

প্রান্তি একটু চুপ করল। তারপরেই বলে উঠলো , মা পরীর উপর রাগ করতে নেই।আমি শাপমুক্ত হয়ে গেলেই ফিরে যাব, তখন তোমাকে একাই থাকতে হবে।

ইরাবতী হেসে ফেলল।এই পরীর গল্পটা সেই একদিন শুনিয়েছিল। প্রান্তি রোজ স্কুলে যাবার সময়, কিংবা বিকালে খেলতে যাওয়ার সময় জামা জুতো পরেই জানতে চাইতো, মা আমাকে কেমন দেখাচ্ছে? 

মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে ইরাবতী বলত, পুরো একটা পরীর মতো।

পরীরা তো স্বর্গে থাকে, আমি কী করে তাহলে তোমার কাছে এলাম? 

প্রান্তির প্রশ্নে ইরাবতী বলত, সে অনেক কাল আগের কথা ।শোন তবে।একটা পরী ছিল, সে একবার দুষ্টুমি করে পারিজাত ফুল গাছ থেকে তুলে ফেলল।ফুল তো তুলতে নেই।গাছের কষ্ট হয়। তাই গাছ কাঁদতে লাগলো। তখন ভগবান বলল, পরী তোমাকে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। তুমি মানুষ হয়ে পৃথিবীতে জন্মাবে।তুই তো তখন খুব চিন্তায় পড়ে গেলি।পৃথিবীতে মানুষ হয়ে জন্মানো কী এত সোজা! 

এদিকে তখন আমি আর তোর বাবা ভাবছি আমাদের একটা পরী থাকলে কী মজা হত।ব্যাস, যেই ভেবেছি, অমনি তুই ঝাঁপ দিয়ে আমাদের কোলে চলে এলি।

প্রান্তি সেই থেকে ইরাবতী তার উপর রাগ করেছে কোনো কিছুতে বুঝতে পারলেই বলে, মা আমি কে বলতো! আমি পরী।

ইরাবতী খেতে খেতে হেসে উঠলো মেয়ের কথা শুনে।

তা পুলিসের সঙ্গে ঝামেলা নয় বুঝলাম, কিন্তু কো-প্যাসেঞ্জারের সঙ্গে কী হল! 

প্রান্তি নতুন উদ্যমে বলতে শুরু করল, একে তো এই ঝামেলা, তার উপর সে আবার বলে কিনা, এই মেয়েটার জন্যেই ড্রাইভার এখান দিয়ে নিল।

আমার মাথা তো গরমই ছিল, গাড়িতে উঠেই বললাম, এর আগে কোনোদিন বোধহয় উবেরে ওঠেননি।জানেন না, ড্রাইভার সামনে মোবাইলে ওঠা রোড ম্যাপ দেখে গাড়ি চালায়।কারোর নির্দেশে নয়।না জানা থাকলে চুপ করে বসে থাকুন, নইলে বিপদে পড়বেন।

হ্যাঁ রে তুই তো রীতিমত মস্তান হয়ে যাচ্ছিস।এভাবে থ্রেট করছিস, ধমকাচ্ছিস, আমার বেশ ভয় লাগছে তোকে নিয়ে।

মা, ভীতুর মতো কথা তোমার মুখে শোভা পায় না।আমি কোনো থ্রেট করিনি।উনি আমার নামে বলছেন, আমি চুপ করে শুনব? সে বান্দা আমি নই।আর আমাকে নিয়ে কোনো ভয় পাবে না। নিজেকে কিভাবে রক্ষা করতে হয় তা আমি জানি।

কী জানিস শুনি? 

মা, উপস্থিত বুদ্ধি বলে একটা কথা আছে, তুমি নিশ্চয়ই জানো, আমার সেটা প্রবল।আর পৃথিবী কার বশে বলতো! ক্ষমতা আর অর্থের বশে। দাদান বলেছে না, অহেতুক ক্ষমতা যেমন দেখাবে না, তেমনি ফোঁস করতে তো বাঁধা নেই। তুমি তো রামকৃষ্ণের ভক্ত। সেই সাপ আর সন্যাসীর গল্পটা জানো না! ওই যে কথামৃততে আছে- সন্যাসী বলেছিলেন, আত্মরক্ষার জন্য ফোঁস করতে তো মানা নেই।আমিও তো তাই করেছি। অহেতুক আমাকে দোষ দিচ্ছিল।

ইরাবতী প্রান্তির মুখের দিকে তাকিয়ে রইল । মেয়ের মুখ অবিকল ঐহিকের মতো। যদিও বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে তার সাথেও মিল দেখা যাচ্ছে , কিন্তু অনেক স্বভাব হুবহু বাবার মতো। সে বুঝতে পারলো না, বাইরের জগতে তার মতো হওয়া ভালো নাকি ঐহিকের মতো! 

সে শুধু বলল, এত রাত করে আর বাড়ি ফিরো না। চেষ্টা কোরো আটটার মধ্যে সব শেষ করে ঘরে ঢুকতে।

প্রান্তি ভাতের থালা তুলতে তুলতে শুধু ছোট্ট করে একটা ‘হুম’ বলল।

অনেক রাতে প্রান্তি ঘুমিয়ে পরার পর সেই ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে ইরাবতী ফিসফিস করে বলল, 

তুই নিজের শর্তে নিজের মতো করে বাঁচ।আমি তোকে আটকে রাখব না।ছোট্ট এই জীবন। তোর স্বপ্ন আকাশ ছুঁক, তাতে ক্ষতি নেই, কিন্তু পা যেন মাটিতে থাকে। মাটি থেকেই আমাদের জন্ম।সেখানেই কাজ শেষ করে ফিরে যেতে হবে। সেটা সুন্দরভাবে রাখিস।

তারপর মেয়ের কপালে চুমু দিয়ে সে মেয়ের পাশে শুয়ে পড়ল।

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত