| 19 এপ্রিল 2024
Categories
কবিতা সাহিত্য

উৎপলকুমার বসুর কবিতা পিয়া মন ভাবে

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

১৯৩৯ সালে ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন উৎপল কুমার বসু। ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’ দিয়ে বাংলা কাব্যজগতে আবির্ভূত তিনি।

বাংলা সাহিত্যে ‘স্থিতাবস্থা’ ভাঙার আওয়াজ তুলে ষাটের দশকের শুরুর দিকে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, সেই হাংরি আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন কবি উৎপল কুমার বসু। রোমান্টিকতার পথ ছেড়ে বস্তুবাদী পর্যবেক্ষণ হয়ে ওঠে তার কবিতার মূল উপজীব্য। স্বতন্ত্র কাব্যভাষা, প্রকাশভঙ্গি ও আঙ্গিকের জন্য পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন উৎপলকুমার বসু।

তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘পুরী সিরিজ’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে।‌ ‘নরখাদক’ প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালে।

‘পিয়া মন ভাবে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ২০১৪ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান উৎপল কুমার বসু। ‘সুখ-দুঃখের সাথী’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ২০০৬ সালে পান আনন্দ পুরস্কার।

‘বক্সিগঞ্জে পদ্মাপাড়ে’, ‘সলমা জরির কাজ’ প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।

১.

খট্টাশ–প্রসূতিপারা, স্ফীতোদর, নৌবাহিনীর নেতা ।
আশ্রয়দাতা তুমি, এই নাবিকশ্রেষ্ঠরে তীরে বেঁধে রাখো
ঊষাপতি অকস্মাৎ মধ্যাহ্নকটালে যেন অস্থির, অনিশ্চয়–
ঢেউ দিগন্তে লাফিয়ে ওঠে–সাতসমুদ্রের লবণসার
লাগে আকাশের গায়–হায়, দাগানো তালিকা এই
কর্মচারীর হাতে, তাই নিয়ে ঘুরি–এত নাম, শতাধিক,
এদের কোথায় সন্ধান পাব? কোন জনপদে? কোন
গোপন কৌশলে এদের দ্বীপান্তরী করা যাবে? জলচর
দেব ও দেবতাগণে মিনতি জানাই, পায়ে পড়ি, এ-যাত্রা
উদ্ধার করো, ঠিক সময়মতোই যেন এদের গ্রেপ্তার করি,
অত্যাচারে দিকভ্রান্ত করে রাখি–যতক্ষণ জলযান অ-প্রস্তুত,
আমাদের তৈরি হতে যতক্ষণ লাগে।

২.

কতদিন লাফিয়ে নামিনি মাঠে। ইদানীং ধরা পড়ে যাই
চিহ্নের বাগানে। কখনো-বা ভণিতাবাজারে।
যে-দেহ ভৌতিক হয় তারও চাই খাদ্য ও ব্যায়াম–
পলায়নপর হতে পারা চাই।
ভাবি, যমুনা-পুলিনে যে বাঁশি বাজলো
সে কি পুলিশের বাঁশি?
ঐ গোঠে জেট-বিমানের ধ্বনি, ঐ বনে পারমাণবিক
কদম্বরেণুর ঘ্রাণ–
তারই মধ্যে বেঁচে থাকা–ন্যায় ও অন্যায় নিয়ে
কথা কাটাকাটি আছে।

৩.

এই তো এসেছি ফিরে গান থেকে, স্বপ্নলোক থেকে–
আপনাদের দোতলা বাড়িটি দ্রুত ভেঙে পড়ছে তারই
সুসংবাদ নিয়ে–ধ্বংসস্তূপের ভিতরে দাঁড়িয়ে আমি
পুরোনো দিনের গান যেসব শুনেছি তার কিছু কি
শোনাতে পারি? ঐখানে বহুতল আবাসন উঠবে
এমনই তো লোকে বলছে–সাঁতারের জল থাকবে,
ফুলের কেয়ারি চাই, ছোটদের দোলনা তো থাকবেই–
শুধু থাকবে না গান আর স্বপ্নলোক আর মানুষের ভুলভ্রান্তি।

৪.

এক নগর দেখেছি আমি–জনপদ, চৈত্য ও বিহার,
দিগন্তের কাছাকাছি–গয়া থেকে বৌদ্ধগয়ার পথে যেতে যেতে,
রৌদ্রে পোড়া যাত্রীদলে আরো অনেকে দেখেছে,
বলেছে স্তম্ভিত হয়ে ‘ঐ সেই পাটলীপুত্র স্থান…’
গাছে গাছে চৌসা আমের ফল বাতাসে প্রকট
আমাদের যাত্রাপথে–গতিময়, ধ্বংসোন্মুখ গ্রীষ্ম-দুপুরের
ঝড় তখনই নামল, নগর-গ্রাম উলটে দেওয়া
কালো ইতিহাস। আমরা মাটিতে শুয়ে আতঙ্কিত,
রূপহীন, ভূতের স্বরূপ।

৫.

অমন শৈশব তুমি আর কি গো পাবে–
ঐ শিশুটির মতো,
মা কখন স্নান সেরে বেরোবে সে-অপেক্ষায়
বাথরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আমিও দাঁড়িয়ে আছি গ্রীষ্মের আগুনে দুপুরে,
টাঙ্গা থেকে নেমে এক গাছের ছায়ায়–
গয়া থেকে বৌদ্ধগয়ার পথে যেতে যেতে।
ঝড় আসছে। দিগন্তে এক মহানগরের
মরীচিকা বাতাসে দুলছে–
ঐ সেই পাটলীপুত্র স্থান, প্রেতভূমি।
দূর থেকে অতীত চিনেছি।

৬.

তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ, আর আমি জেগে আছি।
অথচ দুজনে একই স্বপ্ন দেখেছিলাম।
নিদ্রায়, জাগরণে; দেখেছিলাম
গাছে গাছে মুকুল ধরেছে, শীত শেষ হয়ে এল,
এ-বছর ফলন ভালোই হবে মনে হয়।

৭.

‘বরষাব্যাকুল’ এই শব্দটির আড়ালে আড়ালে
আমি ভ্রাম্যমাণ সারাদিন। ভাবি, সে-ও বনের
ওধারে চলে যেতে পারে সাপুড়ের মতো।
ফণাতোলা রৌদ্রে ও উত্তাপে আমি কম্পমান।
আমার অতটা সাহস নেই। যদি প্রতিটি সমাস
আজ ছেড়ে যায়, যদি তৎপুরুষ শেষকালে চিনেও
না চেনে তবে কার আশ্রয়ে যাব, কোথা গেলে
ঝড় আসবে, বৃষ্টি পাব?

৮.

সরে গেছে নিুচাপ।
ধরে গেছে অকালবর্ষণ।
এই স্রোত বৈতরণী বটে।
নদী পাথরের মতো স্থির–কখনো উত্তাল।
পুবের বাতাস
কথায় কথায় ধানক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ছে।
আনন্দিত মানুষজনের পিঠে ডান দেখা যায়,
তারা পাখি-পতঙ্গের মতো আকাশে উড্ডীন।
ছোটোরা ইস্কুলে যাচ্ছে–বড়োরা ঘরের কাজে।
কেউ কেউ শুধুই বাতাসে ওড়ার সুখে
যত্রতত্র ডানা মেলছে।

৯.

প্রমিতি হে, ফিরে আসি পুরোনো ফটোর পাশে–
আমাকেও নিশ্চয়তা দান করো। ডেকে নাও
শত বছরের অতীত ছবির মধ্যে, বৈঠকখানার
ফরাসের এক কোণে জবুথবু হয়ে বসি, বাবুদের
বাজারেরা ঐ ক-টি ফল গামছায় বাঁধা রইল, দাম
কে দেব জানি না, এই বিচারাধীনের আবার
গারদ হবে, বিদ্যার নামে যত ছলাকলা, ঘৃণায়
শরীর যেন সয়ে যেতে থাকে, দরজায় কঙ্কাল
ঝোলে, প্রজা এই তোর নিশ্চয়তা, তোর বংশের
নির্ভুল প্রমিতি।

১০.

পেরেক ও সুতোয় বাঁধা এই চার দেয়ালের ঘর
আমাদের অস্ত্রের দোকান–
এখানে মাটির নীচে গোলাবারুদের স্তূপ,
কলহের কোপন দেবতা হেথায় আসীন।
এসো একদিন, চা-বিস্কুট খেয়ে যেও,
বৌ-বাচ্চা সঙ্গে এনো, যদি ইচ্ছে হয়,
তোমাদেরই জন্য বন্ধু, এত আয়োজন
এত উপাচার, এত অস্তিত্বসংকট।

১১.

বাল্যে, মাংসের দোকানে, পশু দেহে, শ্বেত ঊর্মিমালাসম
মেদের বিস্তার নিজেই প্রত্যক্ষ করে ভেবেছিলাম প্রাণীরা
তবে কি ভিতরে ভিতরে সমুদ্র বহন করে, ঢেউ তোলে,
ফেনায় উদ্বেল হয়?
যাদুগণিতের বইটি পাশব শোণিত প্লাবিত হতে পারে–
এই ভয়ে জামার আড়ালে তাকে লুকিয়ে রেখেছি,
বজ্রের বেড়া দিয়ে সুরক্ষা দিয়েছি, যেভাবে যত্ন পায়
হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, বৃক্ক ও ধমনী।

১২.

শুধু গাছের আড়ালে এসে
দাই ফসলের গল্প করি–গাছেদের সহিষ্ণুতা আর
স্তব্ধতার কথা মনে পড়ে
পায়ের নীচের তৃণমণ্ডলীর তুচ্ছতাকে ভুলতে পারি না
তারাও স্মরণে আসে–
তুমি পাশ দিয়ে চলে গেলে শাড়ির ঝাপট লাগে
ভেসে-আসা বনগন্ধ যেন আমাকেও ছুঁয়ে দ্যাখে
ঐ গাছ, এই ঘাসজমি বুঝি আজকাল
আমাকে চেনার চেষ্টা করে
কিন্তু, পারবে কি করে?

১৩.

জনগণনারা প্রত্যুষে
শুনি কুয়াশায় গাছে গাছে কোকিল ডাকছে,
হাঁসভর্তি পুকুরের জলে আমাদের ম্নান
আমরা প্রত্যেক নিজেদের চিনি,
শুধু পাড় থেকে পৌরাণিক যাত্রার রাম ও রাবণ
সকলকে দেখছে
তারা এ-গাঁয়ে নতুন–কিছুটা অনিশ্চয়, কিছুটা বার্তাহীন,
হাতে যেন স্বর্গের ফুল ধরে আছে,
ঐভাবে তারা
নিজেদের অমরত্ব ঘোষণা করছে।

১৪.

হ্রদের ওপাড়ে বাড়ি–দ্বিতল কি ত্রিতল,
নতুন তৈরি হল। গৃহস্থরা এখনো আসেনি।
মাঝে মাঝে দু-একজন ঘোরাফেরা করে থাকে,
ছাদেও তাদের দেখি–সম্ভাব্য ক্রেতার দল,
বিক্রেতাদের একজন, সঙ্গে থাকে, প্রায়ান্ধ স্থবির,
ফ্রেম-খোলা জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দ্যাখে–
অন্যকে দেখায়–সবুজ বনের রেখা, রেললাইন
পশ্চিমে বেঁকে গেছে, ঐ মাঠে সূর্য ডোবে, সকালের
আলো বসার ঘরেই আসে, বাথরুমে খানিক,
শীতকালে বারান্দায়–বুড়ো অন্ধ হলেও
সবটা দেখায়, কিছুই ভোলে না, যেন নিজের
বাড়ির কথা বলছে।

১৫.

এ-পুকুরে জল নেই
শুধু আছে সূর্যের কিরণ,
তাই মঠো মুঠো তুলে নিই
ডাল ও ঝোলের মতো খাদ্যের সঙ্গে মাখি–
আমি রৌদ্রমুখ, অনাহারী প্রাণ,
স্বীয় অন্ধকার থেকে গভীর কুণ্ঠায় জেগে উঠি,
পথে পথে পাগলের মতো ঘোরাফেরা করি–
ঐ ঘাটে গিয়ে বসি
যার চতুর্দিকে সূর্যালোক, অনন্ত সকাল।

১৬.

কত না নৈকট্যবোধে দূরত্ব বজায় রাখি, বুঝে দ্যাখো।
মৃত আত্মীয়দের পাশ থেকে অবশ্যই দূরে থাকি, হত
বন্ধুদের মনেও পড়ে না, শিউলি ঝরার আগে
‘কাজ আছে’ এই অজুহাতে স্টেশনে পালিয়ে যাই,
যাত্রীদের কেউ কি আমাকে চেনে, শহরে যাচ্ছে তারা,
কত জন ফিরে এল, একে-তাকে প্রশ্ন করি
ক’টা বাজে ভাই, অথচ সামনেই বড় ঘড়ি, আলোয়
উজ্জ্বল, বহু দিন ঝরনা দেখিনি তাই লেখাপড়া ভুলে গেছি,
সময়ও বুঝি না।

১৭.

কীটদষ্ট হতে চাই। হতে চাই কীটের আহার।
এ-ভাবেই প্রকৃতির–জন্মদাত্রীর ঋণ হয়তো কিছুটা
শোধ হবে।
বেগবান, তুমি কেন অমন হলে হে?
দ্যাখো, চার কাহারের ডুলি সাজানো হয়েছে।
দ্যাখো, অঙ্গন পর্বন হল।

১৮.

চিত্তবিলোপকারী ওষুধ খেয়েছ।
ধীরে ধীরে শুয়ে পড়ো–
বুঝি জায়গাটা ঝেড়ে নিতে হবে
মুছে নিতে হবে প্রয়োজনবোধে,
মাদুর পাতবে–
উল্টো-সোজা দেখে নাও
তারপর ঘুম।
মেঝে ভিজে যাবে ঘামে ও নিদ্রায়।
বুঝে দেখো কেন সে ধাতব ফুল, ফুল নয়।
কেন আমাদের ধানভানা, হয়তো সুখের,
কোনোদিন শুরুই হয় না–
কেন ইচ্ছাপূরণের আগে অনিচ্ছাই জেগে ওঠে,
যেন সমুদ্রেও জং ধরে।

১৯.

প্রতিটি স্বপ্ন ছিল উদ্বেগের, ভয়াবহতার।
গভীর ঘুমের মধ্যে কেটে গেল রাত। বৃষ্টি হয়েছিল।
তবু সে-ঘুম ভাঙেনি।
শুয়ে থাকি। শুয়েই কাটিয়ে দিই ভোরবেলা।
বুঝি দিনের স্বপ্নগুলি অত অর্থহীন না-ও হতে পারে।

২০.

সুন্দর তোদের যদি ভুল বোঝে আমি তার
কি করতে পারি! তোরা শুধু নির্মাণ
সংশয়ে, প্রতীক্ষায়; হকারের স্টলে পড়ে-থাকা
সস্তার গয়নাগাটি যেন, কতকালে অবিক্রীত–
কেউ ফিরেও দ্যাখে না।
ন্যুব্জ দেহ মানুষটির পাশে পাশে ঘুরছে কুকুর।
তারা অরণ্যের গন্ধবহ, দূরের রৌদ্রে
বহু ক্ষুধা ও মৃত্যুর সমন্বয় হতে থাকে, তবু তারা
সেখানে যাবে না। এই চৌমাথায়–পথচারীদের
ভিক্ষা ও উপেক্ষায় সমাদৃত দেবতা ও দেবাঞ্জলি,
এরা সুন্দরের চির-উপাসক। আমি ভিনদেশি।

২১.

যখন দেবতা-দূত সামনে আসে, মিথ্যে কথা বলে–
আমি তো প্রত্যেক দিন, সকাল-বিকেল, তাদেরই
প্রত্যক্ষ করি, ঘরে ও বাহিরে, ভীত আমি, নিষ্ঠুর
আশ্রয় চাই এই কবিতার সত্যবাদিতায়,
ঐ নীল আকাশের বৃষ্টিহীন সংলাপে।
এসো, এই উর্বর জমির প্রান্তে, আলপথ সহজে সরিয়ে
এক স্মৃতিস্তম্ভ গড়ি–যারা মৃত নয় তাদের সম্মানে,
এই মানবসমাজে তারা প্রেরিত পুরুষ, আমাদের
ভুল বোঝানোর জন্য তারা অবিরল মিথ্যে কথা বলে,
মুখ টিপে হাসে আর সবজান্তা ভান করে, এসো এই
শুভ জন্মদিনে তাদের গ্রেপ্তার করি, সমাধিস্থ করি।

২২.

দেখছি, স্কুলের খেলার মাঠ ছড়িয়ে পড়ছে দূরদূরান্তে
শহরের মাঝখানে, গ্রামগঞ্জে, রেললাইনের পাশে পাশে–
দিনহাটার ছেলেদের কাছে গীতালদহ বয়েজ এ-বছরও
হেরে গেল, হাট ফেরত ব্যাপারীরা এই নিয়ে আলোচনা
করতে করতে কাদা নদী পার হচ্ছে, তাদের স্মৃতি
ভরে উঠছে অতীতের ঘটনাপুঞ্জে, সবুজ ঘাসে আর
সূর্যাস্তের আলোয়।

২৩.

ব্যথা-বেদনার সঙ্গে উদ্ভিদের কত মিল খুঁজে পাই।
গোপন সংস্থা তারা
কখন প্রকাশ পাবে প্রকৃতিই জানে।
অন্ধকার দেবদেবীদের মতো তারা হেথা-হোথা খেলা করে।
লেপ-তোষকের ফাঁকে উঁকি দেয় করুণ পোকাটি।
‘আরেকটু এগিয়ে এসো, সিঁড়ি পার হও, তাহলেই
মানুষের মতো স্থিরলক্ষ্য হতে পারবে’–আমি বলি।
‘অবশ্যই’–তারাও স্বীকার করে, ‘কিন্তু যারা
ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় ক্লিষ্ট–
তোমাদের প্রকৃত স্বরূপ যারা–তাদের কি হবে?’

 

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত