মা ও রবীন্দ্রনাথ
বড় তুড়িগ্রাম থেকে শান্তিনিকেতন
খুব কিছু দূরে নয় ব’লে হয়ত,
মা, রবীন্দ্রনাথকে নিজের ভাবতেন
পুতুলবেলা থেকে,
তাঁর সবটা আঁকড়ে ধরে,
রাঢ় বাংলার মেয়ে, কবে যেন
মিশে গেলেন তিস্তা-তোর্সায়,
অদ্ভুত চা-বাগানের ছায়াগাছে।
রবীন্দ্রনাথ নিজেও সেই যে
শান্তিনিকেতন ছেড়ে
মায়ের কাছে চলে এলেন
ফিরলেন না আর কখনই…
নিয়মের কানামাছি খেলার সময়ে,
মায়ের মন খারাপের দিনে,
তিনি মা’কে গান শোনাতেন
বলতেন এই সেই নানা কথা।
বাবা হিংসেয় জ্বলে পুড়ে মরলেও
রবীন্দ্রনাথকে কিছু বলতেন না।
আজকাল শীর্ণ বাহুতে চ্যানেল নিয়ে
মা বিছানায় নির্জন শুয়ে রইলেও,
তিনি ঠিক রয়েছেন মায়ের পাশে
কাঁচের এপাশ থেকে দেখছি
রোদ্দুর ঝলকাচ্ছে তীব্র,
কিন্তু তিনি, রবীন্দ্রনাথ,
জ্বলজ্বলে চোখে চেয়ে রয়েছেন
মায়ের পান্ডুর মুখের দিকে, অন্তহীন প্রতীক্ষায়…

মুজনাইয়ের বালক। পেশায় শিক্ষক। লেখা, ছবি তোলা, বেড়ানোর পাশাপাশি মুজনাই সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা।