যুগল কবিতা
লেন্স
লেন্স ধার করে দেখছি কতদিন হয়ে গেছে
উজ্জ্বল সপ্রতিভ গলে পড়ছে ক্যারিশ্মা
অন্ধকার ছিল বুঝি হাসির বিশ্লেষণে
বুঝিনি তো যাইনি যেচে ডাকিনি একলায়
সবার প্রয়োজন কত বেশি দেখতে পাই
কত আলো জ্বালতে ডাক পড়ে এখানে ওখানে
কত ভালোর জন্য ডাক পড়ে কত গানের জন্য
তাসের খেলাঘরে পুতুল হতে কিভাবে ডাকব
আকাশটিকে ঘর বলা যেত অবশ্য আগলহীন সামিয়ানাহীন
কোথায় একান্ত রাখতাম কোথায় বলতাম এস বস
কোথায় মেলে দিতাম কম্পমান ঠোঁট বলতাম শোন
কোথায় ভেসে যেতে দিতাম কাছি খোলা আদরের নৌকো
লেন্সের মধ্য দিয়ে দেখা হয় পরিবৃত জলসা অখন্ড গাম্ভীর্য
ফিচকে হাসির বাচ্চামো নেই ফুটপাথের ভাঁড়ের চা নেই
এমনি এমনি কফির পর কফি সিগারেটের বাট অবধি টান
এমনি এমনি অভিজাত মল থেকে ইটপাতা দোকানের ভাত
এমনি এমনি শহর রাস্তা গলি মন্দির মসজিদ মনাস্ট্রি
এমনি এমনি বাঁচার সময় কোথায় যে ডেকে বলব চল
কারণহীন ডাকের জন্য কারণ ভাবতে ভাবতে ভুলে যাচ্ছি নাম
মির্যাকল
মির্যাকল শৈশবের বিশ্বাস বল ভরসাও
বড় হয়ে গেলে আর তেমন ভরসা থাকে না
অমুকে শংসাপত্র দেবে তমুক কে
অমুকের গায়ে লোগো সীল মেরে দেবে তমুক
সময় সব চিহ্ন ধুয়ে নতুন সারিতে হাঁটাবে অবিশ্বাসী
মেধাবী বিচলনের দু একটা রত্নরাজি সিন্দুকবন্দী
খুললে রক্তক্ষরণ ভাবলে ছাই রঙের বৃষ্টিদিন
কোনদিক থেকে গড়াতে শুরু করেছি মুছে ফেলছে অভিসন্ধি
কোন ইতিহাস ভূগোল সামনে রেখে দাঁড়ায় না ভুঁইফোর
তাকে তার মত বেঁচে থাকার সুযোগ মেলাটাই আস্ত মির্যাকল
.

কবি