২৫শে বৈশাখ কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না রবীন্দ্রভারতীতে
করোনা প্রকোপে এবার ঘরে বসেই রবীন্দ্রপ্রেমীদের সারতে হবে কবিপ্রণাম৷ ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রভারতীতে হচ্ছে না কোনও অনুষ্ঠান৷ ফলে দেখা যাবে না জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির প্রভাতী অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘বিগত বছরগুলো যেভাবে ২৫ শে বৈশাখের অনুষ্ঠান হয়ে এসেছে এবছর সেভাবে অনুষ্ঠানের কোনো অবকাশ নেই। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যে নির্দেশিকা রয়েছে তাকে মান্যতা দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তাই ঠিক হয়েছে কবিগুরুকে শুধুমাত্র মাল্যদান এর মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতেগোনা কয়েকজন আলাদা আলাদা ভাবে এগিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসবেন।’
রবীন্দ্রজয়ন্তী বা পঁচিশে বৈশাখ বাঙালি জাতির একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ২৫ তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্য এবং বাংলাদেশে ও বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলে বিপুল উদ্দীপনার সঙ্গে এই উৎসব পালন করা হয়। বহির্বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের বসবাসকারী বাঙালিরাও এই উৎসব পালন করেন। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব উদযাপনের অঙ্গ হল রবীন্দ্রসংগীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, রবীন্দ্রনাট্যাভিনয়, রবীন্দ্ররচনাপাঠ, আলোচনাসভার আয়োজন ও নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত ভবনগুলিতে এই সময় বিশেষ জনসমাগম দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রজয়ন্তীর প্রধান অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হয় কলকাতায় অবস্থিত কবির জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ও রবীন্দ্রসদন এবং শান্তিনিকেতনে।
কিন্ত এবার করোনা প্রকোপে কলকাতার কোথাও সেভাবে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব হচ্ছে না৷

বিশ্বের সর্বশেষ খবর, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, সাক্ষাৎকার, ভিডিও, অডিও এবং ফিচারের জন্যে ইরাবতী নিউজ ডেস্ক। খেলাধুলা, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সহ নানা বিষয়ে ফিচার ও বিশ্লেষণ।