উচ্চারণ
সারাটা দিন এক পা দুই পা করে
সামনে এসে দাঁড়ায়
যেদিন ওর গায়ে পাখি লেপ্টে থাকে
সীমার গায়ে ঝুরঝুর করে প্রশ্ন
আমি থাকি কী না থাকি
জলের ওড়া
সাধারণ্যের পাখি
চোখ দেয়, বাতাস দেয়
আমার সারা গায়ে সকাল হতে থাকে
অল্প অল্প পাখি হতে থাকে
কিছুটা নেই সাজিয়ে
কিছুটা অবশ সাজিয়ে
আমিকে ভাবার মতো মুহূর্ত
সাধারণ সাধারণ ডাক দিয়ে যায়
আমি সন্ধানের গায়ে অবুঝ লিখি
অবুঝের ধারাপাতে ঝিরঝিরে প্রেম রাখি
অল্প আলোর মতো সকাল
যাবতীয় সূত্র ফেলে
তোমাদের সামাজিক ক্লাস
আমাদের ফুরিয়ে ফেলা আমি
নতুন অঙ্কের গায়ে
সম্পর্কের ধূলো লিখে
দীর্ঘ ছায়ার মতো জীবন লিখে
সারাদিন কেমন মিথ্যে মিথ্যে
তিল তুলসী রাখে
দেহ রাখে আমির খোলসে
লম্বা হয় না বলা শ্বাস
না বলা আকাশ
সকাল ছুঁয়ে , আশ্চর্য ছুঁয়ে
সকালের আশ্চর্য় ছুঁয়ে
কিছু না কে ছুঁয়ে..
শূন্য স্বাদ
ঘুমের মাঝে
ক্রমাগত ঘুম খুলে যায়
একটা সাজানো ঝিমুনি
ভেড়াদের পেছনে অবিচল পায়ে
চেনা মুখ চেনা মুখ বলে
ভিজে ওঠে
খসে পড়ে একাধিক দরজার ক্রম
আমি হারাইনি ভেবে
জেগে থাকা মৃতের ছোঁয়া ভেবে
কী দিন
কী রাত
আর কত সামাজিক হার
অহেতুক নিঃশব্দ দেয় কথায়
আমি তো বলিনি কিছু
ছাতা বলিনি
নিভন্ত বলিনি
অনাগতও বলিনি
শুধু ঘুমের ভেতর ঘুম বলেছি
স্রোত মেপে , বিষাদ মেপে
জীবন বলেছি
জীবনকে মেপে বলিনি
বলিনি কিছুই
দাহ্য
প্রশ্নের আপাদমস্তক চিরকাল পুড়ে যায়
তার গায়ে শতাব্দীর রিফু
তবুও জীবিত প্রশ্ন
অনন্ত ফুঁড়ে ঝুলে থাকে
সেইসব অর্থহীন সময়ে
জীবনের ভার হালকা মনে হয়
অথবা রক্তাভ গন্ধের গায়ে
ছোট ছোট প্রশ্ন বিঁধিয়ে
থালাবাটির কাছে বসে আছি
প্রতিদিনের শুদ্ধতা শুধু ক্ষিদেয় থাকে
তারপরও খাই কী না খাই
আর খাওয়া হবে কিনা
এইসব মূল থেকে গাছ বেড়ে ওঠে
অতঃপর
প্রশ্ন ফলে, প্রশ্ন হজম হয়
প্রশ্ন হয়ে জ্বলে ওঠে তারা
আমরা প্রশ্ন যাপন করি
কবি