আজ ১২ মার্চ কবি ও সম্পাদক শৌভিক বণিকের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
গণিকা
অবিরত ভিজে যাওয়া রোদ
অনাবৃত গন্ধে জেগে উঠে কাম ও রস
পতন উন্মুখ শোক
যৌনক্ষয় জুড়ছে
লোহার শরীর
উদর জুড়ে জেগে থাকে
হা-মুখ খিদে
এইসব শরীরে তবু পাপ থাকেনা…
পাপ
অন্ধকার লিখে রাখছে রাতের ভাষা
কোলাহল ঘুমিয়ে পড়েছে
নির্জনতার বুকে
স্ট্রিট-লাইটের ঝাপসা আলোয়
ক্যালেন্ডার শিখে নিচ্ছে সময়-
সূচনা ইতস্তত
রাস্তার পাশে পুরুষ সন্ধানী চোখ
মৃত্যুর মুখোমুখি দৃষ্টি হানছে
বয়ঃসন্ধি
আর
আগুনে হাত রেখে পুড়ে যাচ্ছে
পাপ
মুখোশ
সৃষ্টির পিছনে জমতে থাকা সোপান
আসলে ব্যথার ক্ষরন
হতাশার বয়স বাড়লে
জন্ম নেয় অবিশ্বাস
যদিও অপ্রাসঙ্গিক তবু সঞ্চারিত ধুলো ঝাড়ছে
স্মৃতিকথা, শৈশব…
ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে সততা মুখ লোকাচ্ছে মুখোশে…
শ্যামের বাঁশি উধাও পুনরুত্থান স্বপ্নের ভেতরে
নীরবে বয়:সন্ধি কাল
প্রেম ও চাঁদের অন্তর্ধান দেখে
দেহ অলিন্দে জন্ম নিচ্ছে বিষ
আলো নিভে গেলে
ভিড় জমায় বিস্মৃত বন্দর
অগ্নিকুন্ডে কাছাকাছি জেগে
ধারালো করছি নখ
অথচ
ভিতের উপর দুলছে সন্দেহ
যত্নের পরিচর্যা বলছে না শ্রমবিন্দু
স্বপ্নহীন
জালালায় চাঁদ উঁকি দিলে
এস এম এস কথোপকথন
রাত জাগলে স্বপ্ন পায় না
অবশিষ্ট ভালোবাসা পায়
তোমার আঙুল ছুঁয়ে নিষিদ্ধ হয় রাত
বহুদূর থেকে একটু একটু সরে যায়
আড়াল
বল
কতটা দূরে গেলে ফিরে
আসা
যায়
অভ্যাস
উপেক্ষায় হাত পাকাচ্ছে অভ্যাস
অক্ষিপল্লব থেকে ঝড়ে পড়ছে নুন
অনবরত
বুকের মধ্যে জন্ম দিচ্ছি ঢেউ
শুধু
সমুদ্র হতে পারিনি
প্রলাপ
অনন্ত কুয়াশার ভেতর তুলে রাখি পাপ
আমি এক বিষাদগ্রস্ত বিপন্ন পাগল
রাত্রির স্তন-সিক্ত অপার বিষাদ
নিয়তির সুপারিশে বাড়ালো সে হাত
অন্তিম অতিক্রম প্রলাপ-অঙ্কন
নবজন্ম খুঁজে ফেরে, বাকিটা জীবন
প্রচ্ছদের ছবিটি তুলেছেন কবি সুজিত দাস।