আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
হরিণমনা চোখে প্রত্যাশার কাজল
সবকিছু হরিণমনা চোখে দাঁড়াইয়া আছে
যে যার মতো খোলস বদলানো বিলাপ চেপে-
উজবুক উরু জরায়ু ফুঁড়ে দূরে উঁকি দিচ্ছে-
মন্থরতম পৃথিবী,প্রতিদিন;অথচ তোমাকে
লিখতে গিয়ে,এই শহরে রাত নন্দিনী হয়ে ওঠে
শ্রীনাথ নগর-আঙুল খসে মাখে প্রত্যাশার কাজল
মায়া ভরা সারি সারি নাগরিক গাছ,পাখিরা-
উড়ে যাচ্ছে শোকের কফিন ফেলে-আমাদের
বৃত্তকা আঙিনায়,উদাসীন বারান্দা হতে দেখা
যায়-আগুন লাগা পলাশমুখোর বন,সোনালি ধান-
তোমার জরায়ু জঠরে কোলাহল নামতা
গায়ে গায়ে হাড়ের বাঁশি বাজায়-মুখস্থ রাখে
সাস্থ্যবান ঘাস,প্রতিটি অপমৃত্যুর শস্যদানাগীত!
শহরে সেদিন বৃষ্টি ছিল
তোমার মিলনমঙ্গলে…
কবিতা পড়ছিলাম
শহরে সেদিন বৃষ্টি ছিল
ঝুমঝুম শব্দ উৎসব-
বাগান ভরা ফুলমুখ
হেসে হেসে করতালিতে
উড়িয়ে দিচ্ছিল সব
গিটারে বুনে যাচ্ছিল
সুর-মধুভাষা
নদীর মতো বাকপ্রতিমা
শীতল ভেজা গায়ে
আঁকছিল সকল পরমায়ু ;
আমিই,আমার গলা
বাড়িয়ে বলেছিলাম
দিয়াশলাইয়ের কাঠি
তুমি কলম হয়ে যাও!