| 30 মার্চ 2024
Categories
খবরিয়া বিনোদন

নক্ষত্রের পতন না ফেরার দেশে তাপস পাল

আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট

অভিনেতা তাপস পাল প্রয়াত। ভোররাতে মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। পরিবারিক সূত্রে খবরে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন এই অভিনেতা। কথা বলা ও চলা-ফেরায় সমস্যা ছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হলেও গতকাল রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।

১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম তাপস পালের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ। কলেজে পড়াকালীন নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের। ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাপস পালকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। ‘সাহেব’ ছবির জন্য পান ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। বাংলার পাশাপাশি তাপস পাল অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘অবোধ’ ছবিতে।



২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। ওই বছর এবং ২০০৬ সালে পরপর দুবার বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন। তুমুল জনপ্রিয়তার জন্য তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন হন। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পরপর দুবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার ছিল ঈর্ষণীয়।

তবে ২০১৬ সালের শেষদিকে রোজ ভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর তিনি জামিন পান। অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তাপস পাল। রাজনীতি থেকেও সন্ন্যাস নিয়েছিলেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজনরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত