মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুদান দেয়া যাবে বিকাশে
এখন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুদান দেয়া যাবে। ”ক্ষুদ্র প্রয়াস রক্ষা করবে ইতিহাস” এই ক্যাম্পেইন এর আওতায় যেকোন বিকাশ গ্রাহক তাঁর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০,৫০০ ও ১০০০ টাকা অনুদান দিতে পারবেন। https://www.liberationwarmuseumbd.org/bkash/ ওয়েব অ্যাড্রেস এ গিয়ে নাম, ই মেইল অ্যাড্রেস ও অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করে খুব সহজেই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুদান দেয়া যাবে। ফিরতি ই-মেইল আপনি পেয়ে যাবেন একটি ডিজিটাল সনদপত্র ও ডিজিটাল স্মারক।
বিকাশ জানিয়েছে এই ক্যাম্পেইন এর আওতায় প্রাপ্ত সকল টাকা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিলে জমা হবে। বিকাশ অনুদানের অর্থ থেকে কোন মাসুল কাটবে না।
উল্লেখ ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে।
ভাড়া বাড়িতে জাদুঘরের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় স্থান-স্বল্পতার কারণে সংগৃহীত স্মারকসমূহ যথাযথভাবে প্রদর্শন করা সম্ভব হচ্ছিল না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় জাদুঘর ট্রাস্টের অনুকূলে ০.৮২ একর ভূমি বরাদ্দ দেয়। নভেম্বর ২০০৯-এ উন্মুক্ত স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ড মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থাপত্য-নকশা নির্বাচন চূড়ান্ত করে।
২০১১ সালের ৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্ভোধন করেন। ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এই নয়তলা ভবন।
