Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,iraboti kids story

শিশুতোষ গল্প: অর্ঘ্যর রান্না । অমিত কুমার কুন্ডু

Reading Time: < 1 minute
 



বাবা, এই নাও মাছ, মাছ খাও বাবা। ভাঙা ভাঙা উচ্চারণে কথা ক’টা বলল অর্ঘ্য। সাথে সাথে তুলোর গনেশ পুতুল গামলার উপর বসিয়ে আমার মুখের সামনে ধরল। আমি মাছ খাবার ভঙ্গিতে মুখে শব্দ করে কৃত্রিম দাত চিবিয়ে নিলাম।
একটু পরে-
বাবা, পাকা আম খাও। খাও বাবা। আরেকটি বাটিতে তুলোর ভাল্লুক এনে মুখের সামনে ধরল। আমি পাকা আমটিও চিবিয়ে চিবিয়ে খেলাম।
এবার একটা খালি বাটিতে এল তুলোর খরগোশ।
বাবা, গাজর খাও। খাও বাবা। আমি এবারও খেলাম।
বাবা, পেঁপে খাও। খাও বাবা। এবার বাটিতে এল একটা আস্ত তুলোর হাতি। মুখের সামনে ধরলে, আমি পেঁপে মনে করে কামড়ে কামড়ে হাতিও খেলাম।
কত বড়ো পেট আমার! একটুও বদহজম হলো না!
এবার এল রাবারের বাঁশিবাজা পান্ডা। ডিম হয়ে।
বাবা, ডিম খাও। খাও বাবা। আমি পান্ডাডিম খেলাম। একটা ঢেকুর তুললাম। অর্ঘ্য খলখল করে হেসে উঠল।
এবার খাবারগুলোর দিকে হাত বাড়িয়ে- দাও বাবা, রান্না করবো। আমি যে হাতিঘোড়াগুলো খাচ্ছিলাম, সেগুলোই আবার তুলে দিলাম রান্না করতে! অর্ঘ্যর ছোট্ট হাতে। ও এক এক করে হাতে নিয়ে কোলের পাশে নামিয়ে রাখল।
এবার গনেশ, ভাল্লুক, খরগোশ, হাতি, পান্ডা একসাথে একটা প্রেশার কুকারের ভেতর ঢুকাতে চাইল অর্ঘ্য! এত কিছু কী ঢুকানো যায়?
একটা কড়াই এল। হাতা, চামচ, ঝাঁঝর, কাটা চামচ এসে, রান্নার পাকাপোক্ত আয়োজন চলতে থাকল।
তুলোর খেলনাগুলো হয়েছে মাছ, পাকা আম, গাজর, পেঁপে, ডিম। সেগুলো আবার একসাথে রান্না হচ্ছে! কী সাংঘাতিক ব্যাপার!
আমি বাবুর্চির সাহায্যকারী। হাতা-খুন্তি এগিয়ে দিলে সে রান্না করছে। একটু দেরি হলে আমার ধমক খেতে হচ্ছে।
আমার যে কী অবস্থা! 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>