| 28 মার্চ 2024
Categories
রূপচর্চা

শীতের রুক্ষতায় ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

আপনি কি জানেন, আপনার চুল কী দিয়ে তৈরি? মূলত কেরাটিন নামক একটি প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিডের তন্তু দিয়ে গড়ে ওঠে আমাদের চুল। ঋতু পরিবর্তন, বারবার কেমিক্যাল স্টাইলিং প্রডাক্টের ব্যবহার, হিট ট্রিটমেন্ট, রোদের তাপ, দূষণের মতো প্রতিটি ফ্যাক্টরই চুলের স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। শীতের রুক্ষতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চুলও ক্রমশ রুক্ষ হয়ে পড়ে, মাঝখান থেকে ভাঙতে ও ছিঁড়তেও আরম্ভ করে। এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহে অন্তত একটা দিন বরাদ্দ রাখুন বিশেষ যত্নের জন্য। আমরা এমন কয়েকটি ঘরোয়া প্যাকের সন্ধান দিচ্ছি যার আদরে চুলের স্বাস্থ্য ফিরে যাবে, তা ঝলমল করবে। তবে সেই সঙ্গে প্রচুর জল আর পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শও দেবো। তার কারণ আর্দ্রতার অভাবে চুল রুক্ষ হয়ে পড়লে কিন্তু কোনও প্যাকেই কাজ দেবে না। তা ছাড়া শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করাটাও নিঃসন্দেহে একান্ত জরুরি।

ডিম আর দই: যাঁদের চুল স্বাভাবিক, তাঁরা নিন পুরো ডিম। তেলতেলে হলে বাদ দেবেন কুসুম, রুক্ষ হলে সাদাটা সরিয়ে রাখুন। এর মধ্যে দু’ টেবিলচামচ জল ঝরানো দই মিশিয়ে নিন ভালো করে ফেটিয়ে। তীব্র গন্ধ বেরোবে, তাই এই প্যাকে দু’-এক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলও মিশিয়ে নিতে পারেন। ল্যাভেন্ডার বা রোজ়ের সুগন্ধ ডিমের তীব্র আঁশটেভাব কাটাতে সাহায্য করবে। মাথায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। তার পর শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহার করে ধুয়ে নেবেন। চুলের অবস্থা খুব খারাপ হলে অবশ্য দু’বার লাগানোর কথাও ভাবতে পারেন।

ডিম, তেল মধু: এই প্যাকটি রুক্ষ চুলের জন্য একেবারে আদর্শ। ডিমের কুসুম, মধু, আর দু’ টেবিলচামচ আপনার পছন্দের তেল নিন। আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল বা নারকেলের তেলের মধ্যে যেটিতে আপনি সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ সেটিই নেওয়া ভালো। ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এর মধ্যেও কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন। তার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিতে হবে।

অ্যালো ভেরা, মধু, নারকেল তেল: দু’ টেবিলচামচ ফ্রেশ অ্যালো ভেরা জ্যুস, দু’ টেবিলচামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল আর এক চাচামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তার পর চুলের আগা থেকে গোড়া ভালো করে মাখান। এক ঘণ্টা প্যাকটা চুলে বসতে দিন। তার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন ভালো করে। তিন মিনিট পর কন্ডিশনার ধুয়ে নিন। কন্ডিশনার যেন মাথার তালু পর্যন্ত না পৌঁছয়, সেদিকে লক্ষ রাখবেন।

নারকেল তেল, মধু, লেবুর রস: শীতের দিনে অনেকের স্ক্যাল্পেই প্রচুর খুশকি জন্মায়। চুল নরম রাখার পাশাপাশি তাকে খুশকিমুক্ত রাখতেও সাহায্য করবে এই বিশেষ মাস্কটি। তিনটিকে খুব ভালো করে মিশিয়ে মাথায় লাগান, এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার লাগানো বাধ্যতামূলক।

অ্যাভোকাডো, ডিম, তেল: পাকা অ্যাভোকাডোর শাঁস, ডিমের কুসুম, অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। তার চুলে লাগিয়ে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে থাকুন ঘণ্টাখানেকের জন্য। তার পর আগে চুলটা ভালো করে ধুয়ে নিন – অ্যাভোকাডোর শাঁস চুলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, ছাড়তে সময় লাগবে। তার পর শ্যাম্পু করে নিন।

নারকেলের দুধ: এক কাপ নারকেল কুরে আধ কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন দশ মিনিট। তার পর ব্লেন্ডারে ভালো করে পিষে ছেঁকে নিন। নারকেলের গাঢ় দুধ আর মধু মিশিয়ে চুলে ভালো করে মাখিয়ে নিন। একটা তোয়ালে গরম জলে ভিজিয়ে নিন মাথায় জড়িয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা গরম জলের ভাপ চুলে বসার পর শ্যাম্পু করে নিন।

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত