কবিতা: নিস্তব্ধতা আর হল্লার মিক্সচার । জ্যোতি পোদ্দার
এক
ছোট ছোট গাছপালা দেখলেই হাত নিশপিশ করে।
আঙুল গুটিয়ে এনে আঙুলে আঙুল
কচলাতে কচলাতে
আঙুলগুলোকে হত্যাপ্রবণ করে তুলি
আঙুলগুলোকে ধ্বংসপ্রবণ করে তুলি।
ছোট ছোট গাছপালা দেখলেই লকলকে ঝুলে থাকা
পাতাকে টুপ করে ছিঁড়ে ফেলি।
টুপ করে ছিঁড়ে ফেলে সাদা সাদা ঘন জমাট খুন
দুই আঙুলে তুলে এনে নাকের কাছে গন্ধশুঁকি।
একেক পাতার খুন একেক ধরনের।
ভিন্নতার স্বাদে আমার আঙুল হত্যাপ্রবণ।
ডান হাতের আঙুল অকর্মার ঢেঁকি।
আমার বাম হাতের আঙুলের ব্যক্তিগত রের্কড
ঈর্ষণীয়।
দুই
ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তোমার বাড়ি।
মাঝখানে তবু মাইলের পর
মাইল আর মাইল
আর কালো কালো রাস্তা জুড়ে
নিস্তব্ধতা আর হল্লার মিক্সচার।
মাইলে মাইলে আমি মাইলস্টোন
হাটুগেড়ে বসে দুরপাল্লা গাড়ির
হেড লাইটের আলোয়
শা শা শব্দের ভেতর
শুনি কান্না
শুনি হাসি
আর শুনি দূরত্ব শব্দটি জ্যামিতির সাথে
সম্পর্কিত নয়।
তিন
আমি সরল রেখার মতো করে দাঁড়াতে পছন্দ করি না।
আমার সরল রেখা মানে পাঁচ ফিট ছয় ইঞ্চি
আর যে কোন উচ্চতা মানেই অসন্তোষ।
কারো চেয়ে উঁচু আমি।
আর কারো চেয়ে আমি নীচু।
তুলনা ছাড়া উলম্ব সরল রেখার কোন মানেই হয় না।
সরল রেখাতে নয় বরং দুই হাত প্রসারিত করে
ত্রিভঙ্গমুরারি হতে আমার সাধ ও সাধ্যের মাঝে
সাঁকো বাঁধতে আমার পছন্দ।
কবি
মিক্সড ফিলিং!
আরও অধিক দ্যূতি ছড়াও..