ছড়া: চড়ক ও বৈশাখী মেলা । চন্দনকৃষ্ণ পাল
চড়ক পূজার কালী নাচ আর চরকিরা সব হাসে
এখনও তো সে সব দিনই চোখের পাতায় ভাসে
রাতের বেলা জ্বলন্ত কয়লায়
পার্বতী-শিব দুজন দেখি দিব্যি নেচে যায়
তিনটি দিনের মেলা আসে নববর্ষ নিয়ে
নিমন্ত্রণের চিঠি পাওয়া
হালখাতাতে মিষ্টি খাওয়া
বছর বাকির টাকাগুলি মহাজনকে দিয়ে…।
বাবার কড়ে আঙুল ধরে এগিয়ে যাবার দিন
আজকে শুধু স্মৃতিতে রঙিন
কলাগাছের গায়ের পরে রঙিন নিশান কতো
কাগজ কেটে তৈরী ঝালর ভালোবাসার মতো-
লেগে আছে বুকের ভেতর কেমন মায়াময়
বিষণ্ন এই অনুভূতি তোমাদেরও হয়?
ঝুনঝুনি আর বাঁশির সুরে বিকেল জুড়ে মেলা
কতো রঙের খেলা
বায়োস্কোপের রঙিন জগৎ হাতছানিতে ডাকে
সবাই গরম জিলিপি আর তেলেভাজা চাখে
মুড়ি এবং খইয়ের মোয়া সংগে তিলের নাড়ু
মিহির মোহন তরুণ শিমুল শ্যামলী আর পারু
এর বেলুনটা ও ফাটাচ্ছে তুমুল হৈ হুল্লোড়
বিকেল থেকে সন্ধে হলো কাটছে না তো ঘোর।
বাড়ির পথে পা বাড়িয়েও তাকাই ফিরে ফিরে
কতো স্মৃতি চড়ক এবং বোশেখ মেলা ঘিরে
একটি দুটি হ্যাজাক এবং কয়টি কুপি বাতি
ওরা সবাই হয়ে যেতো অন্ধকারের সাথি…।
বুকের ভেতর কষ্ট নিয়ে আবার বাড়ির পথে
বোশেখ শুরুর দারুণ মেলা আজকে স্মৃতি রথে।
কবি ও ছড়াকার
পেশায়:
উপ-পরিচালক(অর্থ)
শতভাগ ডিএনই (ডিএমসিএস) প্রকল্প
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।